এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > বেতন বঞ্চনার অভিযোগ তুলে প্রধানমন্ত্রীর শরণাপন্ন হতে চলেছে শিক্ষক সংগঠন – জানুন বিস্তারিত

বেতন বঞ্চনার অভিযোগ তুলে প্রধানমন্ত্রীর শরণাপন্ন হতে চলেছে শিক্ষক সংগঠন – জানুন বিস্তারিত


দীর্ঘদিন ধরেই নিজেদের সঠিক এবং প্রাপ্য বেতনের দাবিতে আওয়াজ তুলছেন এই রাজ্যের প্রাথমিক শিক্ষকেরা। এবার ফের নিজেদের সুনির্দিষ্ট বেতনের দাবিতে সরব হয়ে রাজপথে নামলেন তাঁরা। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এই রাজ্যের প্রাথমিক শিক্ষকেরা অন্যান্য রাজ্যের তুলনায় অনেক কম হারেই বেতন পান। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরেই “এক দেশ এক বেতনক্রম” এর দাবিতে সরব হচ্ছেন এই রাজ্যের শিক্ষকেরা।

যা নিয়ে স্বাভাবিকভাবেই রাজ্য সরকারের ওপরও প্রবল চাপ বাড়িয়েছেন তাঁরা। ইতিমধ্যেই এই নিয়ে উস্থি বা শিক্ষক ঐক্য মুক্ত মঞ্চ কলকাতার বুকে বা রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে বড়সড় আন্দোলন ও ধর্ণা কর্মসূচি নিয়েছে – যা রীতিমত ঝড় তুলে দিয়েছে রাজ্য-রাজনীতিতে। অক্টোবর মাসে শেষের দুদিন শহীদ মিনারের পাদদেশে শিক্ষকদের যে আন্দোলন হয়েছিল তাকে সমর্থন করতে নজিরবিহীন ভাবে এক মঞ্চে উপস্থিত হয়েছিলেন কংগ্রেস-বিজেপি-বামফ্রন্টের শীর্ষনেতারা।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

আর এবার, কলকাতার বিড়লা তারামণ্ডল থেকে রানী রাসমণি পর্যন্ত “এক দেশে এক বেতনের” দাবিতে একটি বিশাল মিছিলের আয়োজন করেন বঙ্গীয় নব উন্মেষ প্রাথমিক শিক্ষক সংঘ বা বিএনইউপিএসএসের সদস্যরা। যেখানে পা মেলান রাজ্যের প্রায় প্রত্যেক জেলা থেকে আসা শিক্ষকরা। জানা গেছে, এদিন এই মিছিল করে রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠির কাছে একটি ডেপুটেশনও জমা দেন সংগঠনের সদস্যরা।

তবে শুধু রাজ্যপালই নয়, আগামী ২৪ শে ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী দুর্গাপুরে এলে সেখানেও প্রধানমন্ত্রীর কাছে তাঁরা তাদের এই দাবি তুলে ধরবেন বলে জানিয়েছেন সংগঠনের সদস্যরা। এদিন এই প্রসঙ্গে এই সংগঠনের রাজ্য সম্পাদক চিরঞ্জিত ধীবর বলেন, “কেন্দ্রের নির্দেশানুসারে বেঁধে দেওয়া যোগ্যতা মানে পৌঁছেছেন এই রাজ্যের প্রাথমিক শিক্ষকেরা। কিন্তু এখনও বেতনের ক্ষেত্রে দেশের অন্যান্য রাজ্যের তুলনায় এখানকার শিক্ষকেরা অনেক টাকা কম পাচ্ছেন”।

চিরঞ্জিতবাবুর আরও বক্তব্য, “শীঘ্রই পিআরটি স্কেল চালু করে ন্যায্য বেতন দিতে হবে। না হলে এই আন্দোলনের তীব্রতা আরও বাড়বে”। বিশেষজ্ঞদের মতে, আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের আগে এবার শাসকদলের সবথেকে বড় মাথাব্যথার কারণ হতে চলেছে রাজ্যের প্রাথমিক শিক্ষকদের এই ক্ষোভই। যেভাবে দিনের পর দিন তা বাড়ছে এবং একের পর এক শিক্ষক সংগঠন রাস্তায় নেমে প্রতিবাদের পথে হাঁটছেন – তাতে রাজ্য সরকার কিভাবে এই ক্ষোভকে প্রশমিত করেন সেদিকেই তাকিয়ে সংশ্লিষ্ট মহল।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!