এখন পড়ছেন
হোম > আন্তর্জাতিক > লকডাউন তুলতে গেলে কি করতে হবে স্পষ্ট জানালো WHO! না হলে “সমূহ বিপদের” হুঁশিয়ারি!

লকডাউন তুলতে গেলে কি করতে হবে স্পষ্ট জানালো WHO! না হলে “সমূহ বিপদের” হুঁশিয়ারি!

বর্তমানে গোটা বিশ্বের বিভিন্ন দেশে আতঙ্কের নাম করোনা ভাইরাস। লক্ষের অধিক প্রাণ ইতিমধ্যেই এই ভাইরাস কেড়ে নিয়েছে। নানা দেশে চলছে মৃত্যুর মিছিল। প্রত্যেকটি দেশই করোনা ভাইরাসের প্রতিষেধক তৈরিতে আপ্রাণ চেষ্টা চালাচ্ছে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত তাতে কোনো সাফল্য পাওয়া যায়নি। যার ফলে সামাজিক দূরত্বকে মান্যতা দিয়ে লকডাউন করা ছাড়া কোনো উপায় ছিল না প্রত্যেকটি দেশের কাছে।

তবে বর্তমানে আগেভাগে লকডাউন করার কারণে অনেক দেশেই করোনা ভাইরাস কিছুটা হলেও একটি পর্যায়ে এসেছে। যার পরে বিভিন্ন দেশ লকডাউন তুলে দিয়েছে। আর এই লকডাউন তুলে দেওয়ার সাথে সাথেই করোনা ভাইরাসও যে অন্য রূপ নিচ্ছে, সেই ব্যাপারে অতীতেও আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন বিশেষজ্ঞরা। আর এবার এই ব্যাপারে আশঙ্কার বাণী শোনাল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা হুঁ।

বস্তুত, ভারত সহ অন্যান্য অনেক দেশে করোনা ভাইরাস কিছুটা স্থিতাবস্থা হওয়ায় সেই দেশগুলো লকডাউনের ক্ষেত্রে হালকা পদ্ধতি অবলম্বন করতে শুরু করেছে। যার ফলে অনেক মানুষ বাইরে বেরোচ্ছেন। বিঘ্নিত হচ্ছে সামাজিক দূরত্ব। ইতিমধ্যেই অনেক দেশের নাইট ক্লাব পর্যন্ত খুলে দেওয়া হয়েছে। যার পরেই সেই দেশগুলোতে আবার করোনা ভাইরাস নতুন রূপে ধরা দিতে শুরু করেছে। আর এটাই চিন্তা বাড়াচ্ছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তাই এখন সকলকে সচেতন করে দিচ্ছে হু। এদিন এই প্রসঙ্গে সারাবিশ্বকে সতর্ক করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার জরুরী কার্যক্রমের প্রধান ডাক্তার মাইক রায়ান বলেন, “করোনা ভাইরাসের আক্রমণে তছনছ হওয়ার পরে দীর্ঘ লকডাউন পার করে অনেক দেশই কড়া লকডাউন হালকা করেছে। দেশ সচল রাখার স্বার্থেই অনন্ত লকডাউন তোলা প্রয়োজন। তবে সংক্রমণ নতুন করে ছড়িয়ে পড়া রুখতে চূড়ান্ত নজরদারি প্রয়োজন। কারণ সংক্রমণের ক্লাস্টারগুলো যদি থেকে যায়, তাহলে রোগটি নিম্নস্তরে চলতেই থাকবে। ফলে ভাইরাসটি আবার পুরোদমে আক্রমণ করবে।”

এদিকে এই ব্যাপারে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ডিরেক্টর জেনারেল ট্রেড্রোস আধানম ঘেব্রেসিয়াস বলেন, “পরিস্থিতি এখন অত্যন্ত জটিল। মানুষের প্রাণ বাঁচানোর জন্য খুব ধীরে ধীরে তুলতে হবে লকডাউন। কড়া নজরদারি রাখতে হবে ঘটনাক্রমের ওপর। হুট করে লকডাউন তুললে বিপদ হতে পারে।” ইতিমধ্যেই এই ব্যাপারে জার্মানি এবং দক্ষিণ কোরিয়ার উদাহরণ তুলে ধরেছেন তিনি। যেখানে এই দুই দেশ করোনা থেকে কিছুটা মুক্তি পাওয়ার সাথে সাথেই লকডাউন হালকা করার পর সেখানে আবার করোনা ভাইরাস ভয়াবহ আকার নিতে শুরু করেছে বলে দাবি করছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কর্তারা।

সব মিলিয়ে এখন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এই সতর্কবার্তার পর যে সমস্ত দেশে করোনা কিছুটা হলেও হালকা হয়েছে, সেখানে লকডাউন ধীরে ধীরে তোলার ব্যাপারে সেই দেশের রাষ্ট্রনায়করা কি সিদ্ধান্ত নেন, তার দিকেই নজর থাকবে সকলের। বিশেষ করে ভারতে তৃতীয় পর্যায়ের লকডাউন শেষ হচ্ছে আগামী ১৭ তারিখ – আর এখন বিভিন্ন রাজ্যে ফিরিয়ে নেওয়া হচ্ছে পরিযায়ী শ্রমিকদের। ফলে জুন-জুলাই মাসে ভারতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা চরমে পৌঁছতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা। ফলে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হুঁশিয়ারি মেনে, ভারতে কি পদক্ষেপ নেওয়া হয় সেদিকেই তাকিয়ে আপামর ভারতবাসী।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!