এখন পড়ছেন
হোম > বিশেষ খবর > ২০১৬ এর পর থেকে ‘দলবদল’ করে কারা কারা তৃণমূলী হলেন?

২০১৬ এর পর থেকে ‘দলবদল’ করে কারা কারা তৃণমূলী হলেন?

২০১৬ এর ঐতিহাসিক নির্বাচনে বাংলায় এক লড়ে রাজ্যের শাসকদল পায় ২১১ টি আসন। অন্যদিকে, বিজেপি ও গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা পায় ৩ টি করে আসন। আর বামফ্রন্ট ও কংগ্রেস জোট করে নির্বাচনে লড়লেও, কংগ্রেস ৪৪ টি আসন পেয়ে প্রধান বিরোধী দলের মর্যাদা পায়, আর বামেরা ৩২ আসন পেয়ে নেমে যায় তৃতীয় স্থানে। তবে এরপরই মারা যান নোয়াপাড়ার বাম সমর্থিত কংগ্রেস প্রার্থী মধুসূদন ঘোষ, সেই উপনির্বাচনে জিতে নিজেদের বিধায়ক সংখ্যা বাড়িয়ে নেয় তৃণমূল কংগ্রেস। অন্যদিকে কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিয়ে রাজ্যসভার সাংসদ নির্বাচিত হওয়ায় নিজের বিধায়ক পদে ইস্তফা দেন সবংয়ের কংগ্রেস বিধায়ক মানস ভূঁইয়া। সেখানকার উপনির্বাচনে মানস-পত্নী গীতারানি ভূঁইয়া তৃণমূল কংগ্রেসের টিকিটে বিধায়ক হন। এরপরে প্রয়াত হন তৃণমূলের মহেশতলার বিধায়ক কস্তুরী দাস। ফলে এই মুহূর্তে সরকারিভাবে তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়ক সংখ্যা ২১২।

কিন্তু অন্য দলের টিকিটে জিতেও শাসকদলের উন্নয়নের জোয়ারে শামিল হতে এরপরেই অন্যান্য দল থেকে ‘বেসরকারিভাবে’ একে একে যোগদেন নিম্নলিখিত বিধায়করা। বেসরকারিভাবে কারণ, বিধানসভার স্পিকারের সামনে তাঁরা কেউই দলবদলের কথা স্বীকার করেননি, কিন্তু প্রকাশ্যে তাঁদের তৃণমূলের পতাকা হাতে তুলে নিতে, বা শাসকদলের কর্মসূচিতে বেশ বড়রকমভাবে দেখা গেছে। এই বিধায়করা হলেন –

কংগ্রেস থেকে –
১. কানাইয়া লাল আগরওয়াল – ইসলামপুর
২. গৌতম দাস – গঙ্গারামপুর (এখনো যোগ দেন নি, কিন্তু গুঞ্জন খুব শীঘ্রই যোগ দিতে চলেছেন)
৩. নীহার রঞ্জন ঘোষ (কংগ্রেস সমর্থিত নির্দল) – ইংরেজবাজার
৪. মইনুল হক – ফারাক্কা
৫. শাওনী সিংহ রায় – মুর্শিদাবাদ
৬. অপূর্ব সরকার – কান্দি
৭. রবিউল আলম চৌধুরী – রেজিনগর
৮. শেখ হাসানুজ্জামান – কালীগঞ্জ
৯. অরিন্দম ভট্টাচার্য – শান্তিপুর
১০. শংকর সিংহ – রানাঘাট উত্তর পশ্চিম
১১. দুলাল বর – বাগদা (এখনো যোগ দেননি, তবে জল্পনা প্রবল)
১২. শম্পা দড়িপা – বাঁকুড়া
১৩. তুষারকান্তি ভট্টাচার্য – বিষ্ণুপুর
১৪. বিশ্বনাথ পাড়িয়াল – দুর্গাপুর পশ্চিম (এখনো যোগ দেননি, তবে জল্পনা প্রবল)

বামফ্রন্ট থেকে –
১. দীপালি বিশ্বাস (সিপিআইএম) – গাজোল
২. ধীরেন্দ্রনাথ লায়েক (আরএসপি) – ছাতনা

এছাড়াও গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার তিন বিধায়ক ২০১৬ এর বিধানসভার পর বিরোধী আসনে বসতেন। কিন্তু গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার ক্ষমতা হস্তান্তরিত হয়ে বিমল গুরুঙ্গের কাছ থেকে বিনয়-অনীত জুটির হাতে আসতেই তিন বিধায়ক – সরিতা রাই, অমর সিংহ রাই ও রোহিত শর্মা আবারো শাসকশিবিরের ঘনিষ্ঠ।

ফলে, বর্তমানে ‘বেসরকারিভাবে’ বিধানসভার বিন্যাস নিম্নরূপ –
মোট আসন – ২৯৪
তৃণমূল কংগ্রেস – ২৩১
বামফ্রন্ট – ৩০
কংগ্রেস – ২৯
বিজেপি – ৩
শুন্য আসন – ১

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!