এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > PB Exclusive – তৃণমূলে ফিরতে পারেন মুকুল রায়! গুজবের পিছনে আসলে কে? সামনে এল বিস্ফোরক তথ্য

PB Exclusive – তৃণমূলে ফিরতে পারেন মুকুল রায়! গুজবের পিছনে আসলে কে? সামনে এল বিস্ফোরক তথ্য


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া এক্সক্লুসিভ – গত কয়েকদিন ধরেই বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হচ্ছে বিজেপিতে গিয়ে নাকি এতদিনেও পদ বা মন্ত্রীত্ব না পেয়ে চরম ক্ষুব্ধ মুকুল রায়। আর তাই তিনি নাকি তৃণমূল কংগ্রেসে ফেরত যাওয়ার জন্য যোগাযোগ শুরু করেছেন। এমনকি এই নিয়ে সম্প্রতি তাঁর সঙ্গে তৃণমূলের দু-দফায় বৈঠকও হয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই মুকুলবাবুকে নিয়ে এহেন খবর সামনে আসতেই কার্যত ঝড় উঠে গেছে রাজ্য-রাজনীতিতে। যে ঝড়ের আঁচড় আছড়ে পড়েছে একেবারে দিল্লিতেও!

মুকুলবাবু তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগদানের পরে আড়াই বছর কেটে গেছে। ইতিমধ্যেই তাঁকে ন্যাশানাল এক্সিকিউটিভ কমিটির সদস্য করা হয়েছে। তিনি যোগদানের পর বাংলায় যে দুটি বড় নির্বাচন হয়েছে (পঞ্চায়েত ও লোকসভা) – দুটিতেই তাঁকে নির্বাচনী পর্যবেক্ষক করা হয়েছে। দু ক্ষেত্রেই যে সাফল্য তিনি বিজেপিকে এনে দিয়েছেন, তা যে কোন দলের কাছেই ঈর্ষণীয়। তাঁর পারফরম্যান্সে রীতিমত খুশি বিজেপির সর্বোচ্চ তিনমূর্তি – নরেন্দ্র মোদী, অমিত শাহ ও জেপি নাড্ডা।

মুকুলবাবুই বঙ্গ বিজেপির একমাত্র নেতা যিনি কোনো পদে না থেকেও যখন তখন বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠকে বসতে পারেন। শুধু তাই নয়, শোনা যাচ্ছে, এবার তাঁকে সর্ব ভারতীয় গুরুত্বপূর্ণ পদে বসানোর পাশাপাশি কেন্দ্রীয় মন্ত্রীসভায় গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রকেও নিয়ে আসা হবে। এছাড়াও, ২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচন পরিচালনার গুরু দায়িত্ব তাঁকেই দিতে চলেছেন মোদী-শাহরা! তাহলে এই যেখানে অবস্থা, সেখানে হঠাৎ মুকুলবাবুর দল ছাড়ার গুঞ্জন উঠল কেন? আর ঠিক কে রয়েছেন এর পিছনে?

এই নিয়েই রাজনৈতিক মহলের বিভিন্ন শিবিরে হানা দেয় প্রিয় বন্ধু মিডিয়া। আর একটু খোঁচাখুঁচি করতেই যা উঠে এল – তা এক কথায় মারাত্মক! মুকুলবাবুর ঘনিষ্ঠ অনুগামীদের বক্তব্য, এই সব কিছুর পিছনেই রয়েছেন শাসকদলের রাজ্যসভার প্রাক্তন এক সাংসদ। যদিও মুকুলবাবুর ঘনিষ্টমহল কারুর নাম করেননি। তারা যা বলেছেন তা হলো – একদা তিনি তৃণমূল নেত্রীর খুবই ঘনিষ্ঠ ছিলেন আর সেই সুবাদেই রাজ্যসভার টিকিট বাগিয়ে নেন। এরপর, রাজ্যের এক চিটফান্ড দুর্নীতিতে নাম জড়াতেই – তৃণমূল নেত্রীর সঙ্গে তাঁর দূরত্ব বাড়তে থাকে। সেই সময়, তিনি তৃণমূল নেত্রীর বিরুদ্ধে প্রচুর বিস্ফোরক অভিযোগ করে বসেন।

মুকুলবাবুর ঘনিষ্ঠ শিবির আরও জানাচ্ছে, এরপর মুকুল রায় তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করলে, ওই প্রাক্তন সাংসদও নাকি ভেবেছিলেন বিজেপি তাঁকেও দলে নিয়ে নেবে। কিন্তু, একে গায়ে চিটফাণ্ডের দাগ, তার উপরে সেই অর্থে তিনি পুরোপুরি রাজনীতিবিদ নন – ফলে বিজেপি তাঁকে কোনোমতেই দলে নিতে চায় নি। আর এরপরেই তিনি কিছু সংবাদমাধ্যমে আবার নিজে কতবড় ‘তৃণমূল কংগ্রেসী’ তা প্রমানে ব্যস্ত হয়ে পড়েন! তৃণমূলের প্রচারের পাশাপাশি তিনি বিজেপির বিরুদ্ধেও সোচ্চার হতে শুরু করেন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

আর এরপর লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূল মুখ থুবড়ে পড়তেই আবারো নেত্রীর ঘনিষ্ঠ বৃত্তে ঢুকতে মরিয়া হয়ে ওঠেন। কিন্তু, একসময় যেভাবে নেত্রীর বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে মুখ খুলেছিলেন, তা এখনও তাঁর বিপক্ষে যাচ্ছে। এদিকে নেত্রীর কাছে তিনি সুবিধা করতে না পেরে, দলে নেত্রীর পরেই সবথেকে যে গুরুত্বপূর্ণ নেতা তাঁর শিবিরে ঢোকার চেষ্টা করেন। এরজন্য ওই নেতার ঘনিষ্ঠ এক মন্ত্রীর সাহায্যও তিনি নাকি নিয়ে থাকেন। তাঁর বিরুদ্ধে আরও জল্পনা, তিনি এত সব কিছুর বিনিময়ে পুনরায় নাকি রাজ্যসভার টিকিট প্রার্থী ছিলেন।

কিন্তু, এত কিছু করেও তাঁর ভাগ্যে এবারে রাজ্যসভার টিকিট জোটে নি। ফলে এখন নাকি ওই প্রাক্তন সাংসদের লক্ষ্য বিধানসভায় একটি ‘সেফ সিট’! আর তাই তিনি নেমেছেন ‘নাম্বার বাড়ানোর’ খেলায়! হঠাৎ করেই তিনি একদিন সটান হাজির হয়ে পড়েন মুকুলবাবুর সল্টলেকের নতুন বাড়িতে। করোনা আবহে তখন এমনিতেই খুব কম লোকজন সেখানে। কিন্তু, যে কজন অনুগামী সেখানে উপস্থিত ছিলেন – ওই ব্যক্তির উপস্থিতিতে সকলেই আশ্চর্যও হন, বিরক্তও হন। তাঁরা তখন ভেবেছিলেন, বিজেপিতে যোগ দিতে চেয়ে আবারো দরবার করতে এসেছেন।

সেদিন সেখানে উপস্থিতি না থাকলেও মুকুলবাবুর অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ এক নেতা জানান, মুকুলবাবুও নাকি সেদিন বিরক্ত ছিলেন। কিন্তু ভদ্রতার খাতিরে ওই প্রাক্তন সাংসদকে বাড়িতে বসতে দেন। এরপর তিনি একান্তে মুকুলবাবুকে নাকি তৃণমূলে ফিরে যেতে অনুরোধ করেন। মুকুলবাবু সটান জানিয়ে দেন, এই সব বিষয়ে তিনি আলোচনা করতে উৎসুক নন। আর তারপরেই তিনি বেরিয়ে যান। এদিকে, এই ঘটনার পরপরই মুকুলবাবুর কাছে দিল্লি থেকে অমিত শাহ ও জেপি নাড্ডার ফোন আসে। বিধানসভা নির্বাচন নিয়ে আলোচনার জন্য তাঁকে দিল্লি ডেকে পাঠান তাঁরা।

মুকুলবাবুও এরপরে দিল্লি উড়ে যান ও দলীয় কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়েন। মুকুলবাবুর ঘনিষ্টমহলের দাবি – এরই মধ্যে, ওই প্রাক্তন সাংসদ যে নেতার ঘনিষ্ঠ তাঁর ঘনিষ্ঠ তরুণ এক তৃণমূলের মুখপাত্রকে দিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় খবর ছড়িয়ে দেন যে মুকুলবাবু দল ছাড়ছেন। এদিকে, মুকুলবাবু দিল্লি থেকে ফিরতেই সংবাদমাধ্যমে নিজের পুরোনো ‘কন্ট্যাক্ট’ কাজে লাগিয়ে তিনি খবর ছড়িয়ে দেন মুকুলবাবু নাকি তৃণমূলে ফিরতে চান আর তাঁর সঙ্গে দুবার এই নিয়ে বৈঠক হয়েছে! আর এই ‘লিড’ পেতেই এক উৎসাহী সাংবাদিক মুকুলবাবুকে ফোনও করে বসেন।

মুকুলবাবু যথারীতি এই প্রশ্নের উত্তরে জানিয়ে দেন, এসব বাজে কথা! এরকম কিছুই হতে যাচ্ছে না। কিন্তু, মুকুলবাবুর এই কথাকে সংবাদে রাখলেও সংশ্লিষ্ট খবরের ‘অ্যাঙ্গেল’ পুরোপুরি পাল্টে যায়! ফলে, তা নিয়ে চূড়ান্তভাবে শুরু হয়ে যায় গুজব। মুকুলবাবুর ব্যাক অফিস সামলানো এক তরুণ নেতার কথায় – সামগ্রিক ঘটনায় মুকুলবাবু প্রচন্ড ক্ষুব্ধ সংশ্লিষ্ট প্রাক্তন সাংসদ ও সেই সংবাদমাধ্যমের উপর। কিন্তু, মজার ব্যাপার, এই সংক্রান্ত সব কিছুই নাকি দিল্লিতে অমিত শাহের কাছে পৌঁছেছে। আর সবটা জেনে অমিত শাহ শুধু মুচকি হেসেছেন! এদিকে দিল্লি বিজেপির এক সূত্র জানিয়েছেন – দেড় মাস অপেক্ষা করুন, তারপর অমিত শাহের এই হাসির মানে বুঝবেন!

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!