বড় জয় মমতার? বিতর্ক উড়িয়ে ডেথ অডিট ও কো-মর্বিডিটির তত্ত্ব মেনে নিল ICMR থেকে WHO! আন্তর্জাতিক কলকাতা জাতীয় রাজ্য May 15, 2020 করোনা মোকাবিলায় প্রথম থেকে রাজ্য সরকার নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করলেও, বিরোধীদের কটাক্ষের মুখে পড়তে হচ্ছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। প্রকৃত তথ্য চেপে যাওয়া থেকে শুরু করে ডেথ অডিট কমিটি, বিভিন্ন বিষয়ে রাজ্যের বিরুদ্ধে সরব হচ্ছিল বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো। বস্তুত, গত 3 এপ্রিল করোনায় মৃত্যু নিয়ে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে ডেথ অডিট কমিটি ঘোষণা করা হয়েছিল। আর তারপরেই বিজেপি সহ অন্যান্য বিরোধী দলগুলো এই ব্যাপারে তাদের বিরোধিতার কথা জানাতে শুরু করে। শুধু তাই নয়, কো-মর্বিডিটির তত্ত্ব নিয়েও বিরোধীদের গলায় শোনা যায় সমালোচনার সুর। কিন্তু এবার আইসিএমআর থেকে শুরু করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা হু এর বিভিন্ন বিশেষজ্ঞদের মন্তব্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের এই পদক্ষেপকেই স্বীকৃতি দেওয়া হল বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। জানা গেছে, গত 10 মে আইসিএমআরের পক্ষ থেকে একটি গাইডলাইন প্রকাশ করে জানানো হয়েছে, প্রতিটি করোনা মৃত্যুর ঘটনা খতিয়ে দেখা অত্যন্ত জরুরী। অর্থাৎ এক্ষেত্রে বাংলার বিরোধীরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের সমালোচনা করলেও, আইসিএমআরের এই মন্তব্যের পরেই কার্যত পরিষ্কার হয়ে যায় যে, মমতা বন্দোপাধ্যায়ের সরকারের এই উদ্যোগকে সমর্থন করছেন কেন্দ্রের শীর্ষ চিকিৎসা গবেষণা কেন্দ্র। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - একইভাবে 14 পাতার গাইডলাইন প্রকাশ করে ডেথ অডিট কমিটির ব্যাপারে সায় দিতে দেখা যায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকেও। এদিন এই প্রসঙ্গে আমেরিকা থেকে বিশ্বের স্বনামধন্য চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান জন হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্লুমবার্গ স্কুল অফ পাবলিক হেলথের বাঙালি গবেষক ডঃ পর্নালী ধর চৌধুরী বলেন, “নোভেল করোনা ভাইরাস সারা পৃথিবীর কাছে নতুন। তাই এই রোগাক্রান্ত কারও মৃত্যু হলে মৃত্যু সম্পর্কিত বিষয়গুলো সঠিকভাবে জানাতে ডেথ অডিট অত্যন্ত জরুরি।” তিনি স্পষ্ট জানান, “তা আসলে এই মহামারী বিষয়ক পরিস্থিতিকে সঠিকভাবে জানাতে বুঝতে সাহায্য করে। সেদিক থেকে পশ্চিমবঙ্গ সরকার এই কমিটি গঠন করে ভুল কিছু করেনি।” অন্যদিকে আইসিএমআরের পক্ষ থেকে গাইডলাইন প্রকাশ করে মৃত্যুর কারণ সংক্রান্ত তথ্য সঠিকভাবে জানা সম্ভব হলে রোগটির প্রাদুর্ভাবও সঠিকভাবে বোঝা সম্ভব হবে বলে জানানো হয়েছে। অর্থাৎ পশ্চিমবঙ্গ সরকার যে এই উদ্যোগ গ্রহণ করে ঠিক করেছে, তা গাইডলাইনে উঠে এসেছে বলেই মনে করছে একাংশ। এদিন এই প্রসঙ্গে রাজ্য সরকারের করোনা মোকাবিলায় গঠিত গ্লোবাল অ্যাডভাইজারি বোর্ডে আহ্বায়ক ডাক্তার সুকুমার মুখোপাধ্যায় বলেন, “করোনায় মৃত্যু খতিয়ে দেখা বা অডিট করার প্রয়োজনীয়তা এখন আইসিএমআর থেকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা সকলেই মানছে। সকলেই মানছে কো মর্বিডিটির কথা। আর ওদের তত্ত্বের সাথে আমাদের প্রতিটি মৃত্যুকে খতিয়ে দেখা আসলে মুদ্রার এপিঠ আর ওপিঠ।” সব মিলিয়ে এখন বিরোধীদের পক্ষ থেকে রাজ্য সরকারের করোনা মোকাবিলায় ডেথ অডিট কমিটি নিয়ে প্রশ্ন তোলা হলেও, আইসিএমআর এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা পশ্চিমবঙ্গ সরকারের পথে হাঁটায় বিরোধীরা অনেকটাই চাপে পড়ল বলে মত রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের। এমনিতেই করোনা পরিস্থিতি নিয়ে বিরোধীরা যেভাবে শাসকদলের রক্তচাপ বাড়াচ্ছিল, তার বিরুদ্ধে নতুন এই তথ্য তৃণমূল নেতাদের এবার বড়সড় অস্ত্র তুলে দিল বলে মত অভিজ্ঞ মহলের। আপনার মতামত জানান -