কলেজে ভর্তিতে এত তোলাবাজি, অস্বচ্ছতার নেপথ্যে আসলে কারা? কবে কিভাবে হবে বন্ধ? কলকাতা রাজ্য July 7, 2018 রাজ্যের কলেজগুলিতে বাড়ছে ছাত্র ভর্তিতে তোলাবাজদের দাপট। আর বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এই অভিযোগ উঠে আসছে রাজ্যের বর্তমান শাসকদল তৃনমূল কংগ্রেসের ছাত্রসংগঠন তৃনমূল ছাত্র পরিষদের বিরুদ্ধে। যার জেরে রাজ্য তৃনমূল ছাত্র পরিষদের সভানেত্রী জয়া দত্তকে তাঁর পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হল সম্প্রতি। কিন্তু হঠাৎ করে শিক্ষাপ্রতিষ্টানে অর্থের বিনিময়ে মেধাকে বিক্রি করার সাহস ভেতর থেকে ছাত্ররা করলেও তাঁদের মাথায় ঠিক কাদের হাত রয়েছে? বিরোধীদের দাবি, রাজ্যের বিভিন্ন কলেজে এখন দাদা-কাকুদের অবাধ যাতায়াত। কেউ বা কাউন্সিলরের স্বামী, কেউ বা অশিক্ষক কর্মচারী আবার কেউ বা কলেজ থেকে সদ্য পাশ করা ‘প্রাক্তনী’। আর এই প্রভাবশালী তৃনমূল নেতারাই আজ কলেজের ছাত্রসংগঠনকে নবীন বরন, সোশ্যাল সহ বিভিন্ন বিষয়ে নিয়ন্ত্রন করে অসাধু উপায়ে রাজ্যের কলেজগুলি থেকে কোটি কোটি টাকা ইনকাম করতে ব্যস্ত। এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে বিরোধীদের আরো বিস্ফোরক দাবি, “বড় বড় সরকারি চাকরি করা সত্ত্বেও ছাত্র ভর্তির মধুতে মজে কলেজেই এখনও বসে থাকছেন এই দাদারা। মুখ্যমন্ত্রীর বা শিক্ষামন্ত্রীর আদেশে কর্নপাতই করেননা তাঁর দলের নেতারা। এইভাবে রাজ্যের মেধাকে বিক্রি করলে এ রাজ্য তো রসাতলে যাবে।” সুশীলসমাজও প্রশ্ন তুলেছেন – কেন ছাত্রছাত্রীদের ভবিষ্যৎ নষ্ট করতে বহিরাগত আইনজীবি, ব্যাবসায়ী দাদারা (যাঁরা আদতে হয় রাজনীতিবিদ অথবা কোন হেভিওয়েট নেতার ভোট ম্যানেজার) যাবেন কলেজে? কেন তাঁরা নিজেদের নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দেখানো পথে চলতে পারছেন না? অনেকে মনে করছেন, তৃনমূল ছাত্র পরিষদের রাজ্য সভানেত্রী জয়া দত্তকে তাঁর পদ থেকে সরিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আদতে ‘দু হাত ভরে কামানো বহিরাগত’ এইসব নেতাদের সতর্ক করে দিলেন। বিরোধীদের প্রশ্ন, এখন দেখার কলেজে কলেজে ছাত্র ভর্তিতে বা কলেজ রাজনীতিতে বাইরের দাদাদের হস্তক্ষেপ নিষিদ্ধ করতে এরপরে ঠিক কি উদ্যোগ নেন মুখ্যমন্ত্রী? আদৌ কি ছাত্রভর্তিতে ‘তোলাবাজি’ বন্ধ করতে পারবেন নাকি জয়া দত্তকে ‘স্কেপগোট’ করা হল? কেননা যেভাবে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তর থেকেই তোলাবাজি নিয়ে ঘটনা সামনে আসছে তাতে অত্যন্ত ক্ষুব্ধ সাধারণ রাজ্যবাসী, যার প্রভাব কিন্তু আগামী দিনের নির্বাচন গুলিতে তীব্রভাবে পড়তে পারে। তাই সবমিলিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর কড়া পদক্ষেপের পরেও কি এই তোলাবাজি বন্ধ হবে সেই প্রশ্নই ঘুরপাক খাচ্ছে রাজনৈতিক মহলে। আপনার মতামত জানান -