এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > সংবাদমাধ্যমকে নিয়ন্ত্রণ করতে চাইছেন মমতা? রাজ্যপালের বিস্ফোরক ট্যুইটে শোরগোল রাজ্যজুড়ে

সংবাদমাধ্যমকে নিয়ন্ত্রণ করতে চাইছেন মমতা? রাজ্যপালের বিস্ফোরক ট্যুইটে শোরগোল রাজ্যজুড়ে


করোনার কালোছায়া যখন বিশ্বকে শোকস্তব্ধ করে ফেলেছে। ঠিক এই মুহূর্তেই শুরু হয়েছে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এবং রাজ্যপালের মধ্যে বিরোধ। আমরা এর আগেও দেখেছি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিরুদ্ধে রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর একাধিক অভিযোগ তুলেছেন। এদিন আবার তিনি মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ তুললেন। বর্তমান পরিস্থিতিতে রাজ্যপাল-মুখ্যমন্ত্রী বিবাদ এর পরিপ্রেক্ষিতে নতুন দিকে মোড় নিতে পারে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।

বৃহস্পতিবার সকালে পরপর তিনটি টুইট করে মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে সংবাদমাধ্যমকে নিয়ন্ত্রণ করার অভিযোগ আনলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর। সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা প্রসঙ্গেও মুখ্যমন্ত্রীকে খোঁচা দেন তিনি। এদিন তিনি টুইট করে বলেন, “সংবাদমাধ্যমে আপনি সঠিক আচরণ করুন। আপনি সংবাদমাধ্যমকে নিয়ন্ত্রণ করছেন। লুকোনোর মত কিছু থাকার কথা নয়। স্বাধীন সংবাদমাধ্যম হল গণতন্ত্রের প্রয়োজনীয় উপাদান। মিশর, লিবিয়া, তিউনিসিয়ায় শাসকদের ক্ষমতাচ্যুত করতে সংবাদমাধ্যমের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ ছিল।”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তবে রাজ্যপাল শুধু সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতার অভিযোগের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকেননি। বৃহস্পতিবার টুইটে করে আরোও জানান বিরোধীদের প্রতি মুখ্যমন্ত্রীর ব্যবহার সম্পর্কেও। তিনি খানিকটা পরামর্শ দেওয়ার সুরেই বলেন, “করোনাভাইরাস মোকাবিলায় সব দলকে সংঘবদ্ধভাবে কাজ করতে বলছি। বিরোধীদের সঙ্গে যেভাবে আচরণ করছেন মুখ্যমন্ত্রী, তা আমাকে ব্যথিত করছে।” প্রসঙ্গত, রাজ্যে পরিবর্তনের আগে, তৎকালীন রাজ্যপাল গোপালকৃষ্ণ গান্ধীও তৎকালীন বাম সরকারের বিরুদ্ধে বিরোধীদের রীতিমত তোপ দেগেছিলেন।

তৎকালীন বিরোধী দল তৃণমূল কংগ্রেস সেই সময় গোপালকৃষ্ণ গান্ধীর সেই বক্তব্যের মধ্যেই গণতন্ত্র দেখেছিলেন। পরবর্তীকালে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর নাম রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী হিসাবেও মনোনীত করার চেষ্টা করেন। যদিও তৎকালীন বাং সরকার তা ভালোভাবে নেয় নি। বিনয় কোঙার বা শ্যামল চক্রবর্তীর মত বামনেতারা – বলেছিলেন রাজ্যপালের হাতে তৃণমূলের পতাকা তুলে নেওয়া উচিত। আর বর্তমানে সেই একই ভূমিকায় পুনরায় দেখা যাচ্ছে বর্তমান রাজ্যপালকে। যদিও, বর্তমান শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস তা মানতে নারাজ। ফলে দিনদিন ফাটল চওড়া হচ্ছে রাজভবন ও নবান্নের মধ্যে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!