বিনা পয়সায় আর কী কী দিলে ছাত্রছাত্রীরা শুধু উপস্থিতির হারের জন্য আন্দোলন করবে না! তীব্র উষ্মা শিক্ষামন্ত্রীর নদীয়া-২৪ পরগনা রাজ্য December 15, 2018 লোকসভা ভোটের আগে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে কোনোরকম বিক্ষোভ আন্দোলন চায় না শাসকদল। ভোটব্যাঙ্ক বাঁচাতে নিজেদের ভাবমূর্তিকে রাজ্যবাসীর কাছে স্বচ্ছভাবে তুলে ধরতে মরিয়া মা মাটি মানুষের সরকার। তাই কিছুদিন আগে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে উপস্থিতির হার নিয়ে ছাত্রছাত্রীদের করা আন্দোলন নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করতে দেখা গেল শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে। দাড়িভিট কান্ড, স্কুল সার্ভিস কমিশনের শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে কম শোরগোল হয়নি রাজ্যে। তাই এই ধরণের রাজ্য সরকার বিরোধী কর্মকান্ড এড়াতে আসরে নামতে দেখা গেল এবার খোদ শিক্ষামন্ত্রীকে। পানিহাটি বালিকা বিদ্যালয়ে একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে নিজের বক্তব্যে তিনি বলেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শুধুমাত্র উপস্থিত হার নিয়ে আন্দোলন করা উদ্বেগজনক। বর্তমান রাজ্য সরকার ছাত্রছাত্রীদের পড়াশুনো করার জন্যে মেধার ভিত্তিতে স্কলারশিপ দেয় এছাড়া অর্থাভাবে যারা পড়তে পারে না তাদের স্টাইপেন্ড দেওয়া হয় – বইও দেওয়া হয়। এরপরেই ক্ষোভের সঙ্গে তিনি জানতে চান, আর কী কী দিলে ছাত্রছাত্রীরা এই সামান্য কারণে আন্দোলন করবে না? অর্থাৎ, শিক্ষামন্ত্রী যে ছাত্রছাত্রীদের এইসব ‘অন্যায়’ আন্দোলনের পাশে একদমই নেই – তা স্পষ্ট করে দিলেন বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞ মহল। এই প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে উপস্থিতির হার নিয়ে রাজ্য সরকার কিছু করতে পারে না। কারণ এটা সম্পূর্ণই স্কুলের পরিচালন সমিতির আওতাধীন। তবে শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নয়নের জন্যে যে কোনো ধরণের পদক্ষেপ নিতে উদ্যোগী রাজ্য সরকার। ফেসবুকের কিছু টেকনিকাল প্রবলেমের জন্য সব খবর আপনাদের কাছে পৌঁছেছে না। তাই আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে এ প্রসঙ্গে তিনি জানান, রাজ্যের পঠনপাঠনের উন্নয়নের স্বার্থেই সরকারের পক্ষ থেকে ইতিমধ্যেই সিলেবাস পরিবর্তন সহ একাধিক বদল ঘটনো হয়েছে। পরিকাঠামো আধুনিক করা হয়েছে। যার ফলশ্রুতিতে রাজ্যে মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় ফলাফল দিন দিন ভালো হচ্ছে। ছাত্রদের থেকে ছাত্রীরা বর্তমানে এগিয়ে রয়েছে অনেকটাই। এর জন্যে কেবল রাজ্য সরকারের কন্যাশ্রী প্রকল্প দায়ী নয়, আসলে রাজ্যের মেয়েদের পড়াশুনো করার জন্যে উৎসাহ যোগানো হচ্ছে। পাশাপাশি তৃণমূল সরকারের প্রশংসা করে বললেন, রাজ্যে স্কুল কলেজের সংখ্যাও বেড়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যের ক্ষমতায় আসার পর। কলেজ থেকে বিশ্ববিদ্যালয় স্তর পর্যন্ত ৪ লক্ষ ৫০ হাজার আসন সংখ্যা রয়েছে। তবুও দেখা যায় যে প্রতিষ্ঠানে পড়াশুনা ভালো হয় সেখানেই ভীড় জমায় ছাত্রছাত্রীর। এ বিষয়ে ঘোর বিরোধীতা করে মন্ত্রী জানান, সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকেই সমান সম্মান দেওয়া উচিৎ। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ভালো বা খারাপ হয় না। কারণ সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পাশ করার পর একই ডিগ্রি দেবে। আসলে পড়াশুনোর বিষয়টা নির্ভর করে ছাত্রছাত্রীরা পড়াশুনো কতোটা গ্রহন করবে তার উপর। শিক্ষকদের উদ্দেশ্যে মন্ত্রীর বার্তা, সারাদিন যেহেতু ছাত্রছাত্রীরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে থাকেন তাই তাঁদের সঙ্গে নিজের সন্তানের মতো আচরণ করুন। কারণ, এইসব ছাত্রছাত্রীদের অভিভাবকের কাজটা যদি স্কুল, কলেজে করতে পারে তাহলে দিন পাল্টাতে বেশি সময় লাগবে না বলেই তাঁর অভিমত। আপনার মতামত জানান -