এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > নদীয়া-২৪ পরগনা > করিমপুরে তৃণমূল প্রার্থী কে? জোর লড়াই দুই হেভিওয়েট নেতার, পিছনে ‘ডার্কহর্স’ এক নেত্রী?

করিমপুরে তৃণমূল প্রার্থী কে? জোর লড়াই দুই হেভিওয়েট নেতার, পিছনে ‘ডার্কহর্স’ এক নেত্রী?

উৎসবের মরশুম শেষের মুখে ফের একবার বাংলায় হতে চলেছে জোরদার রাজনৈতিক লড়াই। আগামী ২৫ শে নভেম্বর রাজ্যের ৩ বিধানসভা আসনে অনুষ্ঠিত হবে উপনির্বাচন। এতদিন, দেখা যেত বাংলায় কোনো নির্বাচনী নির্ঘন্ট ঘোষণা হওয়ার, কয়েক ঘন্টার মধ্যেই নিজেদের প্রার্থীর নাম ঘোষণা করে দিচ্ছে রাজ্যের শাসকদল। কেননা, রাজ্যে ২০১১ সালে ক্ষমতায় আসার পর, রাজ্যের কোনো উপনির্বাচনে শাসকদলকে হারতে হয়েছে এমন ঘটনা হাতেগোনা!

কিন্তু, লোকসভা নির্বাচন থেকেই বদলে গেছে সম্পূর্ণ চিত্র! লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির তীব্র উত্থান তো হয়েছেই, একইসঙ্গে লোকসভার seh দফার সঙ্গে হওয়া উপনির্বাচন থেকে চার-চারটি আসন ছিনিয়ে নিয়েছে গেরুয়া শিবির। আর তাই, বোধহয় আসন্ন ৩ আসনের উপনির্বাচন নিয়ে তাড়াহুড়ো না করে, সবদিক বিবেচনা করে তবেই প্রার্থী দিতে চাইছে তৃণমূল কংগ্রেস।

ফলে, দুদিন আগে নির্বাচনী নির্ঘন্ট প্রকাশ হয়ে গেলেও, এখনও প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করে নি শাসকদল। ৩ আসনের মধ্যে, করিমপুর আসনে তৃণমূলের প্রার্থী কে হবেন, তাই নিয়ে সবথেকে বেশি জল্পনা চলছে। কেননা, লোকসভা নির্বাচনের হিসেব করলে, কালিয়াগঞ্জ ও খড়্গপুর – দুই আসনেই বিপুল ভোটে পিছিয়ে ছিল ঘাসফুল শিবির। অন্যদিকে, করিমপুরে লিড ছিল প্রায় ১৫ হাজার ভোটের। তাছাড়া, এই আসনে বিপুল পরিমানে রয়েছে সংখ্যালঘু ভোট – যে এই মুহূর্তে শাসকদলের বড় শক্তি বলে মেনে নিয়েছেন খোদ দলনেত্রী।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এই পরিস্থিতিতে, করিমপুর থেকে তৃণমূল প্রার্থী হিসাবে সবথেকে বেশি যে নাম উঠে আসছে তা হল – জুলফিকার আলি খান। পেশায় আইনজীবী ও তেহট্টের বাসিন্দা – কিন্তু তৃণমূলের অন্যতম দাপুটে নেতা। করিমপুরে কান পাতলেই শোনা যাচ্ছে তাঁর নাম। তবে, তাঁর কড়া প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে উঠতে পারেন অপর দাপুটে নেতা দীপক বোস বলে শোনা যাচ্ছে। স্থানীয়মহলে, কান পাতলে শোনা যাচ্ছে – এই দুজনের মধ্যে একজনের ভাগ্যে করিমপুরের টিকিটের শিকে ছিঁড়তে চলেছে।

কিন্তু, এর পাশাপাশিই ‘ডার্কহর্স’ হিসাবে উঠে আসছে স্থানীয় এক তৃণমূল নেত্রীর নামও। শাসকদলের একাংশের যুক্তি, এই আসন দীর্ঘ ৪৪ বছর পর বামফ্রন্টের হাত থেকে বেরিয়েছে। আর সেই জয়েন্ট কিলার ছিলেন এক মহিলা মুখ – মহুয়া মৈত্র। পরবর্তীকালে, তিনি কৃষ্ণনগরের মত কঠিন লোকসভা আসন থেকেও বাজিমাত করেছেন। এমনকি, এরপরে তৃণমূল নেত্রী মহুয়াদেবীকে জেলা সভাপতির পদেও বসিয়েছেন। ফলে, করিমপুরে বাজিমাত করতে ‘নারীশক্তির’ উপর ভরসা করলে তা ‘মাস্টারস্ট্রোক’ হতে পারে।

সুতরাং, দলের এক বড় অংশ, করিমপুরে বাজিমাত করতে মহিলা-মখই চাইছেন। আর তাই, ওই স্থানীয় নেত্রী পিছন থেকে উঠে এসে জুলফিকার সাহেব বা দীপক বাবুকে হঠিয়ে টিকিট ছিনিয়ে নিতে পারেন। ফলে, করিমপুরে তৃণমূলের প্রার্থী হওয়া নিয়ে চূড়ান্ত জল্পনা। তবে, স্থানীয় নেতৃত্বের দাবি, আজ বা কালকের মধ্যেই এই ব্যাপারে দলীয়স্তরে চূড়ান্ত সিলমোহর পরে যাবে। একই সঙ্গে তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদের দাবি, প্রার্থী যেই হন, মানুষ ভোট দেবেন ‘দিদিকে’ দেখে। ফলে, প্রার্থী ঘোষণার জন্য অপেক্ষা না করে, দলীয় স্তরে উপনির্বাচনের পূর্ণ প্রস্তুতি শুরু হয়ে গেছে ইতিমধ্যেই।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!