এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > বাংলা থেকে মোদী মন্ত্রীসভায় স্থান পেতে চলেছেন কারা? দেখে নিন একনজরে

বাংলা থেকে মোদী মন্ত্রীসভায় স্থান পেতে চলেছেন কারা? দেখে নিন একনজরে

সপ্তদশ লোকসভা নির্বাচনের রেজাল্ট আউটের পরে আপাতত দেশজোড়া জল্পনা মোদীর মন্ত্রীসভায় কারা স্থান পেতে চলেছেন – তাই নিয়ে। তবে, এবার বাংলা থেকে রেকর্ড সংখ্যক ১৮ জন সাংসদ বিজেপির থাকায় – বাংলা থেকেও কারা কারা মন্ত্রীসভায় থাকতে পারেন, তা নিয়েও চূড়ান্ত জল্পনা শুরু হয়েছে। বিজেপি ও শরিকদের যা মিলিত সাংসদ সংখ্যা এবং যতগুলি কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর দপ্তর আছে, তাতে প্রত্যেক ৪.২৫ জনে একজন করে মন্ত্রী হওয়ার সুযোগ পাবেন। আর সেক্ষেত্রে বাংলা থেকে ৪ জন মন্ত্রী হওয়া একপ্রকার নিশ্চিত।

তবে, পরিবেশ-পরিস্থিতি বিচারে রাজ্যভেদে চিত্রটা একটু বদলাতে পারে। বিশেষ করে বাংলা থেকে তৃণমূল সরকারকে উৎখাত করে, যখন সেখানে গেরুয়া ঝড় তুলতে চাইছেন নরেন্দ্র মোদী-অমিত শাহরা, সেখানে বাংলা থেকে ৪ এর বদলে ৫, এমনকি ৬ জন পর্যন্ত মন্ত্রী হতে পারেন বলে বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা যাচ্ছে। যদিও, কেন্দ্রীয় মন্ত্রীত্ব কারা পাবেন, সেই নিয়ে চূড়ান্ত গোপনীয়তা রক্ষা করছে বিজেপি। তবুও, বিভিন্ন নেতার আকার-ইঙ্গিতে যা বোঝা যাচ্ছে, তাতে বাংলা থেকে যে নামগুলি নিয়ে জল্পনা চলছে, তাঁরা হলেন –

১. মুকুল রায় – রেলমন্ত্রী হিসাবে তাঁর পূর্ব অভিজ্ঞতা এবং দলীয় কোনো পদে না থেকেও যেভাবে পঞ্চায়েত নির্বাচন ও লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূলের নাভিশ্বাস তুলে দিয়েছেন তিনি – তাতে করে তাঁকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীসভায় দেখতে পাওয়ার সম্ভাবনা খুবই উজ্জ্বল। তাছাড়া মুকুল রায়ের ক্ষেত্রে আরেকটি অঙ্ক কাজ করছে – তা হচ্ছে, তৃণমূল নেত্রী অন্যদল ভাঙিয়ে যেসব নেতাদের নিয়ে আসেন, তাঁদেরকেই কোনো না কোনো পদ দিয়ে দেন। ফলে, তৃণমূলে ভাঙন ধরাতে গেলে মুকুলবাবু আদর্শ উদাহরণ হতে পারেন। যে বিজেপিতে এসেই পদ পাবে না, কিন্তু নিজের যোগ্যতা যদি ধীরে ধীরে প্রমান করতে পার, তবে যোগ্য সম্মান বিজেপিও দেবে তোমাকে।

২. সুরিন্দর সিংহ আহলুওয়ালিয়া – তাঁর মন্ত্রীত্বের কাজে নরেন্দ্র মোদী স্বয়ং খুশি ছিলেন। ফলে, দার্জিলিঙে ‘বহিরাগত’ তকমা দিয়ে তাঁকে নিয়ে নাখুশ থাকলেও, তাঁকে দুর্গাপুর থেকে টিকিট দেওয়া হয়। সেখানে তীব্র লড়াই করে খুব অল্প ব্যবধানে তৃণমূলকে হারান তিনি। ফলে, তাঁর দ্বিতীয়বারের জন্য মন্ত্রী হওয়ার সম্ভাবনা খুবই উজ্জ্বল।

৩. বাবুল সুপ্রিয় – ২০১৪-এর লোকসভা নির্বাচনে যখন বাংলায় সেভাবে বিজেপির হাওয়া ওঠে নি, তখন আসানসোলে দাঁড়িয়ে প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী নরেন্দ্র মোদী জানিয়েছিলেন – মাঝে দিল্লি মে বাবুল চাহিয়ে। আসানসোলবাসী বাবুল সুপ্রিয়কেই দিল্লি পাঠিয়েছিলেন। তিনি কেন্দ্রে মন্ত্রীত্বও পান পরবর্তীকালে, আর সেই মন্ত্রীত্বের উপর ভর করেই আসানসোলে যে উন্নয়ন তিনি করেছেন, তার পরিপ্রেক্ষিতে আসানসোলবাসী তাঁকে প্রায় দুলক্ষ ভোটে জিতিয়েছেন। ফলে অনেকেই মনে করছেন এবারেও বাবুল সুপ্রিয় মন্ত্রীত্ব পেতে পারেন। তবে, তাঁর পাশের কেন্দ্র দুর্গাপুর থেকে সুরিন্দর সিংহ আহলুওয়ালিয়া মন্ত্রীত্ব পেলে তাঁর কপাল পুড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন অনেকেই।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

৪. দিলীপ ঘোষ – বিজেপি রাজ্য সভাপতি হিসাবে নির্বাচনী লড়াইয়ের অভিষেকেই বিধায়ক আর সেই বিধায়ক থাকা অবস্থায় সংসদীয় লড়াইয়ের অভিষেকেই সাংসদ – অনেকেই মজা করে বলছেন দিলীপ ঘোষের বৃহস্পতি এখন তুঙ্গে! আর সেই বৃহস্পতির সাহচর্যে এবার জুটে যেতে পারে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীত্ত্বও! তবে, সত্যি সত্যিই রাজ্য সভাপতি হিসাবে সাংসদ হওয়ায় দিলীপ ঘোষের কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হওয়া একপ্রকার পাকা বলেই মনে করছেন দলেরই একাংশ।

৫. সুভাষ সরকার – সঙ্ঘের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ, পেশায় চিকিৎসক ও দীর্ঘদিনের রাজনীতিবিদ। বাঁকুড়া থেকে এবারে হেভিওয়েট সুব্রত মুখার্জিকে প্রায় ফুঁয়ে উড়িয়ে দিয়ে এবার দিল্লিতে যাচ্ছেন সাংসদ হিসাবে। বাঁকুড়া সহ জঙ্গলমহল এলাকায় উন্নয়নে মুড়ে দিতে চায় বিজেপি সরকার, আর সেক্ষত্রে সুভাষ সরকারকে মন্ত্রী করে বড়সড় চমক দেওয়া হতে পারে বলেও শোনা যাচ্ছে।

৬. লকেট চট্টোপাধ্যায় – বাংলা থেকে অন্তত একজন মহিলা মন্ত্রী চাইছে বিজেপি নেতৃত্ব। আর সেক্ষেত্রে যেভাবে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়ে তৃণমূলের বিরুদ্ধে দাপটে রাজনীতি করেছেন লকেট চ্যাটার্জি, তাতে তাঁর জন্য কেন্দ্রীয় মন্ত্রীত্বের দরজা খুলে যাওয়ার সমূহ সম্ভাবনা আছে বলেই মনে করছেন গেরুয়া শিবিরের একাংশ।

৭. জয়ন্ত রায় – জলপাইগুড়ি থেকে জিতে এবারে সাংসদ হয়েছেন পেশায় চিকিৎসক জয়ন্তবাবু। সবথেকে বড় কথা, উত্তরবঙ্গের ৮ আসনের মধ্যে ৭ টি আসনেই এবার জিতেছে বিজেপি – আর তাই উত্তরবঙ্গের উন্নয়নের জন্য এবার বিশেষ নজর দেবে বিজেপি। আর তাই কেন্দ্রীয় মন্ত্রীসভায় উত্তরবঙ্গ থেকে একজন প্রতিনিধি থাকার সমূহ সম্ভাবনা। আর যোগ্যতার দিক থেকে তাই জয়ন্তবাবু ‘হট-ফেভারিট’ বলে মানছেন গেরুয়া নেতারা।

৮. দেবশ্রী চৌধুরী – দীর্ঘদিনের বিজেপি নেত্রী, রায়গঞ্জের মত হয় প্রোফাইল আসন থেকে দীপা দাশমুন্সি, মহম্মদ সেলিম বা কানাইয়ালাল আগরওয়ালের মত হেভিওয়েট প্রার্থীদের নক-আউট করে বাজিমাত করেছেন। তাছাড়া, দেবশ্রী চৌধুরীকে মন্ত্রী করলে – একসঙ্গে উত্তরবঙ্গ ও মহিলা মন্ত্রী – এই দুই ফ্যাক্টরকেই ঠিক রাখা যাচ্ছে। আর সেই অঙ্কেই প্রথমবার সাংসদ হয়েই মন্ত্রীত্বের দৌড়ে দেবশ্রী চৌধুরী।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!