এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > লকডাউন উঠে গেলেও রেল পরিবহন হতে পারে অত্যন্ত নিয়ন্ত্রিত! সাধারনের সুরক্ষাই পাখির চোখ

লকডাউন উঠে গেলেও রেল পরিবহন হতে পারে অত্যন্ত নিয়ন্ত্রিত! সাধারনের সুরক্ষাই পাখির চোখ


করোনা সংক্রমণ আটকাতে ইতিমধ্যে দেশের 30 টি রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। তার অনেক আগেই আন্তর্জাতিক বিমান পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। আর লকডাউন এর শুরুতেই একে একে গণপরিবহনগুলি বন্ধ হয়েছে। যার মধ্যে আছে ট্রেন, ট্রাম, বাস, মেট্রো ইত্যাদি। মার্চের তৃতীয় সপ্তাহের শেষের দিকেই বন্ধ হয়ে যায় রেল পরিষেবা। যেহেতু রেলের মাধ্যমে জনসমাগম ঘটে সবথেকে বেশি, তাই সবার প্রথম রেল চলাচল বন্ধ করা হয়।

আর তারপরেই শুরু হয় লকডাউন পরিস্থিতি। তবে লকডাউন থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে শুধুমাত্র পণ্যবাহী রেল অর্থাৎ মালগাড়ঙ্কে। লকডাউন এর বাকি আর মাত্র 7 দিন। খুব স্বাভাবিকভাবেই এবার সামনে আসতে শুরু করেছে লকডাউন পরবর্তী সময়ে কিভাবে গণপরিবহণগুলি চালানো হবে! এই অবস্থায় জানা গেছে, রেল কবে থেকে স্বাভাবিক হবে তার এখনো সঠিক দিন জানা যায়নি। পুরো ব্যাপারটাই কেন্দ্রীয় সরকার ঠিক করবে বলে জানা গেছে। তবে সূত্রের খবর, আপাতত দেশের মানুষের স্বাস্থ্যের বিষয়টিকেই রেল মুখ্য করে তুলেছে।

তাই লোকজন পরবর্তী সময়ে রেল চলাচল শুরু করলেও যাত্রীদের সংক্রমণ প্রতিরোধে বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হতে পারে রেলের পক্ষ থেকে বলে জানা যাচ্ছে। এখন থেকেই এই নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে রেল দপ্তরে। যদিও লকডাউনের মধ্যেও পণ্যবাহী রেল অর্থাৎ মালগাড়ি চলেছে। যে কারণে দক্ষিণ পূর্ব রেল, পূর্ব রেল, উত্তর পূর্ব রেল সীমান্তের কর্মীরা তাঁদের কাজ থেকে অব্যাহতি পাননি। অন্যদিকে কলকাতা মেট্রোরেল রবিবার করোনা সংক্রমণের আশঙ্কায় চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের কাছে প্রশিক্ষণ নিতে ব্যস্ত ছিল।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তাছাড়া ও মেট্রো রেলের পক্ষ থেকে দুঃস্থ মানুষদের কাছে খাবার পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে বলে জানা গেছে। অন্যদিকে, সারাদেশের বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থা ঠিকঠাক রাখতে লকডাউন এর মধ্যেও বিভিন্ন তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে কয়লা পৌঁছে দেওয়ার কাজটি করে গেছে মালগাড়ি। এই মালগাড়িতে যেভাবে অত্যাবশ্যকীয় পণ্য পৌঁছেছে, ঠিক সেইভাবেই কৃষকদের সার ও অন্যান্য সরঞ্জামও পৌঁছেছে। মাল গাড়ি চালানোর জন্য রেলকর্মীরা নিয়ম করে কাজ করে গেছেন বলে খবর। যদিও রীতিমত স্বাস্থ্যবিধি মেনেই তাঁরা কাজ করছেন বলে জানা গেছে।

রেলকর্মীরা শুধুমাত্র পণ্য পরিবহণ ব্যবস্থাই দেখছেন যে তা নয়, তাঁরা গরীব মানুষদের জন্য খাবারের ব্যবস্থাও করেছেন। অন্যদিকে, চিকিৎসকমহলকে এবার করোনা সংক্রমণের লড়াই করার জন্য প্রস্তুত করা হচ্ছে বলে সূত্রের খবর। জানা গেছে, এবার রেলের কোচকেই অস্থায়ী করোনা হাসপাতালের রূপ দেওয়া হতে চলেছে। এদিকে রবিবার তপন সিনহা মেমোরিয়াল হাসপাতালে মেট্রো রেলের সাধারণ কর্মীদের নিয়ে হাসপাতালের সমস্ত চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীরা বিশেষ কর্মশালার আয়োজন করেছিলেন বলে খবর।

সেখানে চিকিৎসকরা করোনা প্রতিরোধ ও চিকিৎসার জন্য বিভিন্ন বিষয় হাতে-কলমে শিখিয়েছেন বলে জানা গেছে। তবে এই মুহূর্তে প্রশাসনিক স্তরে করোনা সংক্রমণ রুখতে যেকোনো পদক্ষেপ নেওয়া হোক না কেন, এই মুহূর্তে করোনার প্রভাব ভারতবর্ষসহ গোটা বিশ্বেই মুহূর্তে মুহূর্তে বেড়ে চলেছে। আপাতত করোনা সংক্রমণের এই ভয়াবহ পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে থামবে, তা জানা নেই কারোর। কারণ এখনো পর্যন্ত করোনাভাইরাস এর কোন প্রতিষেধক আবিষ্কার হয়নি। অজানা ভাইরাসের সঙ্গে যুদ্ধে অস্ত্র শুধু সর্তকতা এবং সচেতনতা। বিশেষজ্ঞদের আবেদন সাধারণ মানুষের কাছে, ‘আতঙ্কে নয়, সতর্ক থাকুন’।

আপনার মতামত জানান -

ট্যাগড
Top
error: Content is protected !!