এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > মুসলিম তোষন থেকে করোনা ব্যর্থতা! মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে রাজ্যপালের বিস্ফোরক পত্রবোমা!

মুসলিম তোষন থেকে করোনা ব্যর্থতা! মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে রাজ্যপালের বিস্ফোরক পত্রবোমা!

করোনার মতো ভয়াবহ মহামারী পরিস্থিতিতে এখন রাজ্য বনাম রাজ্যপালের চিঠিকে কেন্দ্র করে সংঘাত চরমে উঠেছে। সাম্প্রতিক কালে করোনা ইস্যুতে বিভিন্ন বিষয়ে রাজ্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর। যা নিঃসন্দেহে রাজ্যের শাসক দলকে অস্বস্থিতে ফেলেছে। আর রাজ্যপাল একের পর এক রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে মন্তব্য করায় অবশেষে বৃহস্পতিবার এই ব্যাপারে মুখ খুললেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

যেখানে পাঁচ পাতার চিঠি দিয়ে রাজ্যপালের আচরণের কড়া নিন্দা জানান তিনি। একজন রাজ্যপাল কিভাবে এই ধরনের কথা বলতে পারেন, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যার পরিপ্রেক্ষিতে পাল্টা রাজভবনের পক্ষ থেকে রাজ্য সরকারের উদ্দেশ্যে আক্রমণাত্মক চিঠি আসবে বলেই ধরে নেওয়া হয়েছিল। সেই মত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মুখ্যমন্ত্রীর অবস্থান জেনে শুক্রবার তিনি এই চিঠির জবাব দেবেন বলে জানিয়ে দিয়েছিলেন রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান।

স্বভাবতই শুক্রবার সকাল থেকেই সকলের নজর ছিল, রাজ্যকে রাজ্যপাল চিঠিতে কি জানান তার দিকে। প্রত্যেকেই অপেক্ষা করছিলেন, হয়ত কড়া ভাষায় এবার রাজ্যকে আক্রমণ করবেন রাজ্যপাল। আর যেমন ভাবা, ঠিক তেমনটাই হল। সূত্রের খবর, শুক্রবার প্রায় 14 পাতার দীর্ঘ চিঠিতে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে অসন্তোষ প্রকাশ করতে দেখা যায় রাজ্যপাল জগদীপ ধনকারকে। যেখানে উল্লেখযোগ্যভাবে মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে সংখ্যালঘু তোষণের অভিযোগ করেন রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান।

চিঠিতে তিনি বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পক্ষপাতিত্ব এতটাই বেশি যে নিজামুদ্দিন- মারকাজের ঘটনা নিয়ে জনৈক সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি মেজাজ হারিয়ে ফেলছেন। একজন প্রশাসনিক প্রধানের এই মন্তব্য অত্যন্ত দৃষ্টিকটু। আপনি নিজের বিবেকের কথা শুনুন এবং রাষ্ট্রীয় আইন মেনে চলুন। বাইরের জগতের দ্বারা প্রভাবিত না হয়ে নিজেকে আয়নার সামনে দাঁড় করান।”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সম্প্রতি নিজামুদ্দিন থেকে অনেক মানুষ রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে পড়েছে। যার ফলে সেই মানুষদের মধ্যে করোনা ভাইরাস সংক্রমিত হওয়ার প্রবণতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। তবে সম্প্রতি এই ব্যাপারে মুখ্যমন্ত্রীকে প্রশ্ন করা হলে তিনি জানিয়ে দেন, এসব সাম্প্রদায়িক প্রশ্ন করবেন না। আর এই চিঠিতে সেই কথা তুলে ধরে মুখ্যমন্ত্রীকে আক্রমণ করলেন রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

শুধু তাই নয়, 14 পাতার চিঠিতে করোনা মোকাবিলায় রাজ্য সরকারের ভূমিকা নিয়েও সরব হয়েছেন রাজ্যপাল। যেখানে তিনি বলেন, “রাজ্যের স্বাস্থ্যব্যবস্থা ক্রমাগত অবহেলিত হচ্ছে। হাসপাতালে করোনা ধরা পড়ছে, অথচ সেসব ক্রমাগত চাপা দেওয়ার চেষ্টা চলছে। কখনও তা অস্বীকার করা হচ্ছে। যথাযথ সংখ্যায় নাগরিকদের করোনা পরীক্ষা হচ্ছে না। স্বাস্থ্য কর্মীদের ওপর হামলা চলছে। রাজ্যে সব ঠিক আছে, এই ভান পরবর্তী সময়ে আরও বিপদের দিকে ঠেলে দিতে পারে।”

এদিকে তার আগের দেওয়া চিঠিতে মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যপালের শব্দচয়ন নিয়ে প্রশ্ন তুললে, এদিন সেই ব্যাপারেও চিঠিতে নিজের মত জানিয়ে দিয়েছেন রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান। বিশ্লেষকরা বলছেন, মুখ্যমন্ত্রীর 5 পাতার চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে রাজ্যপাল এদিন 14 পাতার চিঠিতে যেভাবে 37 টি বিষয় তুলে ধরে রাজ্য সরকারকে কটাক্ষ করলেন, তা নিঃসন্দেহে রাজ্যের শাসকদলের কাছে অস্বস্তির কারণ। এতদিন রাজ্যপাল ও রাজ্য সরকারের যে সম্পর্ক ছিল তা বেশিরভাগ সময়েই বিতর্কিত ছিল।

কিন্তু, বর্তমানে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী গতকাল যেভাবে রাজ্যপালকে আক্রমণাত্মক চিঠি লিখলেন তাতে সকলেই প্রায় চমকে গিয়েছিল। কিন্তু সেই নজিরবিহীন চিঠির যে নজিরবিহীন পাল্টা প্রত্যাঘাত রাজভবনের পক্ষ থেকে গেল – তাতে রীতিমত টালমাটাল রাজনৈতিক মহল। এখন রাজ্যপালের এই চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে আবার রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে কোনো চিঠি যায় কিনা, তার দিকে যেমন সকলের নজর থাকবে, ঠিক তেমনই রাজ্যের বনাম রাজ্যপালের সম্পর্কের তিক্ততা আরও কতদিন চলে! সেদিকেই তাকিয়ে রাজনৈতিক মহল।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!