এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > বেতন বঞ্চনা থেকে মুক্তি পাওয়ার ন্যায্য দাবি নিয়ে মরণপণ অনশনের লড়াইয়ে রাজ্যের শিক্ষকরা

বেতন বঞ্চনা থেকে মুক্তি পাওয়ার ন্যায্য দাবি নিয়ে মরণপণ অনশনের লড়াইয়ে রাজ্যের শিক্ষকরা


শিক্ষকদের বলা হয় জাতির মেরুদন্ড! অথচ সেই শিক্ষকরাই আজ চরমভাবে বঞ্চিত এই রাজ্যে বলে অভিযোগ। আর সেই বেতন বঞ্চনার বিরুদ্ধে লড়াই করতে, সরকারের কাছে আবেদন জানাতে কোনো পথই বাদ রাখেননি রাজ্যের হাজার হাজার প্রাথমিক শিক্ষকরা। কিন্তু, ঘুম ভাঙেনি সরকারের! উল্টে, নিজেদের ন্যায্য দাবি চাইতে গিয়ে রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রীর কাছ থেকে জুটেছিল ‘অযোগ্য’ তকমা!

আর তাই, এবার নিজেদের ‘জীবনের মূল্যে’ এবার নিজেদের ন্যায্য দাবি ছিনিয়ে নেওয়ার যুদ্ধে নামলেন রাজ্যের শিক্ষকরা। রাজ্যের প্রাথমিক শিক্ষকদের সংগঠন উস্থির ডাকে বিকাশ ভবনের অদূরে আমরণ অনশনে বসেছেন রাজ্যের হাজার প্রাথমিক শিক্ষক – লক্ষ্য একটাই সরকার তাঁদের প্রাপ্য পিআরটি স্কেল দিক। গ্রেড-পে নিয়ে যে বঞ্চনা বছরের পর বছর ধরে চলে আসছে – এবার হোক তার অবসান।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

কতখানি বঞ্চিত রাজ্যের শিক্ষকরা? উদাহরণ শুনলে লজ্জায় মাটিতে মিশে যাবেন! বর্তমানে, এ রাজ্যে জাতির মেরুদন্ড গড়ার কারিগররা ভারতীয় রেলে কাজ করা একজন ঝাড়ুদারের থেকেও কম বেতন পান! এনসিটিই নর্ম মানতে গিয়ে রাজ্য সরকার রাজ্যের সমস্ত শিক্ষকদের কেন্দ্রীয় পলিসি অনুযায়ী নিজেদের শিক্ষাগত যোগ্যতা বাড়াতে বাধ্য করেছেন। সেই ব্যাপারে ছাড় পান নি কেউই। এমনকি অবসরের আর ২-৪ বছর বাকি আছে, এমন শিক্ষকদেরও রীতিমত পড়াশোনা করে, নতুন করে পরীক্ষা দিয়ে নিজেদের উচ্চ মাধ্যমিকের নাম্বার বাড়িয়ে ৫০% করে দেখতে হয়েছে বা ডি-এলএড হাসিল করে দেখতে হয়েছে।

অথচ, এত কষ্ট করে এত কিছু করেও, রাজ্য সরকারের বেতন বঞ্চনার জন্য প্রতি মাসে অন্তত ১৫ হাজার টাকা কম বেতন পাচ্ছেন এই শিক্ষকরা। কিছুদিন আগেই এই নিয়ে কলকাতার রাজপথে মিছিল করতে গিয়ে পুলিশের জলকামান খেতে হয়েছে রাজ্যের শিক্ষকদের। এখানেই শেষ নয়, নিজেদের ‘ন্যায্য দাবি’ চাইতে গিয়ে অন্যায় ও অমানবিকভাবে ১৪ জন শিক্ষককে বদলি হতে হয়েছে দূরবর্তী জেলাতে। শিক্ষামন্ত্রী কথা দিয়েও এখনও ফিরিয়ে আনেননি সেই বদলি হওয়া শিক্ষকদের। পিআরটি স্কেলের দাবি ন্যায্য মেনে নিয়েও করেননি শিক্ষকদের বেতন বঞ্চনার সমাধান।

আর তাই, পৃথা বিশ্বাস, সন্দীপ ঘোষদের নেতৃত্বে রাজ্যের প্রতি কোন থেকে আওয়াজ তুলেছেন উস্থিয়ানরা। বিকাশ ভবনের অদূরে, আমরণ অনশনে বসেছেন তাঁরা। যদিও, তাতে সরকারের ‘কুম্ভকর্ণের ঘুমে’ এখনও পর্যন্ত কোনো ব্যাঘাত ঘটেছে বলে মনে করছেন না আন্দোলনরত শিক্ষকরা! খোলা আকাশের নিচেই, কোনো রকম জল বা ন্যূনতম বাথরুমের কোনো ব্যবস্থা ছাড়াই নিজেদের দাবি পেতে এবার নিজেদের জীবন বাজি রেখেছেন সমাজ তৈরির কারিগররা। অনশন এই নিয়ে তৃতীয় দিনে পা রাখল, কবে গিয়ে রাজ্য সরকার – এই যন্ত্রনা-বঞ্চনা থেকে শিক্ষকদের মুক্তি দিতে সদর্থক পদক্ষেপ নেয় সেদিকেই তাকিয়ে সুশীল সমাজ।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!