এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > মেদিনীপুর > করোনা পরিস্থিতিতে কোথায় গেলেন শুভেন্দু অধিকারী? তীব্র জল্পনা শুরু রাজনৈতিক মহলে

করোনা পরিস্থিতিতে কোথায় গেলেন শুভেন্দু অধিকারী? তীব্র জল্পনা শুরু রাজনৈতিক মহলে

সারা দেশজুড়ে করোনা পরিস্থিতি রীতিমতো উদ্বেগজনক। বিভিন্ন রাজ্যের সাথে সাথে পশ্চিমবঙ্গেও করোনা পরিস্থিতি নিয়ে চিন্তায় সমগ্র রাজনৈতিক মহল। ইতিমধ্যে করোনা পরিস্থিতি এড়াতে রাজ্য ও কেন্দ্রের যৌথ সিদ্ধান্তে চলছে লকডাউন। এই লকডাউন পরিস্থিতি শুরু হয়েছিল গত 24 মার্চ। দু’দফার লকডাউন শেষ হতে চলেছে আগামী 3 রা মে। কিন্তু লকডাউন এর ফলে সমস্ত রুজি রোজগার বন্ধ হওয়ার জন্য বিপাকে পড়েছেন গরীব সাধারণ, দিন আনা দিন খাওয়া মানুষগুলি।

এই পরিস্থিতিতে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল তাঁদের ক্ষমতা অনুযায়ী দুঃস্থদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন। এই সূত্রেই ডায়মন্ড হারবার লোকসভা কেন্দ্রের সাতটি বিধানসভার অসহায় মানুষদের হাতে প্রতিদিনের খাবার রান্না করে তুলে দিচ্ছেন সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। অন্যদিকে, প্রশান্ত কিশোরের টিম সারা দেশ জুড়ে বিভিন্ন শহরে রান্না করা টাটকা খাবার সরবরাহ করছে বলে জানা গেছে। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এর রসুইঘরের নাম যদি হয় ‘কল্পতরু’, তাহলে প্রশান্ত কিশোরের রান্নাঘরের নাম ‘সবকি রসুই’।

জানা যাচ্ছে, করোনা পরিস্থিতিতে গরিব মানুষদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য তৃণমূল নেত্রীর নির্দেশ অনুযায়ী বিভিন্ন নেতা-মন্ত্রীরা ইতিমধ্যে কাজে নেমে পড়েছেন। তবে প্রশ্ন উঠেছে শুভেন্দু অধিকারীকে নিয়ে। কারণ তাঁকে এই মুহূর্তে প্রত্যক্ষভাবে কোথাও দেখা যাচ্ছে না। রাজ্যে এই মুহূর্তে লকডাউন পরিস্থিতি চলাকালীন সাধারণ গরিব মানুষগুলি পড়েছে বেকায়দায়। কারণ সরকারের রেশন ছাড়া তাঁদের হাতে আর কিছুই নেই। তবে বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন এবং রাজনৈতিক নেতৃত্বের সহায়তায় তাঁদের সাহায্য করা হচ্ছে বলে জানা যাচ্ছে।

এই পরিপ্রেক্ষিতে তৃণমূল যুব সর্বভারতীয় সভাপতি তথা সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ডায়মন্ড হারবার লোকসভা কেন্দ্রের বাসিন্দাদের জন্য এবং সেখানে আটকে পড়া বিভিন্ন মানুষদের জন্য রান্না করা খাবার তুলে দিচ্ছেন তাঁর কমিউনিটি কিচেন থেকে। এর সাথে বিভিন্ন জায়গায় যোগাযোগের জন্য ফোন নাম্বারও দেওয়া হচ্ছে সাধারণ মানুষের হাতে। শুধু অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় নন, অন্যদিকে করোনা পরিস্থিতিতে বিপাকে পড়া দুঃস্থ মানুষের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের ভোট কৌঁশলী প্রশান্ত কিশোর তাঁর টিম নিয়ে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

প্রশান্ত কিশোরের টিম অর্থাৎ আইপ্যাক টিম তাঁদের নিজস্ব কমিউনিটি কিচেন থেকে রান্না করা খাবার পৌঁছে দিচ্ছে দেশের বিভিন্ন রাজ্যে। বিশেষজ্ঞদের মতে, টিম পিকে এই পরিস্থিতিতে সর্বসাধারণের কাছে বার্তা দিতে চাইছে যে তাঁরা শুধু রাজনৈতিক কৌশল রচনাতেই পারদর্শী নয়, বিপদের সময় মানুষের পাশে দাঁড়াতেও তাঁরা সমানভাবে কর্মদ‍্যোগী। ইতিমধ্যেই করোনা দুর্গতদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য বিভিন্ন রাজনৈতিক দল থেকে শুরু করে সমস্ত রাজনৈতিক সংসদ বা বিধায়কের উন্নয়ন তহবিল থেকে অর্থ সাহায্য করা হচ্ছে বলে জানা গেছে।

তবে শুভেন্দু অধিকারীর খোঁজ করতেই জানা গেল মূলত দুই মেদিনীপুর এবং জঙ্গলমহলে তিনি দুঃস্থদের মুখে খাবার তুলে দিচ্ছেন। এই প্রসঙ্গে শুভেন্দু ঘনিষ্ঠ এক অনুগামী জানিয়েছেন, ‘মঙ্গলবার ঝাড়গ্রামের নয়াগ্রাম, বেলপাহাড়ী, লালগড়, সাকরায়েল, জামবনী, ঝাড়গ্রামের বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দাদের জন্য চাল, ডাল, আলু, বিস্কুট, তেল, মুড়ি, ডেটল, সাবান পাঠিয়েছেন। এছাড়া নন্দীগ্রাম ১ ও ২ নং ব্লকের ১৭টি অঞ্চলের পুরোহিত ও ইমামদের হাতে খাদ্য সামগ্রী তুলে দিয়েছেন। এভাবেই দাদা প্রতিদিন নীরবে কাজ করছেন।’ শুভেন্দু অধিকারীর অন্য এক অনুগামী জানিয়েছেন, ‘করোনা মোকাবিলায় প্রচারের আড়ালে থেকে কাজ করছেন তিনি। কিন্তু দাদা প্রচারে আসতে চান না।’

অন্যদিকে দীর্ঘদিন ধরেই বিভিন্ন জায়গা থেকে শোনা যাচ্ছে, তরুণ তুর্কি শুভেন্দু অধিকারীর সাথে দলীয় সুপ্রিমোর মতবিরোধের কথা। করনা পরিস্থিতিতে যখন তৃণমূলের সমস্ত নেতা নেত্রীরা কাজে নেমে পড়েছেন, সে সময় নিশ্চুপে শুভেন্দু অধিকারী যেভাবে কাজ করে চলেছেন তা প্রশংসনীয় বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। অন্যদিকে রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, নিশ্চুপে কাজ করে যাওয়ার মধ্যে দিয়েই শুভেন্দু অধিকারী হয়তো অনেক কিছুই বুঝিয়ে দিচ্ছেন। আপাতত করোনা পরিস্থিতির দিকেই নজর সবার। তাই পরবর্তীতে শুভেন্দু অধিকারী এবং তৃণমূল দলের রাজনৈতিক রসায়ন কোন দিকে মোড় নেয়, তা দেখার অপেক্ষায় থাকবে ওয়াকিবহাল মহল।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!