এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > জলপাইগুড়ি জুড়ে “সাইলেন্ট ভোট” – কার বাক্স ভরল? কারই বা কপাল পুড়ল? জল্পনা তুঙ্গে

জলপাইগুড়ি জুড়ে “সাইলেন্ট ভোট” – কার বাক্স ভরল? কারই বা কপাল পুড়ল? জল্পনা তুঙ্গে


এবারের লোকসভা নির্বাচনে বিভিন্ন রাজনৈতিক সমীক্ষায় দেখা গেছে রাজ্যজুড়ে প্রবল উত্থান হচ্ছে বিজেপির ভোটব্যাঙ্কের। কিন্তু লাখ টাকার প্রশ্ন সেই ভোটবৃদ্ধি কি জয়ী করতে পারবে বিজেপিকে? মানুষের পাশাপাশি এই নিয়ে তুমুল আগ্রহ রাজনীতির কারবারিদের – কেননা লোকসভার নির্বাচন পর্ব মিটে গেলেই বিভিন্ন জায়গায় পুরভোটের প্রস্তুতি শুরু হয়ে যাবে – যা সরাসরি স্পষ্ট করে দেবে বিধানসভার চিত্র। ফলে, এবারের লোকসভা নির্বাচনে কিভাবে ভোটের ট্রেন্ড চেঞ্জ হচ্ছে তা নিয়ে জল্পনার শেষ নেই।

ফলে লোকসভা নির্বাচনের মধ্য দিয়েই সমস্ত রাজনৈতিক দলের সদস্যরাই তাদের ভোটব্যাঙ্ক কতটা অটুট রয়েছে তা দেখবার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে। ইতিমধ্যেই জলপাইগুড়ি লোকসভা কেন্দ্রের নির্বাচন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে। তবে শহরের ২৫ টি ওয়ার্ড ঠিক কোনদিকে রয়েছে তা নিয়েই শুরু হয়েছে চূড়ান্ত বিশ্লেষণ। প্রসঙ্গত, জলপাইগুড়ি পুরসভার ২৫ টি ওয়ার্ডের মধ্যে তৃনমূল ১৫ টি, ৫ টি কংগ্রেস ও ৫ টি আসন বামেদের দখলে রয়েছে। কিন্তু পৌরসভা তৃনমূলের দখলে থাকলেও বর্তমানে বিরোধী দল বাম এবং কংগ্রেসের ভোট ভাগাভাগিতে ‌অনেকটাই লাভবান হতে পারে বিজেপি – এই আশঙ্কাই এখন ভাবাচ্ছে তৃণমূল নেতাদের।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিন এই প্রসঙ্গে জলপাইগুড়ি পুরসভার চেয়ারম্যান তথা জলপাইগুড়ি টাউন তৃণমূল সভাপতি মোহন বসু সংবাদমাধ্যমকে বলেন, “জলপাইগুড়ি শহরে বিজেপির তেমন কোনো সংগঠন নেই। কিন্তু এবারে কংগ্রেস ও সিপিএম এক হয়ে বিজেপির ভোটব্যাঙ্ক শক্ত করেছে।” তবে এতসব সত্ত্বেও তৃনমূল প্রার্থী এখানে লিড পাবেন বলে জানান মোহনবাবু। তৃনমূলের দাবি, এখানে অবাঙালি ভোটারদের ৫০ শতাংশের বেশি ভোট তৃণমূলে পড়েছে। কিন্তু তৃনমূলের এই দাবি কি যুক্তিযুক্ত?

এদিন এই প্রসঙ্গে জলপাইগুড়ি জেলা কংগ্রেসের সভাপতি নির্মল ঘোষ দস্তিদার সংবাদমাধ্যমের সামনে দাবি করেন, “কংগ্রেসের ভোট আমরা নিজেদের পক্ষেই রেখেছি। তবে বিজেপির বাড়বাড়ন্ত জন্য তৃনমূলই দায়ী। শাসক দলকে শিক্ষা দিতেই মানুষ বিজেপির দিকেই ঝুঁকছে।” অন্যদিকে এই প্রসঙ্গে জেলা সিপিএমের সম্পাদক সলিল আচার্য বলেন, “কে কি বলল আমরা তা নিয়ে ভাবছি না। গ্রামে আমাদের ভোট বেড়েছে। এবারে এখানে ত্রিমুখী লড়াই হচ্ছে।”

অন্যদিকে জলপাইগুড়ি শহরের সিংহভাগ ভোটই তাদের দিকে যাবে বলে জানান জলপাইগুড়ি জেলা বিজেপির সভাপতি দেবাশিস চক্রবর্তী। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, যদি তৃনমূলের কথামতো বিরোধী ভোট বিজেপিতে যায়, তাহলে অনেকটাই চাপে পড়তে হতে পারে তৃনমূলকে। তার থেকেও বড় কথা দীর্ঘ রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা থেকে স্পষ্ট – ভোট যত বেশি পড়ে, তত লাভ হয় বিরোধীদের। এবারে জলপাইগুড়ি লোকসভা কেন্দ্রে ভোটদানের হার প্রায় ৮৭% – সবথেকে বড় কথা এত বিপুল পরিমান ভোটদানের পরেও ভোটদাতারা কার্যত ‘সাইলেন্ট’। যা কিন্তু প্রতিষ্ঠান বিরোধিতার বড় লক্ষ্মণ – আর তাই আশা-আশঙ্কার দোলাচলে সব রাজনৈতিক দলগুলিই। তবে শেষপর্যন্ত কি হবে তা দেখবার জন্য অপেক্ষা করতেই হবে আগামী ২৩ শে মে পর্যন্ত।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!