হোয়াটসঅ্যাপ এবার নতুন আইনি গেরোয়, মামলা আদালতে জাতীয় বিশেষ খবর May 28, 2021 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – বেশ কিছুদিন যাবৎ কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে হোয়াটসঅ্যাপ কোম্পানির লেগেছে বিরোধ। সম্প্রতি জনপ্রিয় মেসেজিং অ্যাপ হোয়াটস অ্যাপ এর নিজস্ব কিছু প্রাইভেসি পলিসি নিয়ে শুরু হয়েছিল গন্ডগোল। আর এবার কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে গোপনীয়তা বজায় রাখা নিয়ে একেবারে আইন আদালত পর্যন্ত মামলা চলে গেল। হোয়াটসঅ্যাপের পক্ষ থেকে কেন্দ্রীয় সরকারের দাবির বিরুদ্ধে হাইকোর্টে মামলা করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। অন্যদিকে হোয়াটসঅ্যাপের বিরুদ্ধে বার্তা দিলেন এবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ। মূলত সমস্যা শুরু হয়েছে কেন্দ্রের নতুন আইটি আইন নিয়ে, যার বিরুদ্ধেই মূলত আপত্তি হোয়াটসঅ্যাপের। উল্লেখ্য, কিছুদিন আগেই কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে একটি নতুন আইন চালু করা হয়। যেখানে বলা হয়- ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ, টুইটার, ইউটিউবের মতন সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে যেসব ছবি বা ভিডিও ও কথাবার্তা পোস্ট করা হচ্ছে, তার উৎস কেন্দ্রীয় সরকারকে জানাতে হবে প্রতিটি সোশ্যাল মিডিয়া সংস্থাকে। আর তাই নিয়েই শুরু হয় হোয়াটসঅ্যাপের সঙ্গে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরোধ। এই প্রসঙ্গে ইতিমধ্যে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ জানিয়েছেন, গোপনীয়তার অধিকার একটি মৌলিক অধিকার। কিন্তু প্রয়োজনে সেই অধিকার খর্ব করতে পারে কেন্দ্রীয় সরকার। তবে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জোর দিয়েছেন দেশের সমস্ত মানুষের গোপনীয়তা বজায় রাখার ওপর। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - বুধবার থেকে নতুন নির্দেশিকা জারি হয়েছে সমস্ত সোশ্যাল মিডিয়ার ওপর। যদিও এখনও পর্যন্ত এই আইন বড় বড় সোশ্যাল মিডিয়ার সংস্থাগুলি বন্ধ করেনি। আর সেই পরিপ্রেক্ষিতেই কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, নাগরিকদের মৌলিক অধিকার চূড়ান্ত নয়। গোপনীয়তার অধিকারও সেই তালিকায় পরে। যুক্তিসংগত কারণেই যে কোনো মৌলিক অধিকারের ওপর বিধিনিষেধ আরোপ করা যেতেই পারে এবং এই নিয়েই শুরু হয়েছে তীব্র বিতর্ক। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রবিশংকর প্রসাদের কথায় দেশের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় কিংবা জাতীয় নিরাপত্তা রক্ষার দিকে নজর রেখেই এই নতুন নিয়ম চালু হয়েছে ডিজিটাল মাধ্যমে। কেন্দ্রের দাবী, নতুন আইটি আইনের মাধ্যমে কোনোমতেই হোয়াটসঅ্যাপের সাধারণ ক্রিয়া-কলাপ কিংবা সাধারণ ব্যবহারকারী কোনভাবেই প্রভাবিত হবেননা। সূত্রের খবর, অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্ম এই প্রস্তাব মেনে নিলেও এখনো পর্যন্ত হোয়াটসঅ্যাপ এই প্রস্তাব মানেনি এবং সে কারণেই তাঁরা দিল্লি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। প্রসঙ্গত, এই হোয়াটসঅ্যাপ এবং ফেসবুকের মালিক হলেন মার্ক জুকারবার্গ এবং তাঁর সঙ্গে কেন্দ্রীয় সরকারের সখ্যতা নিয়ে বিভিন্ন সময় বিরোধীরা ব্যাপক ক্ষোভ দেখিয়েছে। কিন্তু এবার যেভাবে হোয়াটসঅ্যাপের সঙ্গে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরোধিতা এগিয়েছে, তাতে আগামী দিনে এই সমস্যা কোন দিকে মোড় নেয়, সে দিকেই নজর থাকবে ওয়াকিবহাল মহলের। আপনার মতামত জানান -