এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > করোনায় বিভ্রান্তি এড়াতে দিতে হবে ১ বছর আগের বিল! পরে হবে অ্যাডজাস্ট! নতুন নির্দেশ বাংলায়!

করোনায় বিভ্রান্তি এড়াতে দিতে হবে ১ বছর আগের বিল! পরে হবে অ্যাডজাস্ট! নতুন নির্দেশ বাংলায়!

এমনিতেই করোনা ভাইরাসের বাড়বাড়ন্তের ফলে লকডাউন চলছে গোটা দেশে। যার ব্যতিক্রম নয় বাংলাও। লকডাউনের ফলে সকলেই সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখছেন। তবে কিছু কিছু বিষয় নিয়ে প্রত্যেকের অবশ্যই চিন্তা রয়েছে। যার মধ্যে অন্যতম বিদ্যুতের বিল। সামাজিক দূরত্ব থাকায় বিদ্যুতের কর্মীরা কোনো গ্রাহকের বাড়িতে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তাহলে কিভাবে সাধারণ মানুষ বিদ্যুতের বিল দেবেন, তা বড় প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছিল সকলের কাছে।

অবশেষে এই প্রশ্নের উত্তর দিল রাজ্য বিদ্যুৎ দপ্তর। সূত্রের খবর, বর্তমান পরিস্থিতিতে বাড়িতে গিয়ে বিদ্যুতের মিটার রিডিং দেওয়া সম্ভব হবে না। ফলে গত এক বছর আগে যার বাড়িতে যে বিদ্যুতের বিল ছিল, সেই টাকাই দিতে হবে প্রত্যেক গ্রাহককে। অনেকেরই প্রশ্ন, প্রাথমিকভাবে তা না হলে এক বছর আগের বিল দেখে মানুষের কাছ থেকে টাকা নেওয়া হবে। কিন্তু যদি পরে মিটার রিডিং বৃদ্ধি পায়, এক বছর আগে কারও বাড়িতে যে বিল ছিল, তা যদি এবার অনেকটা কমে যায়, তাহলে কিভাবে পরে হিসেব মেলানো হবে!

বিদ্যুৎমন্ত্রী শোভন দেব চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, পরবর্তীতে তা অ্যাডজাস্ট করে দেওয়া হবে। বস্তুত, বিদ্যুতের বিল কিভাবে নেওয়া হবে, তা নিয়ে এবার নানা মহলে নানা জল্পনা ছড়িয়েছিল। সোমবার এই ব্যাপারে সমস্ত জল্পনার অবসান ঘটান রাজ্যের বিদ্যুৎমন্ত্রী। তিনি বলেন, “বিদ্যুতের বিল নিয়ে মানুষের মনে একটা বিভ্রান্ত তৈরি হয়েছে। কিন্তু এই পরিস্থিতিতে সবার বাড়িতে গিয়ে মিটার রিডিং দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। এই সময় অনেকেই দরজা খুলছেন না। ফলে এক বছর আগের বিল পাঠানো হচ্ছে।”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তিনি আরও জানিয়েছেন, “যেমন গত বছর মার্চ-এপ্রিল মাসে যে বিল এসেছিল, এই বছর মার্চ-এপ্রিলে সেই হিসেব পাঠানো হচ্ছে। মিটার রিডিং না নেওয়ায় কারও বেশি আসছে। পরে অ্যাডজাস্ট করে দেওয়া হবে। আবার যদি কারও বিল কম নেওয়া হয়, সেটাও ঠিক করা হবে। কারও কাছে এক টাকা বেশি নেওয়া হবে না।” এদিকে ডব্লিউবিএসইডিসিএলের পাশাপাশি সিইএসসিকেও এইভাবে বিল নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বিদ্যুৎমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়।

অর্থাৎ মানুষের অসুবিধে না করে গত এক বছরের হিসেব অনুযায়ী চলতি মাসে লকডাউন থাকার কারণে সেই এক বছর আগের বিল গ্রাহকদের দেওয়ার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিচ্ছে রাজ্য। তবে পরবর্তীতে যে হিসেব নিকেশ করে সমস্ত কিছু ঠিক করা হবে, তাও জানিয়ে দিয়েছে রাজ্য সরকার। অর্থাৎ এই ব্যাপারে গ্রাহকদের যে চিন্তা করার কিছু নেই, সেকথাও স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে রাজ্যের বিদ্যুৎমন্ত্রীর বক্তব্যে বলে মত বিশেষজ্ঞদের।

এদিকে পৌরকর জমা দেওয়ার ক্ষেত্রেও সময়সীমা বাড়িয়ে দিয়েছে কলকাতা পৌরসভা। জানা গেছে, চলতি বছরে এই কর জমা দেওয়ার শেষ তারিখ 31 শে মার্চ থাকলেও, তা 30 শে জুন পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়েছে। প্রসঙ্গত, ইতিমধ্যেই বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, লকডাউন পরবর্তী সময়ে জীবনধারার অনেক কিছুই পাল্টে যাবে, থাকবে না আগের মত। আর তাই করোনা আবহে এবার বিদ্যুতের বিল নিয়ে বড়সড় সিদ্ধান্ত নিল পশ্চিমবঙ্গ সরকার। এখন এই নতুন পদক্ষেপকে রাজ্যবাসী কিভাবে গ্রহণ করেন – সেদিকেই আপাতত তাকিয়ে সকলে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!