এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > মেদিনীপুর > খড়্গপুর উপনির্বাচনে বিজেপি-তৃণমূলের প্রার্থী কে? বাজিমাত করবে কোন পক্ষ?

খড়্গপুর উপনির্বাচনে বিজেপি-তৃণমূলের প্রার্থী কে? বাজিমাত করবে কোন পক্ষ?

গতকালই খড়্গপুর, করিমপুর এবং কালিয়াগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনের দিন ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। তবে কমিশনের পক্ষ থেকে গতকাল এই দিনক্ষণ ঘোষণা করা হলেও তার অনেক আগে থেকেই বিজেপি সাংসদ দিলীপ ঘোষের ছেড়ে যাওয়া খড়্গপুর বিধানসভায় নির্বাচন যে হতে চলেছে, তা ধরে নিয়ে সেখানে নিজেদের মত করে শক্তি বাড়াতে দেখা গেছে শাসক-বিরোধী দুই শিবিরকেই।

তবে বিবাহের ক্ষেত্রে যেমন আগেভাগে সব ঠিক থাকলেও তারিখ না ঠিক হলে তৎপরতা সেইভাবে লক্ষ্য করা যায় না, ঠিক সেরকমটাই নির্বাচনের ক্ষেত্রেও। এতদিন খড়্গপুর বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচন হবে এবং তা দখল করার ব্যাপারে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের মধ্যে তৎপরতা লক্ষ্য করলেও নির্বাচনের দিন গতকাল ঘোষণা হওয়ার সাথে সাথেই নিজেদের মতো করে প্রস্তুতি শুরু করে দিল সমস্ত রাজনৈতিক দল।

প্রসঙ্গত, নির্বাচন কমিশনের ঘোষণা অনুযায়ী, আগামী 25 নভেম্বর এই খড়্গপুর বিধানসভা কেন্দ্রের উপ-নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ইতিমধ্যেই কংগ্রেস এই কেন্দ্রে চিত্তরঞ্জন মন্ডলকে প্রার্থী করে দলের পক্ষে প্রচারে নামতে শুরু করে দিয়েছে। তবে যে দুটি রাজনৈতিক দলের মধ্যে এখানে মূল লড়াই হবে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল, সেই তৃণমূল এবং বিজেপি কোনো দলই তাদের প্রার্থী এখনও ঘোষণা করেনি। যা নিয়ে এখন খড়্গপুর শুরু শহর জুড়ে শুরু হয়েছে তীব্র গুঞ্জন।

চায়ের দোকান থেকে শুরু করে আড্ডা মারার ঠেক প্রায় সর্বত্রই এখন এই আসন্ন উপনির্বাচন নিয়ে আলোচনা। এই কেন্দ্রে বিজেপির ভূতপূর্ব বিধায়ক দিলীপ ঘোষের জায়গায় বিজেপি কাকে প্রার্থী করে – তা নিয়েই সবথেকে বেশি জল্পনা চলছে। পাশাপাশিই, আলোচনা চলছে এই নির্বাচনে হেভিওয়েট মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীর ভূমিকা নিয়েও। খড়্গপুর নিজেদের দখলে আনতে তাঁকেই মূল কান্ডারী করে এগোচ্ছে তৃণমূল। আর শুভেন্দুবাবুও তৃণমূলের উন্নয়নের ডালি দিয়ে খড়্গপুরের মানুষের কাছে পৌঁছে যাচ্ছেন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

ফলে, এই নির্বাচন কার্যত দিলীপ ঘোষ ও শুভেন্দু অধিকারীর হাই-ভোল্টেজ লড়াইয়ে পর্যবসিত হয়েছে। ফলে, বিজেপির কাছ থেকে এই কেন্দ্র নিজেদের দখলে আনতে তৃণমূল কাকে প্রার্থী করে বিজেপিকে টেক্কা দেয়, তা নিয়েও প্রবল আলোচনা তৈরি হয়েছে। তবে এখনও পর্যন্ত প্রার্থী ঘোষণা না হলেও তৃণমূল এবং বিজেপি দুই দলই দাবি করতে শুরু করেছে, এই আসনে তাদের প্রার্থীই জয়লাভ করবে। ফলে, ক্রমশ চড়ছে রাজনৈতিক পারদ। অবাঙালি অধ্যুষিত এই কেন্দ্রে ক্রমশ বাড়ছে রাজনৈতিক উত্তাপ।

এদিন এই প্রসঙ্গে জেলা বিজেপি সভাপতি শমিত দাস বলেন, “আমরা এবার 60 হাজার ভোটের ব্যবধানে জয়ী হব। নিজের এলাকার পায়ের তলার মাটি হারানো কাঁথির যুবরাজকে এনে তৃণমূল শত ধমক-চমক দিলেও সুফল পাবে না।” অন্যদিকে 2016 সালে এই কেন্দ্রে তারা জয়লাভ করতে না পারলেও এবার বিজেপির শক্তঘাঁটি হিসেবে পরিচিত খড়্গপুর বিধানসভা কেন্দ্রে তারাই জয়লাভ করবে বলে দাবি করতে শুরু করেছে তৃণমূল। ইতিমধ্যেই জমে উঠেছে বিজেপি-তৃণমূল কথার লড়াই।

এদিন এই প্রসঙ্গে জেলা তৃণমূলের সভাপতি অজিত মাইতি বলেন, “আমরা এখন সাংগঠনিকভাবে অনেকটা মজবুত। তাই আমাদের জয় নিশ্চিত।” তবে যে দলের নেতা যে কথাই বলুন না কেন, মানুষই যে শেষ কথা বলবে তা প্রায় সকলেই জানেন। তবে এতদিন বিজেপির দখলে থাকা এই আসন যদি বিজেপি দখল করতে না পারে তাহলে তাদের কাছে যেমন তা চাপের, তেমনই 2016 সালের মত যদি এবারও তৃণমূলকে এই আসন হারাতে হয়, তাহলে সামনের বিধানসভা নির্বাচন তৃণমূলের কাছে অত্যন্ত কঠিন হয়ে দাঁড়াবে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

তাই এখন দুই দলই চাইছেন শক্তিশালী প্রার্থী নিয়ে নির্বাচনী বৈতরণী পার হতে। এছাড়াও, এই আসনের লড়াই কার্যত দুই শিবিরের দুই হেভিওয়েট দিলীপ ঘোষ ও শুভেন্দু অধিকারীর রাজনৈতিক তাল ঠোকাঠুকির পরীক্ষাও। আর তাই, কে হবেন এই দুই শিবিরের প্রার্থী, শেষহসি হাসবেন কোনজন তা নিয়ে এখন থেকেই চড়ছে পারদ। এই আসনে বিজেপি-তৃণমূলের লড়াইয়ের মাঝেই কোথাও যেন হারিয়ে যাচ্ছে, এই আসন একদা কংগ্রেসের গড় ছিল। তাই শেষ পর্যন্ত কে এখানে বিজয়ীর হাসি হাসে, সেদিকেই এখন তাকিয়ে সকলে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!