এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > পে-কমিশন ঘোষণা হলেও সবটাই ‘অনিশ্চয়তার’ মোড়কে! বেতন কি হবে – ২৩ তারিখের দিকে তাকিয়ে সবাই!

পে-কমিশন ঘোষণা হলেও সবটাই ‘অনিশ্চয়তার’ মোড়কে! বেতন কি হবে – ২৩ তারিখের দিকে তাকিয়ে সবাই!

মোটামুটি বিশ্বরেকর্ড করার পর, প্রায় ৪ বছর অতিক্রান্ত করে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অবশেষে জানিয়েছেন যে পে-কমিশনের প্রাথমিক রিপোর্ট জমা পড়েছে। এবার তিনি রাজ্য কর্মচারীদের নতুন বেতন দেওয়ার আপ্রাণ চেষ্টা করবেন। একইসঙ্গে জানিয়েছেন, তিনি কর্মচারীদের জন্য কত কিছু করেছেন – যা নাকি সারা ভারতের আর কোথাও নেই!

কিন্তু, এই প্রসঙ্গেই সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি সমীকরণ ঘুরছে, জাতীয় স্পষ্ট হয়ে যাচ্ছে, মুখ্যমন্ত্রীর সেই ঘোষণার পরেও সরকারি কর্মচারীরা খুব একটা আসার আলো দেখছেন না! কি সেই সমীকরণ? বেসিক X ২.৫৭ + ডিএ (কোর্টের ব্যাপার, কিছু বলব না) + এইচআরএ ( আমার উপর ছেড়ে দিন) + এমএ ( উল্লেখ নাই ) = ষষ্ঠ পে-কমিশন অনুযায়ী নতুন বেতন (যথাসাধ্য চেষ্টা করব)!

অর্থাৎ, বিরোধী নেতারা যে সব অভিযোগ করছেন, যে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের ক্ষোভ অনুভব করে তাঁদের সাময়িক শান্ত করতেই, নাকি মুখ্যমন্ত্রী এই পে-কমিশন সামনে নিয়ে এলেন! কিন্তু তাতে তো বিস্তর ফাঁক-ফোঁকর! কোনো কোনো মিডিয়া প্রচার করছে আড়াই গুন বেতন বাড়তে চলেছে! আড়াই গুন বেতন বাড়া তো দূরের কথা, সরকারি কর্মীদের বেতনের মূল অংশ গুলো নিয়েই বড়সড় ধোঁয়াশা।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

শুধু এখানেই শেষ নয়! হাইকোর্ট ও স্যাটের রায় অনুযায়ী নতুন পে-কমিশন ঘোষণা করার আগে পুরোনো ডিএ বকেয়া সহ ২০০৬ সাল থেকে সমস্ত কিছু মিটিয়ে দিতে হবে। এই নিয়ে তো স্পষ্ট রায় তো হয়েই গেছে – তাহলে তা ‘কোর্টের ব্যাপার’ বলে এড়িয়ে যাচ্ছেন কেন মুখ্যমন্ত্রী? তাহলে কি এই নিয়েই পাল্টা কোর্টে যেতে চাইছেন তিনি? যদি সত্যিই তা হয়, তাহলে হয়ত বকেয়া ডিএর পাশাপাশি নতুন পে-কমিশনও বিশ বাঁও জলে চলে যাবে।

এর পাশাপাশিই, তীব্র জল্পনা এরিয়ার নিয়ে কি হবে? স্যাটের রায় তো স্পষ্টই বলছে এরিয়ার দিতে বাধ্য রাজ্য সরকার। এই ষষ্ঠ পে-কমিশন চালু হওয়ার কথা ১ লা জানুয়ারী, ২০১৬ থেকে – তার থেকেও বড় কথা যেদিন থেকে পে-কমিশন চালু হয়, সাধারণত সেদিন থেকেই এরিয়ার দেওয়া হয়। কিন্তু এই নিয়ে চূড়ান্তভাবে মুখ্যমন্ত্রী কিছুই বলেননি। যদি কোনো এরিয়ার না দেন তিনি, তাহলে তা বড়সড় ধাক্কা হতে চলেছে সরকারি কর্মীদের জন্য!

সাধারণত নিয়ম হচ্ছে, পে-কমিশন জমা পড়ার পর মন্ত্রিগোষ্ঠী তৈরী। সেই মন্ত্রিগোষ্ঠীর অনুমোদনের ভিত্তিতেই পাশ হয় পে-কমিশন। বের হয় ‘জিও’ আর তারপরেই বর্ধিত বেতন হাতে পান সরকারি কর্মীরা। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, আগামী ২৩ তারিখ তিনি মন্ত্রীসভার বৈঠকে পে-কমিশনের প্রাথমিক রিপোর্টের সব কিছুই মেনে নিতে চলেছেন। আশা করা যাচ্ছে, এরপরেই ‘জিও’ বের করবে রাজ্য সরকার – আর তখনই স্পষ্ট হবে – কতটা কি পাচ্ছেন আর কতটাই বা বঞ্চিত হচ্ছেন রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!