এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > নব নির্বাচিত সভাপতির মর্মান্তিক মৃত্যু! পরবর্তী সভাপতি নিয়ে তীব্র জল্পনা শুরু বিজেপির অন্দরে

নব নির্বাচিত সভাপতির মর্মান্তিক মৃত্যু! পরবর্তী সভাপতি নিয়ে তীব্র জল্পনা শুরু বিজেপির অন্দরে


হায় রে অদৃষ্ট! দ্বিতীয়বারের জন্য নিজের অভিজ্ঞতা ও কর্মদক্ষতায় ফের শিলিগুড়ির সাংগঠনিক জেলার সভাপতির দায়িত্ব পেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু যমরাজ হয়ত বা তাকে সেই দায়িত্ব আর পালন করতে দিলেন না। বৃহস্পতিবার রাতে দ্বিতীয়বারের জন্য শিলিগুড়ির সাংগঠনিক জেলা বিজেপির সভাপতি পদের দায়িত্ব পান অভিজিৎ রায় চৌধুরী। উত্তরবঙ্গের মধ্যে তিনিই ছিলেন বিজেপির অন্যতম নেতা, যিনি সঠিকভাবে দলকে পরিচালনা করার কাজে হাত লাগিয়ে ছিলেন বলে জানা যাচ্ছে গেরুয়া শিবিরের তরফে।

দলও তার কাজে অত্যন্ত খুশি ছিল। আর সেই মতো দ্বিতীয়বারের জন্য তিনি নির্বাচিত হয়ে তাকে কলকাতায় ডাকা হয়েছিল। তবে দলের দায়িত্ব দ্বিতীয়বারের জন্য হাতে নিয়ে গাড়ি করে শিলিগুড়ি ফেরার পথেই মর্মান্তিক মৃত্যু হল অভিজিৎ রায় চৌধুরীর। যে ঘটনা নিঃসন্দেহে গোটা বিজেপির অন্দরে শোকাতুর পরিবেশ সৃষ্টি করেছে। শুধু বিজেপি নয়, শিলিগুড়িতে গোটা রাজনৈতিক মহলে এখন তৈরি হয়েছে শোকের আবহ।

কেননা ব্যক্তি হিসেবে অভিজিৎ রায় চৌধুরী ছিলেন অত্যন্ত ভালো মানুষ। জানা যায়, নিজের চার বছরের সন্তান এবং অল্পবয়স্কা স্ত্রীকে রেখে 36 বছর বয়সে পরলোকগমন করলেন অভিজিতবাবু। ইতিমধ্যেই তাঁর মৃত্যু নিয়ে তৈরি হয়েছে জলঘোলা পরিস্থিতি। মৃত্যুর খবর পেয়ে কলকাতা থেকে শিলিগুড়িতে তার বাড়িতে দেখা করে গেছেন বিজেপি নেতা মুকুল রায়। তার কথায় উঠে এসেছে যে, অভিজিতবাবুর স্ত্রী নাকি দাবি করেছেন, এই মৃত্যু স্বাভাবিক মৃত্যু নয়।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

ফলে হেভিওয়েট এই বিজেপি নেতার মৃত্যুর পেছনে চক্রান্ত রয়েছে কিনা, তা নিশ্চিত করে বলতে পারছেন না কেউই। তবে যিনি চলে গেছেন, তাকে আর ফিরে পাওয়া যাবে না। তাই তার বিকল্প হিসেবে শিলিগুড়ি জেলা বিজেপির সংগঠন কে সামলাবে, এখন তা নিয়ে প্রবল চিন্তায় গেরুয়া শিবির। বস্তুত, সামনেই শিলিগুড়ি পৌরসভার নির্বাচন রয়েছে। ফলে সেদিক থেকে অভিজিতবাবুর কাঁধে ভর করে বিজেপি এখানে লড়তে চেয়েছিল।

কিন্তু তিনি চলে যাওয়ায় এখন তার দায়িত্বভার কোন নেতার কাধে দেওয়া যায়, তা নিয়ে চলছে জল্পনা। জানা যায়, পরবর্তী জেলা বিজেপির সভাপতির দৌড়ে নাম শোনা যাচ্ছে, জেলা সাধারণ সম্পাদক আনন্দ বর্মন, মনোরঞ্জন মন্ডল, সহ-সভাপতি রাজ ভট্টাচার্য, রজত মুখোপাধ্যায় সহ বেশ কয়েকজনের নাম। এদিন এই প্রসঙ্গে শিলিগুড়ি জেলা বিজেপির মুখপাত্র কমল ঘোষ বলেন, “আমরা সকলেই বাকরুদ্ধ হয়ে আছি। এনিয়ে এখনও কোনো আলোচনা হয়নি।”

একই সঙ্গে তিনি জানান, “তবে দল অভিজিতের মত দক্ষ একজনকে নিশ্চয়ই দায়িত্ব দেবে। ওঁর রাজনৈতিক চিন্তা ভাবনা, সবকিছু মানিয়ে নিয়ে সকলকে নিয়ে চলার মত যে দক্ষতা ছিল, তেমন লোক খুঁজে বের করতে হবে। কাকে জেলা সভাপতি করা যায়, সেনিয়ে রাজ্য থেকে আমাদের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল। আমরা সর্বসম্মতিতে এক বাক্যে অভিজিতের নাম প্রস্তাব করেছিলাম। একজন কর্মীও ওঁর বিরুদ্ধে যাননি। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ওঁর আর সভাপতি থাকা হল না।”

অনেকে বলছেন, অভিজিৎদা সভাপতি থাকছেন না, এটা এক লহমায় স্বীকার করতে পেশাদার রাজনীতিবিদদেরও কষ্ট হচ্ছে। কিন্তু পরলোকে চলে যাওয়া অভিজিতবাবুকে আর ফিরিয়ে আনা যাবে না। তাই তার স্মৃতিকে স্মরণ করেই পরবর্তী শিলিগুড়ি সাংগঠনিক জেলা বিজেপির সভাপতি পদে কে বসেন, সেদিকেই তাকিয়ে শোকাতুর বিজেপি কর্মীরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!