আবার দিদির সান্নিধ্যে স্নেহের কানন! সেতুবন্ধের কাজটি করলেন কে? কলকাতা রাজ্য October 29, 2019 আজ রাজ্যজুড়ে পালিত হচ্ছে ভাইফোঁটা – আর সেই দিনেই রাজ্য-রাজনীতিকে চমকে দেওয়ার মত খবর এল সামনে! দলবদল করে তৃণমূল থেকে বিজেপিতে যাওয়া রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী শোভন চট্টোপাধ্যায় এদিন তৃণমূল নেত্রীর কাছে পৌঁছালেন ভাইফোঁটা নিতে! আর এরপরেই রাজ্য-রাজনীতিতে তীব্র জল্পনা – শোভন চট্টোপাধ্যায় কি তাহলে তাঁর স্বল্পমেয়াদী গেরুয়া-ইনিংস শেষ করে, আবার ফিরে যেতে চলেছেন তৃণমূলে? এই জল্পনা যখন বঙ্গ-রাজনীতিকে তোলপাড় করছে, তখনই সামনে আসছে লাখো টাকার প্রশ্ন – তৃণমূলের সঙ্গে তিক্ত সম্পর্ক মিটিয়ে শোভনকে প্রিয় দিদির সান্নিধ্যে ফিরিয়ে আনার পিছনে সেতুবন্ধের কাজটি করলেন কে? শোভন চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে দলের সম্পর্ক এতটাই তিক্ত হয়ে গিয়েছিল যে, গতবছর দলে থাকাকালীন অবস্থাতেও দিদির কাছে যান নি ভাইফোঁটা নিতে! তাহলে, শোভন-তৃণমূল সম্পর্ক ১৮০ ডিগ্রি ঘুরিয়ে দেওয়ার পিছনে আসলে কে? সংশ্লিষ্ট মহলের বক্তব্য, শোভন চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে তৃণমূলের ফাটা সম্পর্ক জোড়া লাগানোর পিছনে আসলে রয়েছেন তাঁর বান্ধবী বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়। বৈশাখীদেবী কিছুদিন আগেই ‘বিজয়া’ করতে গিয়েছিলেন শিক্ষামন্ত্রী তথা তৃণমূল কংগ্রেস মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কাছে। সেই বৈঠকের পরে, বৈশাখীদেবী দাবি করেন, তাঁরা যেহেতু রাজনীতির লোক, তাঁদের মধ্যে রাজনীতি নিয়ে কথা হয়েছে। কথা হয়েছে শোভনবাবুর বিষয়েও। এমনকি, জল্পনা বাড়িয়ে জানান, তিনি নাকি পার্থবাবুর দিকে ঝুঁকেই আছেন! আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - পার্থবাবুও জল্পনা বাড়িয়ে জানান, তাঁদের মধ্যে রাজনৈতিক আলোচনা হয়েছে। তবে ঠিক কি আলোচনা হয়েছে, তা সংবাদমাধ্যমের সামনে আনতে তিনি অস্বীকার করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতেই বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের দাবি, এরপরেই বৈশাখীদেবী শোভনবাবুকে অনুরোধ করেন তৃণমূল নেত্রীকে ফোন করতে। শোভনবাবু ফোন করলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁকে নিজের বাড়ির কালীপূজোতে আমন্ত্রণ জানান। আর তখনই নাকি শোভনবাবু ভাইফোঁটার দিন ‘দিদির’ কাছে যাওয়ার আবেদন করেন। ওই সব সংবাদমাধ্যমের দাবি, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শোভনবাবুর আবেদন মেনে নেওয়াতেই আজ তিনি হাজির হন কালীঘাটে। প্রসঙ্গত, গত ১৪ ই আগষ্ট শোভনবাবু ও বৈশাখীদেবী দিল্লিতে গিয়ে বিজেপিতে যোগদান করেন। কিন্তু, তখন থেকেই বিজেপি নেতৃত্বের সঙ্গে তাঁর মনোমালিন্য চলছে। সেই একই দিন বিজেপির সদর দপ্তরে তৃণমূল বিধায়ক দেবশ্রী রায় হাজির হন, কিন্তু তিনি বিজেপিতে যোগদান করেননি। জল্পনা ছড়ায় শোভনবাবুর ও বৈশাখীদেবীর বাধাতেই নাকি সেদিন দেবশ্রী রায় বিজেপিতে যোগদান করতে পারেননি! এরপরে, শোভনবাবুকে সংবর্ধনা দেওয়ার পরিকল্পনা করে রাজ্য বিজেপি। কিন্তু, সেখানে বৈশাখীদেবী প্রথমে আমন্ত্রিত না হওয়ায় বেঁকে বসেন শোভনবাবু। পরে দুজনকেই সংবর্ধনা দিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয় রাজ্য বিজেপি। কিন্তু দূরত্ত্ব বাড়তেই থাকে। এমনকি রাজ্যে সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ এলেও, সেখানেও অনুপস্থিত থাকেন শোভনবাবু ও বৈশাখীদেবী। তারপর বেশ কিছুদিন দুজনে অন্তরালেই থাকেন। কিন্তু, কিছুদিন আগেই বিজেপি নেতা রাহুল সিনহার জন্মদিনে হাসিখুশি মেজাজে দুজনকে দেখা যায়। তখন ভাবা হচ্ছিল বরফ গলছে – কিন্তু সপ্তাহ না পেরোতেই আজকের ঘটনা নতুন করে শোভন-বৈশাখী ও বিজেপি দূরত্ত্বের জল্পনা বাড়িয়ে দিল বেশ কয়েক গুন! আপনার মতামত জানান -