এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > আসানসোলে বাবুল সুপ্রিয়র বিরুদ্ধে ‘হেভিওয়েট প্রার্থী’ পেয়ে গেল তৃণমূল?

আসানসোলে বাবুল সুপ্রিয়র বিরুদ্ধে ‘হেভিওয়েট প্রার্থী’ পেয়ে গেল তৃণমূল?

বিগত বেশ কয়েকদিন ধরেই রাজনৈতিক মহল তথা সোশ্যাল মিডিয়াতে জোর গুঞ্জন বিজেপি ছেড়ে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিতে পারেন বিজেপি সাংসদ শত্রুঘ্ন সিনহা, শুধু তাই নয় সেক্ষত্রে বিজেপির দাপুটে সাংসদকে আসানসোল থেকে তৃণমূলের টিকিটে কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়র বিরুদ্ধে দাঁড় করাতে পারেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই জল্পনা এতদিন জল্পনার স্তরেই থেকে গিয়েছিল, কেননা এই নিয়ে এতদিন শত্রুঘ্ন সিনহা নিজে বা তৃণমূল কংগ্রেস কেউই সরকারিভাবে কোনো মন্তব্য করেননি। কিন্তু এবার প্রকাশ্যে যেভাবে বাবুল সুপ্রিয় ও শত্রুঘ্ন সিনহার মধ্যে যেভাবে বিবৃতির লড়াই শুরু হয়ে গেল তাতে করে এই জল্পনা আরো গতি পেতে বাধ্য বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।

এমনিতেই, বিজেপির বিক্ষুব্ধ নেতার চেয়েও বেশি শত্রুঘ্ন সিনহার বেশি ‘খ্যাতি’ মোদী বিরোধী রাজনীতিক হিসাবেই। সম্প্রতি বিজেপি শাসিত রাজ্য রাজস্থানের ২ টি লোকসভা ও ১ টি বিধানসভা উপনির্বাচনে কংগ্রেসের কাছে ভরাডুবি হয় বিজেপির। সামনেই রাজস্থানে বিধানসভা নির্বাচন, সেখানে যদি ‘খারাপ’ ফল হয়, তা লোকসভা নির্বাচনের আগে বড়সড় ধাক্কা হতে পারে নরেন্দ্র মোদী-অমিত শাহ জুটির কাছে। আর উপনির্বাচনে হারের পরেই মুখ খোলেন শত্রুঘ্ন সিনহা। তিনি বলেন, ধীরে ধীরে মানুষ মুখ খুলতে শুরু করেছেন। রাজস্থানই হল প্রথম রাজ্য যেখান ৩ তালাক দেওয়া হয় – আজমেঢ়, আলওয়াড়, ও মন্দালগড় থেকে। আর শত্রুঘ্ন সিনহার এই মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে এক সংবাদমাধ্যমকে বাবুল সুপ্রিয় তাঁর প্রতিক্রিয়ায় জানান, শত্রুঘ্ন সিনহাজিকে বলছি, এতই রাগ যখন কেন সংসদে আসেন? কেমন এমন পরিস্থিতি তৈরি করেন যাতে অপরকে বলতে হয় ‘খামোশ’। ড্রেসিং রুমের কথা সেখানেই থাকতে দিন। আপনি ৩ তালাক দিয়ে নিজেই বিজেপি থেকে সরে যান। আর এই বিবৃতির লড়াইয়ের পর, রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের ধারণা শত্রুঘ্ন সিনহার বিজেপি ছেড়ে ‘অন্যদলে’ যোগ দেওয়ার জল্পনা গতি পেতে বাধ্য, তবে বাস্তবে কি হবে তার উত্তর আপাতত ভবিষ্যতের গর্ভে।

সবথেকে বড় কথা, বর্তমানে বিজেপি বা নরেন্দ্র মোদী বিরোধী অন্যতম প্রধানমুখের নাম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর বাংলার দিদির সাথে শত্রুঘ্ন সিনহার কোনো বিবাদ আছে বলেও জানা যায়নি, উল্টে তিনি দিদিকে রীতিমতো শ্রদ্ধা করেন বলেই জনশ্রুতি। তাই অনেকেই মনে করছেন যে তিনি যদি বিজেপি ছাড়েন তবে তৃণমূলেই যাবেন আর সেখানে আসানসোল থেকে বাবুলবাবুর বিরুদ্ধে লড়তেও পারেন, বিশেষ করে আসানসোলে অবাঙালি ভোটের কথা মাথায় রেখে, তবে সবটাই জল্পনা। রাজনীতিতে কি হবে তা নিশ্চিত করে কেউই বলতে পারে না, তাই লোকসভা ভোটের দামামা বেজে যেতেই রাজনৈতিকমহল বিভিন্ন নতুন সমীকরণের অঙ্ক কষতে শুরু করে দিয়েছে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!