এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > আগামী ৬ মাসেই গ্রাম বাংলাকে বিরোধী শূন্য করার চূড়ান্ত হুঙ্কার রাজ্যের হেভিওয়েট মন্ত্রীর

আগামী ৬ মাসেই গ্রাম বাংলাকে বিরোধী শূন্য করার চূড়ান্ত হুঙ্কার রাজ্যের হেভিওয়েট মন্ত্রীর


করোনা ভাইরাসকে আটকাতে লকডাউনের কারণে এতদিন সমস্ত রকম রাজনৈতিক কর্মসূচি বন্ধ ছিল রাজ্যে। কিন্তু এবার লকডাউন কিছুটা শিথিল হতে না হতেই, ময়দানে নেমে পড়তে শুরু করেছে শাসক থেকে বিরোধী সমস্ত রাজনৈতিক দল। শুরু হয়েছে দলবদল। এবার নিজেদের হাতছাড়া হয়ে যাওয়া পঞ্চায়েত পুনরুদ্ধার করে বিজেপির অস্বস্তি বাড়িয়ে দিল তৃনমূল কংগ্রেস।

সূত্রের খবর, উত্তর 24 পরগনার বাগদার সিন্দ্রানি পঞ্চায়েতে এদিন পুনর্দখল করল ঘাসফুল শিবির। জানা যায়, বৃহস্পতিবার বারাসাতের তিতুমীর সভাগৃহে সিন্দ্রানি অঞ্চলের বিজেপির দুজন পঞ্চায়েত সদস্য রুপালি বিশ্বাস এবং উমা ব্যাপারী তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করেন। যেখানে তাদের হাতে দলের পতাকা তুলে দেন উত্তর 24 পরগনা জেলা তৃণমূল সভাপতি তথা মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এই পঞ্চায়েতে বিজেপির দখলে 14 টি এবং তৃণমূলের দখলে 12 টি আসন ছিল। কিন্তু এই দুই সদস্যের তৃণমূলে চলে আসার ফলে তৃণমূলের পাল্লা অনেকটাই ভারী হল এবং এই পঞ্চায়েত তৃণমূল দখল করল বলে মনে করল রাজনৈতিক মহল। এদিন বিজেপিকে অনেকটাই চাপে ফেলে দিয়ে দুই বিজেপি সদস্যকে তৃণমূলে যোগদান করিয়ে গেরুয়া শিবিরকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেন উত্তর 24 পরগনা জেলা তৃণমূল সভাপতি তথা মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক।

তিনি বলেন, “31 ডিসেম্বরের মধ্যে বিজেপির দখলে থাকা সমস্ত পঞ্চায়েত তৃণমূলের হয়ে যাবে। সবাই একটাই কথা বলছে যে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় করোনা ও আমপানে যেভাবে মানুষের হয়ে কাজ করছেন, তা দেখে আমরা এই কর্মযজ্ঞে শামিল হতে চাই।” আর পঞ্চায়েত মানেই গ্রামীণ বাংলার ভোটব্যাঙ্ক – ফলে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের আজকের হুঙ্কারের পর রাজনৈতিক মহলের মত হল, এবার গ্রাম বাংলায় কার্যত বিরোধী শূন্য করার ইঙ্গিত দিলেন তিনি। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, গত লোকসভা নির্বাচনের পর রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদানের হিড়িক পড়ে গিয়েছিল। কিন্তু এবার সামনে বিধানসভা নির্বাচন।

এমতাবস্থায় লকডাউন পরিস্থিতি কিছুটা শিথিল হওয়ার পর বিজেপিকে অস্বস্তিতে ফেলে দিয়ে যেভাবে তাদের দুই পঞ্চায়েত সদস্যকে নিজেদের দলে যোগদান করাল তৃনমূল কংগ্রেস, তাতে বিজেপি অনেকটাই চাপে পড়ল বলে মত ওয়াকিবহাল মহলের। তবে, বিজেপির নতুন রাজ্য কমিটি ঘোষণা হওয়ার পর বসে নেই গেরুয়া শিবিরও। আর তাই দলবদলের খেলা ক্রমশ জমে উঠেছে বাংলার রাজনীতিতে। এখন গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!