হোয়াটস্যাপে ভুয়ো খবর ছড়ালেই তা নবান্নের আমলাদের হাত ঘুরে সোজা যাবে সিআইডির কাছে অন্যান্য জাতীয় রাজ্য September 10, 2018July 16, 2021 “সোশাল সাইটে অপপ্রচার করে রাজ্যের পরিস্থিতিকে বিনষ্ট করছেন কিছু মানুষ”- বিভিন্ন সময় এই দাবি করে এসেছেন বঙ্গের প্রশাসনিক প্রধান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বাস্তবেও মুখ্যমন্ত্রীর দাবে অনেক ক্ষেত্রে সত্যিও হয়েছে। যেমন এই তো কদিন আগে ঘটে যাওয়া বসিরহাট এবং দেগঙ্গার অশান্তির ঘটনা। শুধু তাই নয়, সম্প্রতি রাজ্য সরকারের গ্রুপ ডি চাকরির নকল নিয়োগপত্র এবং সরকারি পদোন্নতি নিয়েও কিছু ভিত্তিহীন খবরে তীব্র বিতর্ক ছড়ায় সোশাল মিডিয়ায়। এবার সেই সমস্ত সোশাল নেটওয়ার্কিং সাইটের ভুয়ো খবর আটকাতে সচেষ্ট হল রাজ্য সরকার। সূত্রের খবর, গত বুধবার রাজ্য সরকারের প্রশাসনিক পর্যালোচনা বৈঠকের জন্য সচিবদের নিয়ে তৈরি একটি হোয়াটস অ্যাপ গ্রুপ তৈরি হয়েছিল। এবার সেই গ্রুপেই রাজ্যের তদন্তকারী সংস্থা সিআইডির একটি মোবাইল নম্বর দিয়ে নবান্নের তরফে একটি বার্তা পাঠানো হল। কিন্তু কি আছে সেই বার্তায়? জানা গেছে, সরকারের তরফে ওই বার্তায় বলা হয়েছে, “সাম্প্রদায়িক, উস্কানিমূলক, সরকারের নীতি এবং আদেশনামা নিয়ে অভিসন্ধিমূলক মিথ্যা খবর ছড়ানো হলে এবং তথ্য বিকৃত করে দূরভিসন্ধিমূলক প্রচার হলে সাথে সাথে তা নজরে আনুন।” সাথে সাথে হোয়াটসঅ্যাপে এই ভুয়ো খবর ধরা যে কঠিন কাজ তা কার্যত স্বীকার করে নিয়ে সেই নির্দিষ্ট নম্বরে সেই সমস্ত কিছু পাঠানোর কথা বলেছে নবান্ন। এখানেই অনেকের প্রশ্ন, কদিন আগেই কেন্দ্রর তরফে সোশাল মিডিয়া হাব গড়ার কথা হলেও শীর্ষ আদালতে তৃনমূল বিধায়ক মহুয়া মৈত্রের মামলার জেরে সেই সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসে কেন্দ্র। তাহলে যেই ইস্যুতে কেন্দ্রের বিরোধীতা করল তৃনমূল বিধায়ক ঠিক সেই ইস্যুতেই কেন সেই বাংলায় তৃনমূল সরকারের আমলে সোশাল মিডিয়ায় নজরদারিতে আইএএস অফিসারদের যুক্ত করা হচ্ছে? ফেসবুকের কিছু টেকনিকাল প্রবলেমের জন্য সব খবর আপনাদের কাছে পৌঁছেছে না। তাই আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে এদিন এই প্রশ্নের উত্তরে রাজ্যের তথ্য এবং সংস্কৃতি মন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন বলেন, “দিল্লি যা করতে চেয়েছিল তা বিরোধী কন্ঠরোধের সামিল। গনতন্ত্রে নিশ্চয়ই বিরোধীতা করার অধিকার আছে। কিন্তু সোশাল সাইটে উস্কানি দিয়ে বাংলার সামাজিক পরিস্থিতিকে যাতে আর কেউ অশান্ত করতে না পারে তাই এই উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।” সব মিলিয়ে এবার ভুয়ো খবর রুখতে কড়া পদক্ষেপ রাজ্য সরকারের। আপনার মতামত জানান -