এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > পিকের জাদুতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গায়েব! বিস্ফোরক হেভিওয়েট বিজেপি নেতা!

পিকের জাদুতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গায়েব! বিস্ফোরক হেভিওয়েট বিজেপি নেতা!

করোনা মোকাবিলায় প্রথম দিকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রতিনিয়ত বিকেল বেলায় সাংবাদিক বৈঠক করতেন। কিন্তু বর্তমান সময়ে সেভাবে আর তাকে সাংবাদিক বৈঠক করতে দেখা যাচ্ছে না। বরঞ্চ সাংবাদিক বৈঠক করছেন রাজ্যের স্বরাষ্ট্রসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়। আর প্রথম দিকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় করোনা মোকাবিলায় প্রতিনিয়ত টিভির পর্দায় থাকলেও, কেন এখন তাকে সক্রিয়তা অবলম্বন করতে দেখা যাচ্ছে না, তা নিয়ে বিরোধীদের তরফে তোলা হচ্ছে প্রশ্ন।

শুধু তাই নয়, এখন করোনা পরিস্থিতি কার্যত হাতের বাইরে চলে গেছে। তাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করছেন এবং আড়ালে থাকতে চাইছেন বলে অভিযোগ করছে গেরুয়া শিবির। আর এমত পরিস্থিতিতে সেই মুখ্যমন্ত্রী সম্পর্কে বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন বিজেপি নেতা রাহুল সিনহা। এভাবে মুখ্যমন্ত্রীর উবে যাওয়া নিয়ে এদিন রাহুলবাবু বলেন, “পিসি সরকারের জাদুতে ট্রেন গায়েব হয়েছে, কিন্তু পিকের যাদুতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গায়েব।”

বস্তুত, তৃণমূলের রণনীতিকার হচ্ছেন প্রশান্ত কিশোর। বর্তমান সময়ে করোনা পরিস্থিতির কিভাবে মোকাবিলা করতে হবে এবং বিরোধীদের অপপ্রচারের কিভাবে জবাব দিতে হবে, তার জন্য তৃণমূলকে ব্লু প্রিন্ট তৈরি করে দিচ্ছেন সেই প্রশান্ত কিশোর বলে মত একাংশের। তাই এই পরিস্থিতিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সেভাবে প্রকাশ্যে না আসায় প্রশান্ত কিশোর ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে টেনে এনে বিস্ফোরক দাবি করলেন বিজেপির রাহুল সিনহা বলে মত একাংশের।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিন রাহুলবাবু আরও বলেন, “কোথায় গেলেন মুখ্যমন্ত্রী! কি অবস্থায় রয়েছেন! কেনইবা মানুষতার সারা শব্দ পাচ্ছেন না। যিনি করোনার প্রথম থেকে একটিভ ছিলেন, এখন তিনি কেন নীরব! সারা বাংলার মানুষ মুখ্যমন্ত্রীর খবর জানতে চায় মুখ্যমন্ত্রীর অবস্থান জানতে চায়। সরকারের উচিত অবিলম্বে বিবৃতি দিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর অবস্থান ও অবস্থাকে স্পষ্ট করা।” সবমিলিয়ে প্রথম দিকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় করোনা নিয়ে প্রতিনিয়ত মুখ খুললেও এবার প্রশান্ত কিশোরের নির্দেশে তিনি কার্যত আড়াল হয়ে গিয়েছেন বলে নিজের বক্তব্য পেশ করলেন রাহুল সিনহা বলে মত রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের।

রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আগামী বিধানসভা নির্বাচনে করোনা মোকাবিলা একটা বড় ইস্যু হতে চলেছে। সেখানে ইতিমধ্যেই রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের গায়ে – করোনার সময়ে রেশন দুর্নীতি বা ত্রাণ বিলিতে বিরোধীদের বাধা দেওয়ার মত গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। আয়ের পাশাপাশি, করোনার প্রকৃত তথ্য গোপন করে রাজ্যবাসীর বিপদ বাড়ানোর অভিযোগও তুলেছে বিজেপি। আর এরপরেই প্রশান্ত কিশোরকে বিশেষভাবে কাজে লাগানো হচ্ছে বলে জল্পনা।

আর তারপরেই কাকতালীয়ভাবে, সাংবাদিক বৈঠক করা থেকে কার্যত বিরত থাকছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ফলে বিরোধীরা এই নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন। আর সেই প্রশ্নবানকে আরও তখন করে দিলেন বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি রাহুল সিনহা। এছাড়াও অন্যান্য প্রথম শ্রেণীর গেরুয়া নেতারাও ক্রমশ চাপ বাড়াচ্ছেন। যা নিঃসন্দেহে রাজ্যের শাসকদলের রক্তচাপ আরও বাড়িয়ে দেবে বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। এখন রাহুল সিনহার এই বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে তৃণমূলের তরফে কোনো প্রতিক্রিয়া আসে কিনা, তার দিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!