এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > কেন্দ্রের দেখানো পথেই এবার রাজ্যকে চলার অনুরোধ রাজ্যপালের! আবার কি উঠবে দ্বন্দ্বের ঝড়?

কেন্দ্রের দেখানো পথেই এবার রাজ্যকে চলার অনুরোধ রাজ্যপালের! আবার কি উঠবে দ্বন্দ্বের ঝড়?

করোনাকে আটকাতে দেশ বর্তমানে লকডাউন। আর একটা দেশের সমস্ত কিছু বন্ধ থাকায় এবং মানুষ গৃহবন্দি হওয়ায় লকডাউনের পরিস্থিতি সেরে ওঠার পর দেশের অর্থনৈতিক কাঠামো কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে, তা সংশয়ের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে সকলের কাছেই। একদিকে করোনাকে মোকাবিলা করার জন্য পরিকাঠামো যোগানের বিপুল অর্থ ব্যয় এবং অন্যদিকে দীর্ঘদিন দেশ বন্ধ থাকায় ভারতবর্ষের অর্থনীতি ভেঙে পড়বে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করছেন বিশেষজ্ঞরা।

তবে ভবিষ্যৎ কি হবে, তা ভবিষ্যৎ বলবে। কিন্তু বর্তমানে করোনাকে মোকাবিলার জন্য শাসক-বিরোধী রং ভুলে গিয়ে প্রতিটি ক্ষেত্রে সমস্ত জনপ্রতিনিধিরা সরকারকে সাহায্য করতে শুরু করেছেন। কেন্দ্রে যেমন বিরোধী দলের সাংসদরা সহযোগিতা করছেন, ঠিক তেমনই রাজ্যের ক্ষেত্রে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিচ্ছেন তৃণমূল বিরোধী সমস্ত রাজনৈতিক দলের নেতা জনপ্রতিনিধিরা। এমনকি শাসক দলের পক্ষ থেকেও ত্রাণ তহবিলে অর্থনৈতিক সাহায্য করা হচ্ছে।

ইতিপূর্বেই কেন্দ্রের পক্ষ থেকে এই অর্থনৈতিক পরিকাঠামো যাতে ভেঙে না পড়ে, তার জন্য করোনা মোকাবিলায় সাহায্য করবার ক্ষেত্রে সমস্ত সাংসদদের বেতনের 30% কেটে নেওয়ার কথা জানানো হয়েছে। যা নিয়ে বিরোধিতা করেছে তৃণমূল এবং কংগ্রেস। আর এবার পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যে সেই একই ফর্মুলা পালন করা হোক বলে আর্জি জানালেন রাজ্যের রাজ্যপাল জগদীপ ধনকার।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

সূত্রের খবর, মঙ্গলবার একটি টুইট করে রাজ্যপাল জগদীপ ধনকার বলেন, “রাজ্যের নেতা, মন্ত্রীরা নিজেদের বেতনের এই অংশ দান করলে করোনার বিরুদ্ধে সরকারের লড়াই শক্তিশালী হবে।” অর্থাৎ কেন্দ্র যে পথে হেটেছে, সেই পথেই রাজ্যের জনপ্রতিনিধিদের পথ চলার ব্যাপারে ইচ্ছা প্রকাশ করলেন রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান। কিন্তু এখানে বেশ কিছু প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে‌।

কেননা ইতিমধ্যেই কেন্দ্রের পক্ষ থেকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হলে তার চরম বিরোধিতা করেছে তৃণমূল কংগ্রেসের মত রাজনৈতিক দল। ফলে সেদিক থেকে রাজ্যপালের সঙ্গে এমনিতেই শাসকদলের সম্পর্ক খুব একটা ভালো নয়। তাই রাজ্যপাল পশ্চিমবঙ্গের জনপ্রতিনিধিদের উদ্দেশ্যে এই কথা বলায় আদৌ পশ্চিমবঙ্গের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস এই সিদ্ধান্তের সঙ্গে সহমত হবে কিনা, তা নিয়ে সংশয় থেকেই যাচ্ছে।

তবে রাজ্যপালের এই কথাকে অত্যন্ত ভালভাবেই নিচ্ছে একাংশ‌। কেননা বর্তমান সময়ে সাধারণ মানুষের ক্ষেত্রে সহযোগিতার জন্য নেতা-নেত্রীদের এগিয়ে আসা উচিত। সেদিক থেকে রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান এই কথা বলায় এখন পশ্চিমবঙ্গের শাসকদল সহ অন্যান্য দলগুলোর কি অভিমত প্রকাশ পায়, তার দিকেই নজর থাকবে রাজনৈতিক মহলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!