এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > নির্বাচনী প্রতিশ্রুতির ২ বড় কাজ সমাপ্ত! মোদী-শাহের পরবর্তী পদক্ষেপ কি?

নির্বাচনী প্রতিশ্রুতির ২ বড় কাজ সমাপ্ত! মোদী-শাহের পরবর্তী পদক্ষেপ কি?


কেন্দ্রীয় সরকারের অর্থাৎ বিজেপির নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি ছিল তিনটি‌। যার একটি হল 370 ধারা বাতিল এবং অন্যটি হল অযোধ্যায় বিতর্কিত স্থানে মন্দির নির্মাণ। 2019 সালের লোকসভা ভোটের পর কেন্দ্রে বিজেপি স্থান পেয়ে এই দুটি কার্য সম্পন্ন করেছে। আর এবার জাতীয় রাজ‍্য রাজনীতিতে ঝড়ের পূর্বাভাস। অভিন্ন দেওয়ানি নীতি নিয়ে নাড়াচাড়া শুরু করে দিয়েছে কেন্দ্র। এই নীতি প্রণয়ন করা হলে তার কি প্রভাব পড়বে দেশে তা নিয়ে এখন থেকেই চিন্তাভাবনা চলছে। কারণ, অভিন্ন দেওয়ানি নীতি হলো বিজেপি সরকারের তিন নম্বর নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি।

রবিবার এ ব্যাপারে ইঙ্গিত দিয়েছেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং। তবে অযোধ্যায় রাম মন্দির প্রসঙ্গে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের নেতা অলক কুমার সহ আরএসএস-এর নেতারা জানিয়েছেন অযোধ্যা রায় ব্যবহার করে কাশী ও মথুরাতে নতুন করে কোনো বিতর্ক তৈরি করা হবে না। কিন্তু অভিন্ন দেওয়ানি নীতি প্রসঙ্গে রাজনাথ সিং অত্যন্ত উৎসাহ দেখিয়ে জানিয়েছেন, ভারতবর্ষে এবার অভিন্ন দেওয়ানি নীতি চালু করার সময় এসেছে। এদিন সংবাদমাধ্যমের সামনে দেওয়া প্রতিক্রিয়ায় রাজনৈতিক শিবিরে যথেষ্ট জল্পনার সৃষ্টি হয়েছে এবং মনে করা হচ্ছে, গেরুয়া শিবির এবার অভিন্ন দেওয়ানি নীতি প্রচলন করার পথের দিকেই নির্দিষ্ট লক্ষ‍্য নিয়ে এগোচ্ছে।

বিজেপির নির্বাচনী ইস্তেহারে প্রথম থেকেই অভিন্ন দেওয়ানি নীতি চালু করার কথা বলা হয়েছে। অভিন্ন দেওয়ানি নীতির ফলে প্রত্যেকটি জাতির ব্যক্তিগত রীতিনীতি ভিত্তিতে ও ধর্মগ্রন্থের ভিত্তিতে যে আইন তৈরি হয়েছে তা সম্পূর্ণ পাল্টে ভারতীয় সংবিধানের বাধ্যবাধকতা সমেত একটি সাধারণ আইন থাকবে প্রত্যেকটি নাগরিকের জন্য। অর্থাৎ বর্তমানে মুসলিম ল যেরকম মুসলিম সম্প্রদায়ের জন্য আছে তার আর প্রয়োজন হবে না বলেই মনে করা হচ্ছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

দ্বিতীয় দফায় মোদি সরকার দিল্লির মসনদে বসার সাথে সাথেই ‘তাৎক্ষণিক তিন তালাক’ আইন প্রণয়ন করেছেন। এই আইনের ফলে তিন তালাক বর্তমানে ফৌজদারি অপরাধ। আপাতত বিজেপি সরকার মনোনিবেশ করেছে সারাদেশে নাগরিকপঞ্জি বাস্তবায়নের দিকে। এই সংক্রান্ত বিলটি আগামী শীতকালীন অধিবেশনে পেশ করা হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। অন্যদিকে রাজনাথ সিং এর বক্তব্যের মধ্যে দিয়ে মনে করা হচ্ছে, আগামী শীতকালীন অধিবেশনে অভিন্ন দেওয়ানি নীতি সংক্রান্ত একটি বিল আনতে চলেছে বিজেপি সরকার।

চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে সুপ্রিমকোর্ট কেন্দ্রীয় সরকারের অভিন্ন দেওয়ানি নীতি চালুর ক্ষেত্রে ব্যর্থতা নিয়ে সরব হয়েছিল‌। শীর্ষ আদালতের পক্ষ থেকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, এতদিন পর্যন্ত কেন্দ্রীয় সরকার অভিন্ন দেওয়ানি নীতি চালু করার জন্য কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি কেন ? অন্যদিকে, দিল্লি হাইকোর্টে একের পর এক আবেদনপত্র জমা পড়েছে অভিন্ন দেওয়ানি নীতি চালু করার জন্য। তবে এবার দেখার, মোদি সরকার অভিন্ন দেওয়ানি নীতি চালু করার জন্য পরবর্তী কি পদক্ষেপ গ্রহণ করেন।

তবে অভিন্ন দেওয়ানি নীতি নিয়ে ইতিমধ্যে জাতীয় রাজনীতিতে ঝড়ের ইঙ্গিত মিলেছে। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের দাবি, কেন্দ্রের অভিন্ন দেওয়ানি নীতি সংক্রান্ত পদক্ষেপের ফলে চূড়ান্ত রাজনৈতিক বিরোধিতা অবশ্যম্ভাবী। এই আইন সংসদে পাস হলে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে দেশের সব মানুষের জন্য একই আইন লাগু হবে। উল্লেখযোগ্যভাবে, বর্তমানে সম্পত্তি, বিয়ে, ডিভোর্স, উত্তরাধিকারসহ একাধিক ক্ষেত্রে হিন্দুদের আইনের সাথে সংখ্যালঘুদের আইন মেলেনা। অভিন্ন দেওয়ানি নীতি হলে সংখ্যালঘুদের জন্য আলাদা করে কোনো আইন থাকবে না। আপাতত গেরুয়া শিবির নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি পালন করতে কি সিদ্ধান্ত নেয়, সে দিকে নজর রাখছে তামাম রাজনৈতিক মহল।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!