এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > কংগ্রেস-তৃণমূল জোটের ভবিষ্যৎ নিয়ে কি হল রাহুল গান্ধী ও সোমেন মিত্রের বৈঠকে? জেনে নিন বিস্তারিত

কংগ্রেস-তৃণমূল জোটের ভবিষ্যৎ নিয়ে কি হল রাহুল গান্ধী ও সোমেন মিত্রের বৈঠকে? জেনে নিন বিস্তারিত


আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের আগে দেশের মসনদ থেকে বিজেপিকে সরাতে ঐকবদ্ধ হয়েছে প্রায় সমস্ত বিরোধী দলগুলো। যেখানে বঙ্গ রাজনীতির একে অপরের বিরোধী শত্রু বলে পরিচিত কংগ্রেস এবং তৃণমূলও রয়েছে। আর তাই এই বিরোধী মহাজোট তৈরির পরেই প্রবল জল্পনার সৃষ্টি হয়েছিল যে, তাহলে সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে বিজেপি বিরোধিতায় কংগ্রেস এবং তৃণমূল হাতে হাত ধরে লড়লেও বাংলায় সেই তৃণমূলকেই সরাতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ অধীর চৌধুরী, সোমেন মিত্রদের কি হবে?

অনেকেই ভেবেছিলেন, জাতীয় রাজনীতির স্বার্থে হয়ত বা কংগ্রেস হাইকম্যান্ড রাজ্য কংগ্রেসের নেতাদের সাথে আসন সমঝোতা করার নির্দেশ দেবেন। বিশেষ করে, প্রবল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিরোধী বলে পরিচিত অধীর চৌধুরীকে যখন হঠাৎ করে প্রদেশ সভাপতি হিসাবে সরিয়ে দেওয়া হয় – এই জল্পনা আরও গতি পায়। কিন্তু না, কদিন আগে দিল্লিতে রাজ্য কংগ্রেসের নেতাদের সাথে বৈঠকে তৃণমূলের সাথে জোটের ব্যাপারে রাজ্যের বিধান ভবনের নেতারাই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন বলে সোমেন মিত্রদের কোর্টেই বল ঠেলে দিয়েছিলেন রাহুল গান্ধী।

এমনকি রাজ্যের প্রাক্তন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী, বর্তমান রাজ্য কংগ্রেসের কার্যকরী সভাপতি শঙ্কর মালাকার, বিধানসভার বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নান ও প্রদেশ কংগ্রেসের বর্তমান সভাপতি সোমেন মিত্ররাও রাজ্যে তৃণমূলের সাথে জোটের ব্যাপারে হাইকমান্ডের কাছে তীব্র আপত্তি জানিয়ে এসেছেন। তাঁদের অভিযোগ, রাজ্যে কংগ্রেসকে ভাঙার পেছনে মূল দায়ী তৃণমূলই। তাই তৃণমূলের সঙ্গে জোট করে লড়া বৃথা। এদিকে সদ্যসমাপ্ত দেশের পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফলে দলের সাফল্যে সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে কংগ্রেসের গুরুত্ব অনেকটাই বৃদ্ধি পেয়েছে।

আর এহেন একটা পরিস্থিতিতে যখন সারা দেশজুড়ে বিজেপিকে সরাতে ঐক্যবদ্ধ হচ্ছে বিরোধী মহাজোট, তখন ফের রাজ্য কংগ্রেসের নেতাদের নিয়ে একটি বৈঠক করলেন কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সভাপতি রাহুল গান্ধী। অনেকেই ভেবেছিল, হয়তো বা নিজেদের স্বার্থে রাজ্যের কংগ্রেস নেতাদের এবার তৃণমূলের সাথে সমঝোতা করার বার্তা দেবেন কংগ্রেস হাইকমান্ড। কিন্তু সেই সমস্ত জল্পনা-কল্পনাকে দূরীভূত করে রাজ্যের সংগঠন বাড়াতে প্রদেশ নেতৃত্বকে আরও বেশি করে সক্রিয় হওয়ার নির্দেশ দিলেন কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সভাপতি।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে রাজ্যে তৃণমূল কংগ্রেসের সাথে জোটের ব্যাপারে প্রদেশ নেতৃত্বর ওপর কোনো রকম চাপ সৃষ্টি করেননি রাহুল গান্ধী। উল্টে প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি সোমেন মিত্রর উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, “রাজ্যের কংগ্রেস নেতৃত্বই সিদ্ধান্ত নেবে যে এই জোট হবে কিনা”। এদিকে আসন্ন ১৯ শে জানুয়ারি কলকাতায় তৃণমূলের ব্রিগেড সমাবেশে কংগ্রেসের কোনো হেভিওয়েট নেতা যাতে না যান সেজন্য রাহুল গান্ধীর কাছে আবদার করেন প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি। এই ব্যাপারে হাইকমান্ড শেষ কথা বলবে বলে রাজ্যের কংগ্রেস নেতাদের জানিয়ে দেন রাহুল।

বস্তুত, সম্প্রতি রাজভবনে রাজ্যের ৪ মন্ত্রীর শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নানের উদ্দেশ্যে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “মান্নানদা আমাদের ব্রিগেড সমাবেশে তুমি এস। তোমাদের দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব তো আসছে”। যদিও মুখ্যমন্ত্রীর এই রাজনৈতিক প্রস্তাবকে কিছুটা হেসে উড়িয়ে দিয়ে তা হাইকমান্ডের দিকেই ঠেলে দেন বিরোধী দলনেতা। আর এদিন কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সভাপতি রাহুল গান্ধীর সাথে প্রদেশ কংগ্রেসের রাজ্য সভাপতি সোমেন মিত্রর এই বৈঠকেও সেই প্রসঙ্গ ওঠায় এখন তৃণমূলের এই ব্রিগেড সমাবেশ কংগ্রেসের কোন হেভিওয়েট নেতৃত্ব উপস্থিত থাকেন কিনা সেদিকেই তাকিয়ে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।

এদিন রাহুল গান্ধীর সঙ্গে বৈঠকের পর পশ্চিমবঙ্গের পর্যবেক্ষক গৌরব গগৈ বলেন, “কংগ্রেস এই রাজ্যে সর্বাত্মক আন্দোলনে নামবে। তিন রাজ্যে কংগ্রেসের বিপুল জয়ের পর তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে একবারের জন্যেও রাহুল গান্ধীকে কোনো অভিনন্দন জানানো হয় নি। আমরা এই সৌজন্য তৃনমূলের কাছ থেকে আশা করেছিলাম”। রাজনৈতিক মহলের মতে, জাতীয় রাজনীতিতে হাতে হাত ধরলেও রাজ্যে তৃণমূলের সাথে জোটের ব্যাপারে কংগ্রেসের রাজ্য নেতাদের ওপরেই সমস্ত সিদ্ধান্ত ছেড়ে দিলেন রাহুল গান্ধী। ফলে এখন রাজ্যের কংগ্রেস নেতারা যদি তৃণমূলের সাথে জোটের ব্যাপারে “না” জানালে, তা জাতীয় রাজনীতিতে কতটা প্রভাব ফেলবে সেদিকেই তাকিয়ে সকলে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!