প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – বেশ কিছুদিন ধরেই দলের সঙ্গে তার দূরত্ব ক্রমশ বাড়তে শুরু করেছিল। বেহাল রাস্তা সহ একাধিক অভিযোগ নিয়ে সরব হয়েছিলেন তিনি। যার ফলে অস্বস্তি ক্রমশ বাড়ছিল তৃণমূল কংগ্রেসের। আর এই পরিস্থিতিতে মঙ্গলবার তিনি তার অবস্থান স্পষ্ট করবেন বলে জানিয়ে দিয়েছিলেন উত্তরপাড়ার তৃণমূল বিধায়ক প্রবীর ঘোষাল। অবশেষে সাংবাদিক বৈঠক করে আজ দলের কোর কমিটির সদস্য এবং জেলার মুখপাত্র পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার কথা জানিয়ে দেন প্রবীর ঘোষাল।

তবে এখনও পর্যন্ত তৃণমূল ছাড়ার কথা জানাননি তিনি। কিন্তু দ্রুত তৃণমূল কংগ্রেস ত্যাগ করে ভারতীয় জনতা পার্টিতে যোগদান করতে পারেন বলে জল্পনা ছড়িয়ে পড়েছে। আর এই পরিস্থিতিতে বিরোধী দলে যোগদান করা নিয়ে মুখ খুললেন সেই প্রবীর ঘোষাল। যা জল্পনাকে ক্রমশ বৃদ্ধি বাড়তে শুরু করেছে। সূত্রের খবর, আজ সাংবাদিক বৈঠক থেকে দলের কমিটি এবং জেলা তৃণমূলের মুখপাত্র পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার কথা জানিয়ে দেন উত্তরপাড়ার তৃণমূল বিধায়ক প্রবীর ঘোষাল। আর তারপরেই বিরোধীদলের পক্ষ থেকে তার কাছে কোনো প্রস্তাব এসেছে কিনা, তা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তার উত্তর দেন তিনি।

প্রবীর ঘোষাল বলেন, “আমি এখনও পর্যন্ত বিধায়ক। দল ছাড়ার মতো কোনো সিদ্ধান্ত নিইনি। বিজেপিতে যোগদান করার জন্য কোনো সিদ্ধান্ত নিইনি। বিরোধীদলের পক্ষ থেকে কোনো প্রস্তাব আসেনি।” তবে মুখে তৃণমূল বিধায়ক যে কথাই বলুক না কেন, তার পরবর্তী পদক্ষেপ নিয়ে ক্রমশ জল্পনা বাড়তে শুরু করেছে। অনেকে বলছেন, এর আগেও এরকম অনেক নেতা আগের দিন দলের সঙ্গে আছেন বলেও মন্তব্য করলেও, পরের দিন তাদের বিজেপি অফিসে উপস্থিত থাকতে দেখা গেছে। তাই প্রবীর ঘোষাল যখন দলের গুরুত্বপূর্ণ পদ থেকে ইস্তফা দিলেন, তখন তিনি যে পরবর্তী কোনো বড় সিদ্ধান্ত নিতে পারেন, সেই ব্যাপারে নিশ্চিত অনেকেই।

বিশ্লেষকরা বলছেন, দলের সমস্ত পদ থেকে ইস্তফা দিলেও, প্রবীর ঘোষাল এখনও পর্যন্ত তৃণমূলের বিধায়ক। তিনি দলত্যাগের মতো ঘোষণা এখনো করেননি। তবে পরিস্থিতি যেদিকে এগিয়ে যেতে শুরু করেছে, তাতে দলে এভাবে কাজ করা যাচ্ছে না বলে মন্তব্য করলেন এই তৃণমূল বিধায়ক। তবে তিনি বড় কোনো সিদ্ধান্ত নিলেও নিতে পারেন, যা ব্যাপক অস্বস্তিতে ফেলে দিতে পারে শাসক শিবিরকে। ইতিমধ্যেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সোমবার হুগলিতে সভা করলেও সেই সভায় ডাক না পাওয়ার অভিযোগ করেছেন এই তৃণমূল বিধায়ক।

আর তারপরেই বিরোধী দলের পক্ষ থেকে কোনো প্রস্তাব আসেনি বলে মন্তব্য করে জল্পনাকে বন্ধ করার চেষ্টা করলেন। কিন্তু তিনি যে কথাই বলুন না কেন, তার পরবর্তী পদক্ষেপকে কেন্দ্র করে এখন কার্যত তৎপরতা শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। সব মিলিয়ে দলের গুরুত্বপূর্ণ পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার পর প্রবীর ঘোষাল তৃণমূল কংগ্রেসেই থাকেন, নাকি দলবদলের মত কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।