এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > নদীয়া-২৪ পরগনা > করিমপুর উপনির্বাচন নিয়ে ক্রমশ চড়ছে উত্তেজনার পারদ! শেষ হাসি হাসবে কে?

করিমপুর উপনির্বাচন নিয়ে ক্রমশ চড়ছে উত্তেজনার পারদ! শেষ হাসি হাসবে কে?


সদ্য লোকসভা নির্বাচন সমাপ্ত হলেও রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে বিন্দুমাত্র বিরাম নেই। নদিয়ার করিমপুর বিধানসভা উপনির্বাচন নিয়ে এখন যেন সেখানে টগবগ করে ফুটছে রাজনৈতিক পারদ। বস্তুত, এবারের লোকসভা নির্বাচনে কৃষ্ণনগর লোকসভা কেন্দ্রে তৃণমূল প্রার্থী হয়ে জয়লাভ করে সাংসদ হয়েছেন করিমপুর বিধানসভা কেন্দ্রের ভূতপূর্ব তৃণমূল বিধায়ক মহুয়া মৈত্র। ফলে তার ছেড়ে যাওয়া আসনে এবার উপ-নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

আর তাই এখন তৃণমূল যেমন চেষ্টা করছে নিজেদের জেতা আসন ধরে রাখতে, ঠিক তেমনই বিজেপিও চেষ্টা চালাচ্ছে লোকসভা ভোটে যেভাবে তারা সারা রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় ঘাসফুল ফোটাতে সক্ষম হয়েছে, ঠিক তেমনই বিধানসভা উপনির্বাচনেও তারা যেন এই আসনটি তৃণমূলের কাছ থেকে ছিনিয়ে নিতে পারে। অন্যদিকে, একদা এই আসন ছিল বামেদের শক্ত ঘাঁটি, ফলে কংগ্রেসকে সঙ্গী করে এখন থেকেই ঘুরে দাঁড়ানোর লড়াইয়ে মরিয়া বাম শিবির।

তবে কার আশা শেষ পর্যন্ত পূর্ণ হবে, তা দেখবার জন্য নজর রাখতেই হবে সেই নির্বাচনের ফলাফলের দিকে। কিন্তু কোনো পক্ষই এখন থেকে হাল ছেড়ে দিতে নারাজ। নির্বাচনের দিন এখনও পর্যন্ত ঘোষণা না হলেও সব দলই নিজেদের মতো করে প্রচার পর্বের প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশ বলছেন, সীমান্ত লাগোয়া এই বিধানসভা কেন্দ্রে এনআরসি এবার ঠিক কতটা কাজ করে সেটা দেখার বিষয় রয়েছে। পাশাপাশি, বিজেপির সদস্যতা অভিযান খাতায়-কলমে কতটা সফল হয়েছে তারও পরীক্ষা হতে চলেছে এই উপনির্বাচন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

ইতিমধ্যেই তৃণমূলের তরফে দিদিকে বলো কর্মসূচি করে যেমন সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে যাওয়া হচ্ছে, ঠিক তেমনই নানারকম উন্নয়ন প্রকল্পের মধ্যে দিয়ে মহুয়া মৈত্র চেষ্টা করছেন সংগঠনের হাল ধরবার। এদিন এই প্রসঙ্গে কৃষ্ণনগর সাংগঠনিক জেলা তৃণমূলের এক নেতা বলেন, “রাজ্য থেকে দলীয় যে যে কর্মসূচি পালন করতে বলা হয়েছিল, মহুয়া মৈত্র উদ্যোগী হয়ে সব সম্পন্ন করেছেন।” এদিকে এই কেন্দ্রে জয়ের ব্যাপারে 100% আশাবাদী হয়ে করিমপুর ওয়ান ব্লক সভাপতি তরুণ সাহা এবং করিমপুর টু ব্লকের সভাপতি আজিজুর মল্লিক বলেন, “আমাদের সংগঠন অত্যন্ত মজবুত। মার্জিন আমাদের আরও বাড়বে। আমরা সেভাবেই প্রস্তুতি নিয়ে এগোচ্ছি।”

তবে তৃণমূলের তরফে এই দাবি করা হলেও পাল্টা যেভাবে সদ্যসমাপ্ত লোকসভা নির্বাচনে নদীয়া জেলাজুড়ে বিজেপির ভোট বৃদ্ধি পেয়েছে, তাতে এই কেন্দ্র দখলের ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী গেরুয়া শিবির। এদিন এই প্রসঙ্গে করিমপুরের বিজেপি নেতা বুদ্ধদেব শীল বলেন, “জয়ের ব্যাপারে আমরা আশাবাদী মানুষ আমাদের পাশেই থাকবে।” অন্যদিকে তৃণমূল এবং বিজেপির মধ্যে জোর টক্কর হলেও বিনা লড়াইয়ে কাউকে জায়গা ছেড়ে দিতে নারাজ বাম এবং কংগ্রেস। ইতিমধ্যে তারাও নিজেদের মতো করে প্রস্তুতি সারতে শুরু করেছে।

কিন্তু এখানে কি তাদের মধ্যে জোট পর্ব সম্পন্ন হবে, নাকি তারা পৃথক পৃথকভাবে লড়বেন! এদের এই প্রসঙ্গে নদীয়া জেলা সিপিএমের সম্পাদক সুমিত দে বলেন, “জোট হবে কিনা, তা রাজ্যের সিদ্ধান্ত। আমরা আমাদের মতো করে প্রস্তুতি নিচ্ছি।” সবমিলিয়ে ভোটের দিন এখনও ঘোষণা না হলেও করিমপুর বিধানসভা উপনির্বাচনে শাসক-বিরোধী সমস্ত রাজনৈতিক দলই নিজেদের মতো করে জোর প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে।

একই সঙ্গে, এই কেন্দ্র ঘিরে শুরু হয়েছে টিকিট পাবার জন্য লড়াই। মহুয়া মৈত্র বিধায়ক থাকায় এবং লোকসভা নির্বাচনেও প্রায় ১৩ হাজার ভোটের লিড থাকায় – একাধিক নেতা এখানে তৃণমূলের টিকিট পেতে মরিয়া। অন্যদিকে, বিজেপি শিবিরের দাবি, সদস্যতা অভিযানে এখানে ব্লক ধরে ধরে সদস্য সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে চোখে পড়ার মত। তাই, গেরুয়া শিবিরের টিকিট প্রত্যাশীও কম নয়! তবে বিজেপির একটি সূত্র জানাচ্ছে, এই আসন নিয়ে নাকি সঙ্ঘের ‘বিশেষ’ পরিকল্পনা আছে! ফলে, করিমপুর উপনির্বাচন যে টানটান উত্তেজনাপূর্ণ হতে চলেছে – তা মেনে নিচ্ছেন সব সংশ্লিষ্ট মহলই।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!