এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > প্রচেষ্টা প্রকল্পের কঠিন শর্তে টাকাই পাচ্ছেন না বেশিরভাগ! গ্রাম বাংলায় ক্রমশ বাড়ছে ক্ষোভ

প্রচেষ্টা প্রকল্পের কঠিন শর্তে টাকাই পাচ্ছেন না বেশিরভাগ! গ্রাম বাংলায় ক্রমশ বাড়ছে ক্ষোভ


করোনা ভাইরাসকে আটকাতে এখন লকডাউন চলছে। আর সেই লকডাউনের মধ্যে সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়াতে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের পক্ষ থেকে চালু করা হয়েছে প্রচেষ্টা নামে এক প্রকল্প। তবে এই প্রচেষ্টা প্রকল্পের ফর্ম যারা সামাজিক সুরক্ষা সহ বিভিন্ন ভাতার সাহায্য পান, তারা পাবেন না বলে খবর পাওয়া গেল। যার ফলে এখন সমস্যায় পড়েছেন অনেকেই।

বহু দিনমজুরই লকডাউনের পর থেকেই কর্মহীন হয়ে পড়েছেন। তাই তাঁরা প্রথমে ৫০ টাকা খরচ করে এই প্রচেষ্টা প্রকল্পের ফর্ম পূরণ করেছিলেন। পরে জানতে পারেন সেই ফর্ম বাতিল হয়ে গেছে। তাই আবার নতুন করে অনলাইনে ফর্ম ফিলাপ করেন। তবে এই দিনমজুরদের অনেকেই যেহেতু সামাজিক সুরক্ষা প্রকল্পের ভাতা পান, তাই এই প্রকল্পের টাকা পাওয়া থেকে তাঁরা বঞ্চিত হবেন বলে জানানো হয়েছে। যার ফলে তার তৈরি হয়েছে সমস্যা।

এই প্রসঙ্গে অনেকেরই বক্তব্য, “সামাজিক সুরক্ষার প্রকল্পের টাকা পাব 60 বছর বয়সের পরে। এখন তো ঘরে না আছে একটা দানা, না আছে টাকা-পয়সা। এখন খাব কি!” অন্যদিকে প্রচেষ্টা প্রকল্পের ফরম পূরণের জন্য লাইনে প্রচুর মানুষ দাঁড়ালেও, সেই টাকা পেতে এত শর্ত জারি করা হয়েছে, যাতে রীতিমতো অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন অনেকেই। যার জেরে প্রশাসনের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিচ্ছেন সাধারণ মানুষরা।

এত শর্ত থাকলে কিভাবে তারা সমস্ত কিছু পূরণ করে টাকা পাবেন, তা নিয়ে তৈরি হয়েছে প্রশ্ন। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, লকডাউনের পর অসংগঠিত শ্রমিকদের কথা মাথায় রেখে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে এই ‘প্রচেষ্টা’ নামক নতুন প্রকল্পের কথা ঘোষণা করা হয়। যেখানে নির্দিষ্ট বেতন পান না, এমন পরিবারদের শর্তসাপেক্ষে 1000 টাকা করে দেওয়ার কথা ঘোষণা করে রাজ্য সরকার। জানা যায়, এই প্রকল্পের ফরম পূরণ করে স্থানীয় ব্লক অফিস বা পৌরসভায় জমা দিতে হবে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তারপরই সমস্ত কিছু শর্তের মিল পাওয়া গেলে গ্রাহকদের ব্যাংক একাউন্টে টাকা পৌঁছে যাবে। তবে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে প্রথমে একথা জানানোর পরই নতুন করে এই প্রকল্পে কেবলমাত্র অনলাইনে আবেদন করা হবে বলে জানানো হয়। কিন্তু অনলাইনে আবেদন করতে গিয়ে সার্ভার ডাউন থাকায় অনেকেই সময় মত ফর্ম পূরণ করতে পারেননি। এমনকি অনেকের মোবাইলে ওটিপি না আশাতেও তৈরি হয়েছিল সমস্যা।

আর এবার প্রকল্পের নিয়ম অনুযায়ী সামাজিক সুরক্ষা প্রকল্প, বিধবা ভাতা, বার্ধক্য ভাতা সহ অন্যান্য প্রকল্পে নাম থাকলে, তারা এই প্রচেষ্টা প্রকল্পের টাকা পাবে না বলে জানানোয় রীতিমতো ক্ষোভ বাড়তে শুরু করেছে সাধারণ মানুষের মধ্যে। তবে রাজ্য সরকারের এমন অনেক প্রকল্প রয়েছে, যা 60 বছরের আগে মানুষ পাবেন না। যার মধ্যে অন্যতম 25 টাকার বই। যেখানে সরকারের পক্ষ থেকে মাসে 25 টাকা এবং গ্রাহকদের 25 টাকা দিতে হয়।

তবে এই প্রকল্পের টাকা 60 বছরের আগে না পাওয়ায় এখন সাধারণ মানুষ এই অচলাবস্থায় কিভাবে চলবেন, তা নিয়ে তৈরি হয়েছে প্রশ্ন। কেন তাদের প্রচেষ্টা প্রকল্পে সাহায্য দেওয়া হচ্ছে না? এদিন এই প্রসঙ্গে প্রশাসনের এক আধিকারিক জানান, “গ্রামাঞ্চলে প্রায় ঘরে ঘরে 25 টাকার বই রয়েছে।” তবে প্রচেষ্টার টাকা প্রয়োজন অথচ কোনরকম সরকারি ভাতা পান না, এমন লোকের সংখ্যা হাতেগোনা।

কিন্তু যেভাবে এই প্রচেষ্টা প্রকল্পের ফর্ম তুলে তাতে আবেদন করতে শুরু করেছেন সাধারণ মানুষ, শেষ পর্যন্ত যদি তারা এই সাহায্য না পান, তাহলে তারা কোথায় যাবেন, তা নিয়ে তৈরি হয়েছে গুঞ্জন। অনেকেরই আবেদন, প্রশাসনের অন্তত এই ব্যাপারটা দেখা উচিত। কেননা লকডাউনের সময় দিনমজুর মানুষেরা সত্যিই অত্যন্ত কষ্ট রয়েছেন।

সেদিক থেকে এখন বাছবিচার না করে প্রকৃত দরিদ্র মানুষদের পাশে এই প্রকল্পের মাধ্যমে কিছুটা সত্যকে হালকা করে পাশে দাঁড়ানো উচিত প্রশাসনের। ক্ষোভ আরও বেড়েছে যখন দেখা গেছে, কেন্দ্র সরকার নিজেদের ঘোষণা মত দু-দুবার করে জনধন একাউন্টে টাকা পাঠিয়ে দিয়েছে। কিন্তু রাজ্য সরকারের প্রচেষ্টা ঘিরে ধোঁয়াশাই বেড়ে চলেছে। এখন গোটা পদ্ধতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, প্রশাসন এই ব্যাপারে কিছুটা শর্ত হালকা করে কিনা, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!