এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > সংসদে কবে পাশ হতে চলেছে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন? সামনে এল বড় তথ্য – জানুন বিস্তারিত

সংসদে কবে পাশ হতে চলেছে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন? সামনে এল বড় তথ্য – জানুন বিস্তারিত


নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন নিয়ে ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় সরকার নানান ইঙ্গিতবাচক কথা বলেছে। এর আগেই নাগরিকত্ব আইনের কথা মাথায় রেখে অসমে এনআরসি হয়। আর তাতেই দেশজুড়ে সমালোচনার ঝড় ওঠে। কারণ এনআরসি আইনের প্রয়োগে দেখা যায় অসমে 19 লক্ষ মানুষের নাম বাদ গেছে। এবং দাবি করা হয়, তার মধ্যে 11 লক্ষ হিন্দুর নাম আছে। এখান থেকেই আস্তে আস্তে এনআরসি কর্মকাণ্ডের বিরোধিতায় নামে বিরোধী দলগুলি। তবে এবার সবদিক প্রস্তুত করে এনআরসি আইন প্রয়োগের জন্য নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন আনতে চলেছে কেন্দ্রীয় সরকার।

এ বছরের 10 ডিসেম্বর সংসদের শীতকালীন অধিবেশনে পাস হতে চলেছে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন 2016। একথা শোনা গেছে অসমের অর্থমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মার কাছে। তাঁর কাছ থেকেই জানা গেছে, নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলটি ইতিমধ্যে লোকসভায় পাস হয়ে গেছে। রাজ্যসভায় পাস হওয়ার মুখে বিলটি দাঁড়িয়ে। হেমন্ত বিশ্ব শর্মা জানিয়েছেন, ’10 ডিসেম্বর বিলটি সংসদে নিয়ে আসা হবে। সংসদের যে আবহাওয়া রয়েছে, তাতে আমরা আশাবাদী যে এই বিলটি পাস হয়ে যাবে।’ সূত্রের খবর ইতিমধ্যে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অমিত শাহ নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল নিয়ে ত্রিপুরা ও মিজোরামের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সাথে আলোচনা করেছেন এবং আগামী 3 ডিসেম্বর অমিত শাহ অসম ছাত্র পরিষদ সহ অন্য ছাত্র সংগঠনগুলোর সাথে নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল নিয়ে আলোচনায় বসবেন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অমিত শাহের সাথে বৈঠকের পর অসমের রাজ্যসভার সদস্য বিশ্বজিৎ দাইমারি জানিয়েছেন, ‘নাগরিকত্ব বিল নিয়ে অমিত শাহের ব্যাখ্যা আমাদের সন্তুষ্ট করতে পেরেছে। আমরা মনে করি এটা নিয়ে চিন্তা করার কিছু নেই উত্তর-পূর্বের নাগরিকদের।’ অন্যদিকে, আসামের বেশ কিছু গোষ্ঠী ও সংগঠনের দাবি, নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলটি পরিবর্তনের পরে আরও ভয়ঙ্কর আকার ধারণ করে জনসাধারণের ওপর বর্ষিত হবে।এ প্রসঙ্গে অখিল গগৈ যাকে সবাই চেনে তথ্য জানার অধিকার কর্মী ও কৃষক মুক্তি সংগ্রাম সমিতির নেতা হিসেবে, তিনি বলেছেন, ‘বিশ্বজিৎ দাইমারি যেটা বলেছেন সেটা অমিত শাহের ভাষা। অসম এবং বেশকিছু উত্তর-পূর্ব রাজ্যের জন্য নাগরিকত্ব বিল ভয়ানক। যেগুলি এতদিন আইএলপি অর্থাৎ অভ্যন্তরীণ সীমা অনুমতি এবং সংবিধানের ষষ্ঠ ধারা দ্বারা সুরক্ষিত ছিল, যা বিলের পরিধির বাইরে রাখা হয়েছে।’ তিনি দাবি জানিয়েছেন, কেন্দ্রের এই পদক্ষেপ বর্তমানে দেশের চূড়ান্ত পিছিয়ে পড়া আর্থিক ব্যবস্থার দিক থেকে নজর ঘোরাতেই কেন্দ্রীয় সরকার এ ধরনের কাজ করতে তৎপর হয়েছে।

তবে যে যাই বলুক, নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকার একেবারে অনড় অবস্থান গ্রহণ করেছে। এনআরসি কেন্দ্রী সরকার চালু করবেই। তার আগেই নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল নিয়ে জোর তৎপরতা শুরু হয়েছে কেন্দ্রীয় মহলে। যদিও বিরোধীরা প্রথম থেকেই সোচ্চার এনআরসির বিরোধিতায়। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ইতিমধ্যে এই ইস্যুকে পাথেয় করে রাজপথে নেমেছেন প্রতিবাদ করতে। কিন্তু তা সত্বেও কেন্দ্রীয় মহলের মনোভাব ছিঁটেফোঁটাও টাল খায়নি। বরং এবার শীতকালীন অধিবেশনে নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল নিয়ে আসার সিদ্ধান্তে অনড় অবস্হা গ্রহণ করেছে কেন্দ্রীয় শাসক দল।

আপনার মতামত জানান -

ট্যাগড
Top
error: Content is protected !!