এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > ব্রেকিং নিউজ – নবান্নে কবে জমা পড়বে পে-কমিশনের রিপোর্ট? জেনে নিন বিস্তারিত

ব্রেকিং নিউজ – নবান্নে কবে জমা পড়বে পে-কমিশনের রিপোর্ট? জেনে নিন বিস্তারিত

প্রিয় বন্ধু মিডিয়া এক্সক্লুসিভ – রাজ্যের লক্ষ লক্ষ সরকারি কর্মচারী ও শিক্ষক এখন আপাতত পাখির চোখের মত তাকিয়ে আছেন আগামী ১৩ ই সেপ্টেম্বরের দিকে। কেননা রাজ্যের গুরুত্ত্বপূর্ন মন্ত্রী তথা তৃণমূল কংগ্রেসের সরকারি কর্মচারী সংগঠনের পর্যবেক্ষক ইতিমধ্যেই ঘোষণা করেছেন আগামী ১৩ তারিখ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিকেল ৪ টের সময় বহু প্রতীক্ষিত পে-কমিশন ঘোষণা করবেন।

যে পে-কমিশন ৬ মাসের মধ্যে রিপোর্ট জমা দেওয়ার লক্ষ্যে তৈরী করা হয়েছিল, তা গোটা ভূ-ভারতে রেকর্ড সৃষ্টি করে চার বছর পূর্ণ করতে চলেছে। এই পরিস্থিতিতে বারেবারেই সরকারি কর্মচারীদের ক্ষোভ আছড়ে পড়লেও, মুখ্যমন্ত্রী অভিরূপ সরকারের নেতৃত্বাধীন পে-কমিশনের মেয়াদ ৬-৭ মাস করে বাড়িয়েই গেছেন। অভিরূপবাবুও সরকারি আনুকূল্যে ঠান্ডা ঘরে বসে ‘পৃথিবীর জটিলতম’ (উপমাটি আমাদের নয় – সরকারি কর্মচারীদেরই সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করা বিভিন্ন পোস্ট থেকে পাওয়া!) হিসেব নিয়ে ব্যস্ত থেকেছেন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

যাই হোক চার বছরের সেই ‘জটিল’ হিসাব নিকাশ শেষে কি দাঁড়াল তা জানা যাবে আগামী ১৩ তারিখ, অন্তত শুভেন্দুবাবুর ঘোষণা তাই বলছে। কিন্তু, মুখ্যমন্ত্রী তা ঘোষণা করতে গেলে, তার আগে অবশ্যই করে নবান্নে জমা পড়া উচিত পে-কমিশনের রিপোর্ট। কেননা, তা জমা না পড়লে বা মন্ত্রীসভায় অনুমোদিত না হলে (অন্তত সরকারি ভাবে) – ঘোষণা হবে কি করে? আর তাই, এই ব্যাপারে আমরা বিভিন্ন সূত্রে অনুসন্ধান শুরু করি। আর এই প্রসঙ্গেই যোগাযোগ করা হয় এই মুহূর্তে রাজ্যের সরকারি কর্মচারী আন্দোলনের অন্যতম পথিকৃৎ তথা সরকারি কর্মচারী পরিষদের রাজ্য আহ্বায়ক দেবাশীষ শীলের সঙ্গে।

দেবাশীষবাবু আমাদের জানান, আমি আপনাদের সূত্র বলব না, তবে আমার কাছে যা খবর আছে আগামী ১১ তারিখের মধ্যে পে-কমিশনের রিপোর্ট নবান্নে জমা পড়তে চলেছে। তবে, একই সঙ্গে এও জানিয়ে রাখি, এই পে-কমিশন নিয়ে বেশি উৎসাহিত বা আশান্বিত হওয়ার কোনো কারণ নেই। আমার ব্যক্তিগত ধারণা, পে-কমিশনের রিপোর্টে কর্মচারী স্বার্থ বিরোধী বহু ‘রেকমেন্ডেশন’ থাকতে চলেছে? কিন্তু, কিসের ভিত্তিতে এই দাবি করছেন সরকারি কর্মচারী আন্দোলনের এত অভিজ্ঞ নেতা?

দেবাশীষবাবুর উত্তর, বর্তমান রাজ্য সরকারের মত কর্মচারী স্বার্থ বিরোধী সরকারি গোটা দেশে আর একটাও দেখেছেন? রাজ্যজুড়ে খেলা-মেলা-উৎসব-দান-খয়রাৎ সব কিছু হয়ে যাচ্ছে! বিধায়ক থেকে মন্ত্রী সকলকেই ‘সরকারিভাবে’ বেতন বাড়িয়ে প্রতিমাসে লাখপতি করা হচ্ছে! রাজস্ব আদায় বেড়েছে, জিএসটি চালু হয়েছে, কেন্দ্রের বরাদ্দ ১০% বৃদ্ধি পেয়েছে, শুধুমাত্র সময়মত ডিএ না দেওয়ায় সরকার গত ৬ বছরে প্রায় ১ লক্ষ কোটি টাকা অতিরিক্ত কোষাগারে তুলেছে – অথচ যে কর্মচারীদের হাত ধরে মুখ্যমন্ত্রীর ‘উন্নয়নের প্রচার’ চলছে, তাঁদের ন্যায্য পাওনা দিতে গেলেই উনি যুক্তি দিয়েছেন – টাকা নেই! তাই এই পে-কমিশন থেকে ‘বঞ্চনা’ ছাড়া আর কিছুই আশা করা যাচ্ছে না!

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!