প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – ডিসেম্বরের শুরুতে শীতের আমেজ ততটা অনুভূত না হলেও ডিসেম্বরের শেষে শীত ভালোমতোই জানান দিচ্ছে যে বড় দিন এসে গেছে। শীত আসা মানেই বাঙালির ইতিউতি ঘোরা, ময়দানে দুপুরের রোদে গা সেঁকে নেওয়া কি চিড়িয়াখানা কি ভিক্টোরিয়া যাওয়া। এছাড়া পিকনিক তো আছেই। তবে এবার করোনা পরিস্থিতিতে সেই সুযোগ না থাকলেও বাড়ি বসেই অনেকে শীত উপভোগ করার প্ল্যান বানিয়ে ফেলেছেন।

আর সেখানেই তাঁদের সুখবর দিয়ে আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে যে রাজ্যের ন্যূনতম তাপমাত্রা বাড়লেও শীত কিন্তু জাঁকিয়ে পড়বে। আবহাওয়া দপ্তরের তরফে জানান হয়েছে যে, মঙ্গলবার কলকাতার তাপমাত্রা ১২.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছিল। যা কিনা স্বভাবের থেকে ২ ডিগ্রী কম। এবং আজ সেটা ১° বেড়ে হয়েছে ১৩.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস হয়েছে। সেইসঙ্গে তাপমাত্রার এই প্রভাব উত্তর থেকে দক্ষিণে আপাতত বহাল থাকবে বলেই জানিয়েছে আবহাওয়া দপ্তর।

উত্তরবঙ্গের আবহাওয়া সম্পর্কে জানা গেছে, আগামী ৪৮ ঘণ্টায় উত্তরবঙ্গের জেলাগুলির আবহাওয়া থাকবে শুকনো। সেখানে মাঝারি ধরনের কুয়াশা থাকতে পারে বলে জানানো হয়েছে। সেসঙ্গে তাপমাত্রা স্বাভাবিক থেকে দুই থেকে তিন ডিগ্রি কম বেশি হবে বলেও জানান হয়েছে। অন্যদিকে দক্ষিণবঙ্গের ক্ষেত্রে আগামী ৪৮ ঘন্টাতে আবহাওয়ার সেরকম কোনো পরিবর্তন হবে না বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দপ্তর।

সেখানে উত্তরবঙ্গের মতোই দক্ষিণবঙ্গতেও মাঝারি ধরনের কুয়াশা থাকার সঙ্গে সঙ্গে তাপমাত্রা ২ থেকে ৩ ডিগ্রি কমবেশি হবে বলে জানানো হয়েছে। তবে ইতিমধ্যে শৈত্যপ্রবাহের সম্ভাবনা নেই বলে জানা গেছে আবহাওয়া দপ্তর তরফে। অন্যদিকে এদিন আসানসোলের তাপমাত্রা ছিল ১১.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এছাড়া বালুরঘাটে ১০.৮ডিগ্রি, বাঁকুড়াতে ১১.২ডিগ্রি, ক্যানিংয়ে ১২ডিগ্রি, দার্জিলিং এ ৪.৪ ডিগ্রি, কলকাতাতে ১৩.৫ ডিগ্রি, পুরুলিয়াতে ৯ ডিগ্রি, শিলিগুড়িতে ৮ ডিগ্রি এবং শান্তিনিকেতনে ১০.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

কলকাতার সঙ্গে সঙ্গে উত্তরভারতেও প্রবল ঠান্ডা রয়েছে বলেও জানা গেছে। যেখানে উত্তরাখণ্ডে তাপমাত্রা মাইনাসে চলে গেছে বলে জানা যায়। অন্যদিকে, শ্রীলংকার জাতীয় সড়ক প্রায় ১৪ দিন পরে খোলা হয়েছে। সেইসঙ্গে বিহার ও উড়িষ্যার বিভিন্ন জায়গায় শৈত্যপ্রবাহ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। এছাড়া ঝাড়খণ্ডের অনেক জায়গাতে তাপমাত্রা স্বাভাবিকের থেকে অনেকটাই কম রয়েছে বলে জানা গেছে।