এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > আগুনে দাম থেকে মানুষকে রেহাই দিতে একাধিক পদক্ষেপ রাজ্য সরকারের! কোথায় পাবেন সস্তায় পেঁয়াজ?

আগুনে দাম থেকে মানুষকে রেহাই দিতে একাধিক পদক্ষেপ রাজ্য সরকারের! কোথায় পাবেন সস্তায় পেঁয়াজ?


সপ্তাহে ছয়দিনের মধ্যে আমজনতার পাতে পেঁয়াজ না পড়লেও অসুবিধা নেই। কিন্তু রবিবাসরীয় দুপুরে মাংসের ঝোলের সাথে পেয়াজ বাটা না দিলে তৃপ্তি হয় না কারোরই। তবে পেঁয়াজ কাটার সময় সকলের চোখ দিয়ে জল বেরোয়। কিন্তু দোকানে পেঁয়াজ কিনতে যাওয়ার সময় জল বেরোয়! নিশ্চয়ই নয়। তবে বর্তমানে আমজনতা বাজারের থলে নিয়ে দোকানের সামনে যেতেই পেঁয়াজের দাম শুনে তাদের নাক-মুখ দিয়ে জল বেরোনোর জোগাড়।

দেড়শ থেকে দুইশ চড়া দামে বিকোচ্ছে পেঁয়াজ। তবে এবার আমজনতাকে স্বস্তি দিতে পদক্ষেপ নিচ্ছে রাজ্য সরকার। জানা গেছে, সুফল বাংলার মাধ্যমে বর্তমানে 59 টাকা কেজি দরে পেঁয়াজ বিক্রি করা হচ্ছে। খাদ্য দপ্তর সূত্রের খবর, রাজ্যের প্রতিটি রেশন দোকানে এবার পাঁচ কুইন্টাল করে পেঁয়াজ দেওয়া হতে পারে। যার দাম থাকতে পারে 60 টাকার আশেপাশে। প্রসঙ্গত, বর্তমানে রাজ্যের কৃষি বিপণন দপ্তরের পক্ষ থেকে সুফল বাংলা স্টলের মাধ্যমে 45 থেকে 50 টাকা কেজিতে ভর্তুকি দিয়ে এই পেঁয়াজ বিক্রি করা হচ্ছে।

যার জন্য পাইকারি খোলাবাজার থেকে সরকারকে সেই পেঁয়াজ কিনতে হচ্ছে। জানা গেছে, মিশর থেকে যে পেঁয়াজ আসছে, তা মুম্বই বন্দরে নামার পর প্রতি কেজির দাম 55 টাকার মত থাকলেও, পরিবহন খরচ যুক্ত হয়ে কলকাতায় পৌঁছানোর পরেই তার দাম 65 টাকা হয়ে যাচ্ছে। ফলে এই পেঁয়াজ এখন সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে উদ্যোগী হয়েছে রাজ্য সরকার। বিশেষ সূত্র মারফত খবর, মিশর থেকে প্রায় 6 হাজার টন পেঁয়াজ রাজ্যে নিয়ে আসা হচ্ছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

যেখানে রাজ্য সরকার আগামী চার সপ্তাহ ধরে প্রতি সপ্তাহে 200 টন করে মোট 800 টন পেঁয়াজ পাওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী। এদিকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীসভা গত 20 নভেম্বর 1 লক্ষ 20 হাজার টন পেঁয়াজ আমদানি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যদি জানুয়ারি মাসে আরও বেশি পরিমাণ পেঁয়াজ আসতে শুরু করে, তাহলে মহারাষ্ট্র সহ আরও বিভিন্ন রাজ্য থেকে সেই পেঁয়াজের যোগান অনেকটাই বেড়ে যাবে। কেননা সেই সময় নতুন পেঁয়াজ প্রচুর পরিমাণে উঠবে।

ফলে ফেব্রুয়ারি মাসের পর থেকে উৎপাদিত নতুন পেঁয়াজ বাজারে আসতে শুরু করবে। আর যত বেশি যোগান হবে, তত পেঁয়াজের দাম কমবে। তবে এদিন শহর কলকাতায় পেঁয়াজের দামে কিছুটা শিথিলতা দেখা গিয়েছে। খুচরো বাজারে 120 কোটি থেকে 140 টাকা কেজি দরে পেঁয়াজ বিক্রি আছে। কিন্তু সুফল বাংলার মাধ্যমে রাজ্য সরকারের সাধারণ মানুষের কাছে কম দামে পেঁয়াজ পৌঁছে দেওয়ার এই উদ্যোগকে স্বাগত জানাচ্ছেন অনেকেই।

এদিন এই প্রসঙ্গে খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বলেন, “কৃষি বিপণন দফতরের ঠিক করা দামেই রেশন দোকানে পেঁয়াজ বিক্রি করা হবে। প্রথম পর্যায়ে কলকাতা এবং সংলগ্ন এলাকায় এক হাজার রেশন দোকানের মাধ্যমে পেঁয়াজ বিক্রি করা হবে। পরে রাজ্যের অন্য জেলাগুলোতেও রেশন দোকানে পেঁয়াজ বিক্রি করা হবে।” এখন দেখার পেঁয়াজের দাম নিয়ে যখন মানুষের নাভিঃশ্বাস উঠে যাচ্ছে, তখন রাজ্য সরকারের এই পদক্ষেপ তাতে কতটা সুরাহা দিতে পারে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!