প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – মাঘের শুরুতেই একেবারে একের পর এক ছক্কা হাঁকিয়েছে শীত। যদিও এরমধ্যেই কয়েকদিন ধরেই উধাও হয়েছে রোদ। সেখানে আকাশের মুখ ভার। কিছুটা বেড়েছে তাপমাত্রাও। সঙ্গে দোসর হয়েছে আদ্রতা জনিত অস্বস্তি। তবে হওয়া অফিসের তরফে জানানো হয়েছিল পালাই পালাই করলেও শীত এখনই যাচ্ছে না। সেখানে কালকের থেকেই আবার রাজ্যবাসী শীতের মুখ দেখেছে। তাপমাত্রার পারদ নেমেছে অনেকটা।

সেখানে কাল কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বুধবারের তুলনায় কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা এক ধাক্কায় অনেকটাই কমতে দেখা গিয়েছিল কাল। তবে আজ আরো এক ডিগ্রি কমে কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস থাকবে বলেই জানা গেছে। তবে সেইসঙ্গে আজ সর্বোচ্চ তাপমাত্রাও কিছুটা কমেছে। আজ সর্বোচ্চ তাপমাত্রা থাকবে ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আবহাওয়া দপ্তরের খবর অনুযায়ী, আবহাওয়া পরিবর্তনের পালা শুরু হলেও রবিবার থেকে উষ্ণতা ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পেতেও পারে।

আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাভাস অনুযায়ী গত ২৪ ঘন্টায় দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহারে হাড় কাঁপানো শীত অনুভূত হয়েছে। তাপমাত্রাও কমে হয়েছে ৭৮ ডিগ্রি। রাতে যা আরো অনেকটাই কমে যাচ্ছে। তবে বৃষ্টির সম্ভবনা এখনই উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। তবে দুদিন পর থেকে তাপমাত্রা ২-৩ ডিগ্রি পর্যন্ত বাড়তে পারে বলেও জানান হয়েছে। এছাড়াও রাজ্যের জেলাগুলিতে মাঝারি কুয়াশা দেখা দিতে পারে বলে জানা গেছে।

অন্যদিকে, আবহাওয়া পরিবর্তনের ক্ষেত্রে ভারত আবহাওয়া অধিদফতর জানিয়েছিল যে, কিছুদিন ধরেই উত্তর-পশ্চিম ভারতেও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে কম থাকলে বা ঘন থেকে অতি ঘন কুয়াশার সঙ্গে জাঁকিয়ে শীত পড়লেও তাপমাত্রা কিন্তু তুলনামূলক বাড়তেই পারে। এছাড়া ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে মাঝারি ঝড় এবং বজ্রপাতের সাথে ব্যাপক বৃষ্টিপাত হতে পারে বলে অনুমান করা হচ্ছে। এছাড়া এর কারণে কাশ্মীর, লাদাখ, হিমাচল প্রদেশ, উত্তরাখণ্ডে ২২ জানুয়ারি থেকে ২৪ জানুয়ারির মধ্যে বৃষ্টির সঙ্গে তুষারপাতের সতর্কবার্তা দেওয়া হয়েছে।