এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > বঙ্গ বিজেপিতে এখন আড়াআড়ি বিভাজন আরএসএস ও আদি বিজেপি কর্মীদের? বিধানসভা ভোটের আগে চরম অস্বস্তি?

বঙ্গ বিজেপিতে এখন আড়াআড়ি বিভাজন আরএসএস ও আদি বিজেপি কর্মীদের? বিধানসভা ভোটের আগে চরম অস্বস্তি?


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্টরাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ এবং ভারতীয় জনতা পার্টি একে অপরের পরিপূরক বলেই পরিচিত। বিজেপির কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের অনুমতি লাগে বলেও নানা মহলে শুনতে পাওয়া যায়।

কিন্তু এবার সেই আরএসএস এবং বিজেপির পুরনো নেতাকর্মীদের মধ্যে দ্বন্দ্ব কি প্রকাশ্যে চলে এল? অপ্রিয় হলেও এটাই সত্যি। জানা যায়, শনিবার সন্ধ্যায় বিজেপির মেদিনীপুর জেলার প্রাক্তন সভাপতি তথা দলের রাজ্য সম্পাদক তুষার মুখোপাধ্যায়ের জন্মদিন পালন করা হয়। যে জন্মদিন অনুষ্ঠিত হয় মেদিনীপুরের কেরানিতলার সভাঘরে।

অন্যদিকে রামনবমী উৎসব সমিতির অন্তর্গত নারীশক্তি বাহিনীর মেদিনীপুরের প্রমুখ শর্মিষ্ঠা গুছাইতের জন্মদিন পালন করা হয় শরৎপল্লীর এক সভাগৃহে। আর দুই নেতা নেত্রীর এই পৃথক পৃথক জন্মদিন পালন এখন নিঃসন্দেহে বিজেপির কোন্দলকে প্রকাশ্যে এনে দিচ্ছে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। কোন্দল আরও স্পষ্ট হয়েছে, যখন দুই নেতা নেত্রীর জন্মদিনে বেশ কিছু মুখকে সেখানে উপস্থিত থাকতে দেখা গেছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অনেকে বলছেন, তুষার মুখোপাধ্যায়ের জন্মদিন পালন করেছে বিজেপি যুব মোর্চার কর্মীরা। আর শর্মিষ্ঠা দেবীর জন্মদিন পালন হয়েছে রামনবমী সমিতির উদ্যোগে। শর্মিষ্ঠাদেবীর এই জন্মদিনে উপস্থিত ছিলেন জেলা বিজেপি সভাপতি সমিত দাস, রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের বিভাগ সঙ্ঘচালক সহ অন্যান্যরা। এছাড়াও নেতাকর্মীদের সেই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে দেখা গেছে।

অন্যদিকে তুষারবাবুর জন্মদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিজেপির পুরনো দিনের কর্মীসমর্থকরা। অর্থাৎ একদিকে নেত্রীর জন্মদিনে দলের নব্য এবং বেশকিছু নেতাকর্মী, আর নেতার জন্মদিনে দলের পুরোনো নেতাকর্মীরা উপস্থিত থাকায় একটা জিনিস পরিষ্কার হয়ে যাচ্ছে, যেহেতু শর্মিষ্ঠা দেবীর জন্মদিনের সঙ্ঘ ঘনিষ্ঠ অনেকে রয়েছেন এবং তুষারবাবুর জন্মদিনে বিজেপির পুরনো নেতারা রয়েছেন, তাই সঙ্ঘ এবং বিজেপির পুরনো নেতাকর্মীদের মধ্যে এবার কিছুটা হলেও মনোমালিন্য তৈরি হয়েছে।

কিন্তু এই মনোমালিন্য যদি চলতে থাকে, তাহলে আগামী বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি ঐক্যবদ্ধ হয়ে কিভাবে লড়বে, তা নিয়ে তৈরি হয়েছে বড় প্রশ্ন। একাংশ বলছেন, এটি রাজ্যের অন্য কোনো জেলায় ঘটেনি। খোদ বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের গড় মেদিনীপুরে ঘটেছে। ফলে এই ঘটনায় গেরুয়া শিবিরের অস্বস্তি অনেকটাই বাড়বে।

এভাবে তারা পৃথক জন্মদিন পালন করলেন অথচ তুষারবাবুদের মত নেতাদের ডাকলেন না কেন? এদিন এই প্রসঙ্গে জেলা বিজেপির সভাপতি সমীর দাসের ঘনিষ্ঠ এক জেলা নেতা বলেন, “কাউকে দূরে সরিয়ে রাখা হয়নি। দল বড় হচ্ছে নতুন পুরনো ভারসাম্য রেখে জেলা কমিটি গঠিত হয়েছে। অন্যদিকে তুষারবাবুর অনুগামীদের অবশ্য দাবি, ধুমধাম করে তুষারবাবুর জন্মদিন পালন করাতেই তারা পাল্টা এই ধরনের নীতি নিয়েছে। কিন্তু তুষারবাবুর জন্মদিনে তিনি উপস্থিত হননি কেন?

এদিন এই প্রসঙ্গে বিজেপি সভাপতি সমিত দাস বলেন, “আমার সম্মতি নিয়েই ওই অনুষ্ঠান হয়েছে। আমার যাওয়ারও কথা ছিল। তবে একই সময়ে সঙ্ঘের একটা অনুষ্ঠান ছিল। পরে তুষারদার সঙ্গে দেখা হয়েছে। ওকে শুভেচ্ছা জানিয়েছি।” একাংশের বক্তব্য, এখানে সমিত দাস এবং তুষার মুখোপাধ্যায়ের মধ্যে চরম বিবাদ তৈরি হয়েছে। তারা দুজনেই আগামী বিধানসভা নির্বাচনে লড়ার জন্য উদগ্রীব হয়ে রয়েছেন।

আর তাই জন্মদিনেও দুই শিবির দুই শিবিরকে টেক্কা দিতে উদ্যোগী হল বলেই দাবি বিশেষজ্ঞদের। একাংশের মতে, বিধানসভা নির্বাচনের আগে যদি এভাবেই দ্বন্দ্ব শুরু হয় বিজেপিতে, তাহলে তৃনমূলকে কুপোকাত দূর করা তো দূর অস্ত, উল্টে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব সামাল দিতেই ব্যাস্ত থাকতে হবে বিজেপিকে।

এদিন এই প্রসঙ্গে বিজেপিকে কটাক্ষ করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। এদিন এই প্রসঙ্গে জেলা তৃণমূল সভাপতি অজিত মাইতি বলেন, “তৃনমূলের বিরুদ্ধে পরে লড়বে। আগে ওরা নিজেদের ঝামেলা মেটাক!” সব মিলিয়ে এবার মেদিনীপুরে বিজেপির এই অনৈক্য তাদের কতটা অস্বস্তিতে ফেলে, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

ট্যাগড
Top
error: Content is protected !!