এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > রাহুল গান্ধী নন, প্রধানমন্ত্রী পদে আসন যার বেশি – কুর্শি তার, দাবি জাতীয়স্তরের শীর্ষনেতার

রাহুল গান্ধী নন, প্রধানমন্ত্রী পদে আসন যার বেশি – কুর্শি তার, দাবি জাতীয়স্তরের শীর্ষনেতার


দেশের পরবর্তী লোকসভা নির্বাচনের আর খুব বেশি দেরি নেই। আর এইবারের লোকসভা নির্বাচনের লড়াই অত্যন্ত আকর্ষণীয় হতে চলেছে নরেন্দ্র মোদী বনাম সম্মিলিত বিরোধীদের লড়াই। সেই লড়াইয়ে একদম সামনে থেকে নেতৃত্ত্ব দিচ্ছেন তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ফলে তাঁর দলের কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে এখন থেকেই আওয়াজ উঠে গেছে ‘বাঙালি প্রধানমন্ত্রী’ চাই।

অন্যদিকে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে জানিয়েছেন – তাঁর লক্ষ্য ‘জনবিরোধী’ নরেন্দ্র মোদী সরকারকে সরানো, প্রধানমন্ত্রীত্ত্ব নয়। আগে সম্মিলিত বিরোধী শক্তির কাছে পরাভূত হয়ে নরেন্দ্র মোদী ক্ষমতা থেকে সরুন, তারপর প্রধানমন্ত্রী কে হবেন তা ভাবা যাবে। কিন্তু, তর্কের খাতিরে যদি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রস্তাবিত জোট ক্ষমতা দখলও করে তাহলে প্রধানমন্ত্রী হবেন কে – তাই নিয়ে জল্পনার অন্ত নেই আমজনতার মধ্যে। এরমধ্যেই, রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের ধারণা, কংগ্রেসকে বাদ দিয়ে শুধুমাত্র আঞ্চলিক দলগুলির জোটের ক্ষমতা দখল একপ্রকার অসম্ভব।

আর, এর পরিপ্রেক্ষিতে কংগ্রেস সভাপতি প্রথমে জানিয়ে রেখেছিলেন, কংগ্রেস যদি বিরোধী জোটের সবথেকে বেশি আসন পায়, তাহলে তিনি প্রধানমন্ত্রীত্ত্ব গ্রহণ করতেই পারেন। এই পরিস্থিতিতে দেশের আগামী প্রধানমন্ত্রী পদে কে বসবেন তা নিয়ে এবার মুখ খুললেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রস্তাবিত আঞ্চলিক দলগুলির জোট ফেডারেল ফ্রন্টের অন্যতম গুরুত্ত্বপূর্ন নেতা তথা এনসিপি সুপ্রিমো শরদ পাওয়ার।

আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে

এদিন তিনি বললেন, দেশের বিরোধী দলগুলির ঐক্যবদ্ধভাবে আগামী লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি দলকে চুড়ান্তভাবে পরাজিত করা উচিত। তারপর সকলে মিলে বৈঠক করে স্থির করা যাবে দেশের প্রধানমন্ত্রী পদে কাকে বসানো হবে। এদিন লোকসভা নির্বাচনে বিরোধী শিবিরের প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী কে হবে সেই প্রসঙ্গে নিজের সুস্পষ্ট মতামত দিলেন ৮০ বছরের দোড় গোঁড়ায় দাঁড়ানো শরদ পাওয়ার।

তিনি বললেন, ”আগে নির্বাচন হোক। মানুষ বিজেপির বিরুদ্ধে ভোট দিক। তারপর আমরা একসঙ্গে বসব। যে দল বেশি আসনে জিতবে প্রধানমন্ত্রীর কুর্সি তারাই পাবে”। দেশের প্রধানমন্ত্রী পদের মনোনয়ন প্রসঙ্গে অতীতের বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক ইতিহাসের উদাহরণও তুলে ধরলেন প্রবীন এই মারাঠা নেতা। বর্তমানে কেন্দ্রের শাসক দল বিজেপিকে আগামী লোকসভা নির্বাচনে পরাস্ত করতে তিনি নিজে বিভিন্ন রাজ্যে যাবেন বিজেপি বিরোধী জোটকে শক্তিশালী করার লক্ষ্যে এমন কথাও জানালেন এদিন।

যে রাজ্যে যে দলের ক্ষমতা বেশি তাঁদেরকে বিজেপি বিরোধী জোটের শরিক হওয়ার কথাও জানালেন তিনি। সম্প্রতি বিরোধী ঐক্যের কথা চিন্তা করে কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধীর দেশের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হওয়ার বাসনা ত্যাগ করার প্রসঙ্গে অত্যন্ত সন্তুষ্ট শরদ পাওয়ার বললেন,”আমি খুশি যে কংগ্রেস সভাপতি প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে নেই”। প্রসঙ্গত, প্রথমে নিজে প্রধানমন্ত্রীত্ত্বের কথা বললেও, পরে বিজেপিকে হারানোর জন্য মায়াবতীর মত কাউকে প্রধানমন্ত্রীত্ত্ব ছাড়ার কথা জানিয়েছিলেন রাহুল গান্ধী।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!