এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > মুখ্যমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠক করলেও, তাঁর হেভিওয়েট মন্ত্রী দিলেন ‘হিটলার’ তকমা!

মুখ্যমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠক করলেও, তাঁর হেভিওয়েট মন্ত্রী দিলেন ‘হিটলার’ তকমা!


প্রধানমন্ত্রীর সাথে বৈঠকের পর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সাথে বৈঠক করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। চূড়ান্ত বিরোধিতা সত্ত্বেও কেন্দ্র সরকারের ক্ষমতাসীন দলের সাথে একের পর এক বৈঠক করে চলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। প্রথম থেকেই বিরোধী দলগুলির আক্রমণের ফলা ছিল তীক্ষ্ণ। তীব্র কটাক্ষে ভরিয়ে দিয়েছেন বিরোধীরা। কিন্তু তৃণমূলের তরফ থেকে সেই অর্থে কোন মন্তব্য করা হয়নি – না দলগতভাবে না মুখ্যমন্ত্রীর তরফে।

তবে, বিরোধীদের মন্তব্যে চুপ থাকলেও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ কে নিয়ে কিন্তু চুপ থাকেনি তৃণমূল কংগ্রেস। এদিন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে ‘হিটলার’ বলে অভিহিত করলেন রাজ্যের হেভিওয়েট তৃণমূল নেতা তথা পঞ্চায়েত মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়। সম্প্রতি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ মন্তব্য করেছিলেন এক আলোচনা সভায় যে দেশে একদলীয় শাসন ব্যবস্থার দাবি উঠেছে। বহুদলীয় শাসন ব্যবস্থা সত্তর বছরে দেশকে তার লক্ষ্যে পৌঁছে দিতে পারেনি। এবার এই নিয়ে আলোচনা চলবে বলে জানান তিনি।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর এই মন্তব্যকে কটাক্ষ সহযোগে অভিযুক্ত করে রাজ্যের পঞ্চায়েত মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায় পরবর্তী প্রশ্ন তুললেন, এটা চিন নাকি? এখানেই না থেমে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের এত দিনের রাজনৈতিক অভিজ্ঞতাকে খর্ব করেছেন এই তৃণমূল নেতা। উপরন্তু তিনি বলেছেন, ‘এটা কি চিন? যে একদলীয় শাসন চালু করবে? শাহ তো রাজনীতির লোক নয়। অরাজনৈতিক লোকের কথায় কি আর বলব? এটা কি হিটলারি ব্যবস্থা? “এক দেশ, এক ভাষা”র পর “এক দেশ, এক দল” এর ওকালতি করছেন অমিত শাহ।’

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তবে বিজেপিও সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের এই অভিযোগ মাথায় নিয়ে চুপ করে বসে থাকেনি। তাঁরাও পাল্টা উত্তর দিয়েছে। বিজেপি দলের তরফ থেকে মন্তব্য করা হয়েছে, সুব্রত মুখোপাধ্যায় কংগ্রেস আমলে তথ্য ও সংস্কৃতি মন্ত্রী ছিলেন। সেসময় রাজ্যে ক্ষমতায় ছিলেন সিদ্ধার্থশঙ্কর রায়। রাজ্যের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে এক কালিমাময় সময়ের উত্থান করেন এই কংগ্রেস নেতা। যার নাম জরুরী অবস্থা। এই জরুরি অবস্থার সময় পশ্চিমবঙ্গের বহু সাংবাদিককে জেলে ভরা হয়েছিল!

সেই সময় জনসাধারণের মৌলিক অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছিল, সাথে কলকাতা থেকে প্রকাশিত সংবাদপত্রের উপর কাঁচি চালানোর অভিযোগ করা হয়েছে সুব্রত মুখোপাধ্যায়কে ঘিরে। তাই বিজেপির বক্তব্য সুব্রত মুখোপাধ্যায় এর মুখে অন্তত বহুমতের স্বীকৃতি কথা মানায় না। তবে বিজেপি দেশে একদলীয় শাসন চালুর পরিকল্পনা করছে এটা সম্পূর্ণ গুজব বলে দাবি করেছে বিজেপি দল। এরকম কোন বক্তব্য অমিত শাহ করেনি বলেই জানিয়েছে দল।

বিজেপির জবাবে তৃণমূল দল থেকে এখনো পর্যন্ত কোনো প্রত্যুত্তর পাওয়া যায়নি। তবে আগামী দিনে একদলীয় শাসন ব্যবস্থা হবে না বহুদলীয় শাসন ব্যবস্থা হবে এই গুজবে কান না দিয়ে রাজ্যের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে চিন্তাভাবনা করা উচিত মন্ত্রীদের, বলে দাবি করেছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। একই সঙ্গে, যেখানে মুখ্যমন্ত্রী অবশেষে রাজ্যের স্বার্থে কেন্দ্রের সঙ্গে দূরত্ত্ব ঘুচিয়ে বৈঠকে বসছেন – সেখানে তাঁরই মন্ত্রীসভার এক গুরুত্বপূর্ণ সদস্যের এহেন মন্তব্যে রাজনৈতিক গতিপথ কোন দিকে মোড় নেয় সেদিকেই এখন তাকিয়ে সকলে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!