বিজেপির ঘর ভেঙেই কি ২০১৯-এ আসানসোলে ‘হেভিওয়েট’ প্রার্থী দেবে তৃণমূল কংগ্রেস? জাতীয় বিশেষ খবর রাজ্য May 28, 2018 রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোট মিটতে না মিটতেই লোকসভা নির্বাচনের ঢাকে কাঠি পরে গেল। যদিও নির্বাচনের আরো এক বছর প্রায় বাকি, কিন্তু সূত্রের খবর নির্বাচনী বিধি চালু হয়ে যেতে পারে আগামী নভেম্বর-ডিসেম্বর মাস থেকেই। ফলে বিভিন্ন রাজনৈতিক সমীকরণ নিয়ে ক্রমশ বাড়ছে জল্পনা। একদিকে যখন, পঞ্চায়েতে রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল হয়ে উঠে গেরুয়া শিবির আওয়াজ তুলেছে আগামী ২০১৯ এর লোকসভা নির্বাচনে রাজ্য থেকে অন্তত ২২ টি আসন জিতবে, অন্যদিকে তখন রাজ্যের শাসকদল আওয়াজ তুলেছে কেন্দ্রে বিজেপি সরকারকে সরিয়ে আঞ্চলিক দলগুলির জোট সরকার আনতে বাংলার ৪২ টি আসনেই তৃণমূলকে জয়যুক্ত করতে হবে। ২০১৪ সালে এমনিতেই রাজ্যে যথেষ্ট ভালো ফল করেছিল তৃণমূল কংগ্রেস। ৪২ তো লোকসভা আসনের মধ্যে ৩৪ টি জেতে তারা। কিন্তু তারমাঝেও সবাইকে অবাক করে দিয়ে আসানসোল থেকে বিজেপি প্রার্থী বাবুল সুপ্রিয় জয়ী হন, পরবর্তীকালে নরেন্দ্র মোদী বাবুল সুপ্রিয়কে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীসভায় স্থান দেন। ফলে এবারের লোকসভা নির্বাচনে আসানসোলের বিজেপি প্রার্থী ‘ভিভিআইপির’ মর্যাদা পাবেন বলায় বাহুল্য। আর তাই সেই আসনে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী হিসাবে কাকে দাঁড় করায় তা নিয়ে তুমুল জল্পনা চলছে। এর মধ্যেই সূত্রের খবর আসানসোলে বিজেপি ছেড়ে এসে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী হতে পারেন জনপ্রিয় অভিনেতা তথা বিজেপির দীর্ঘদিনের সাংসদ শত্রুঘ্ন সিনহা। এমনিতেই তিনি বিজেপির অন্দরে থেকেও অন্যতম নরেন্দ্র মোদী বিরোধী মুখ, তার উপরে আসানসোলে বহু হিন্দিভাষী মানুষের বাস। কিছুদিন আগেই তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করে কেন্দ্র বিরোধী ও জনদরদী পদক্ষেপের জন্য ভূয়সী প্রশংসাও করেছেন শত্রুঘ্ন সাহেব। আর তাই সবমিলিয়ে রাজনৈতিক মহলে তীব্র জল্পনা তাঁকেই আসানসোলের টিকিট দেওয়া হতে পারে। যদিও এই নিয়ে সরকারিভাবে এখনো শত্রুঘ্ন সিনহা নিজে বা তৃণমূল কংগ্রেস দল হিসাবে কিছু জানায়নি, ফলে পুরো বিষয়টিই জল্পনার স্তরে আছে। আপনার মতামত জানান -