হঠাৎ করে থমকে গেল কেন বিজেপিতে যোগদানের প্রক্রিয়া? কি বলছে গেরুয়া শিবিরের অন্দরমহল? কলকাতা বিশেষ খবর রাজ্য June 8, 2019 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া এক্সক্লুসিভ – বিজেপি বাংলা থেকে লোকসভা নির্বাচনে দলীয় রেকর্ড সংখ্যক ১৮ টি আসন জেতার পর – গোটা বাংলা জুড়েই শুরু হয়েছিল গেরুয়া ঝড়। রোজই কেউ না কেউ হেভিওয়েট তৃণমূল বিধায়ক অথবা নেতা কৈলাশ বিজয়বর্গীয় বা মুকুল রায়ের হাত ধরে যোগদান করছিলেন দিল্লিতে। বিজেপির দখলে আসছিল একের পর এক পুরসভা। মুকুল রায়রা রীতিমত হুঙ্কার ছাড়ছিলেন আগামী ছমাসের মধ্যে নাকি উঠেই যাবে তৃণমূল কংগ্রেস দলটা। অন্তত ১oo জন তৃণমূল বিধায়ক ও ৫-৭ জন তৃণমূল বিধায়ক বিজেপিতে যোগদান করতে পারেন যে কোন মুহূর্তে। কিন্তু, মনিরুল ইসলাম বিজেপিতে যোগদানের পরেই যেন বদলে যায় সমস্ত চিত্রটা। গেরুয়া শিবিরের এক বৃহদংশ তুলে দেন গেল-গেল রব। এমনকি এও শোনা যায় যে, মনিরুল ইসলামদের মত ‘বেনোজল’ দলে ঢোকা আটকাতে আসরে নামবে স্বয়ং সঙ্ঘ। আর এইসবের পরিপ্রেক্ষিতে তিতিবিরক্ত হয়ে একসময় পদত্যাগের চিন্তাভাবনা শুরু করে দেন খোদ মনিরুল ইসলাম। যদিও শেষ পর্যন্ত আর তিনি পদত্যাগ করেন না – কিন্তু, এরপরেই দলবদলের ক্ষেত্রে নীতি কি হবে তা নিয়ে গেরুয়া শিবিরের মধ্যে শুরু হয়ে যায় দফায় দফায় আলোচনা। পুরো দল কার্যত আড়াআড়ি দ্বিধাবিভক্ত হয়ে যায়। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - আর তাই সবমিলিয়ে আপাতত স্তব্ধ দলবদলের প্রক্রিয়া। নীচুতলায় কিছু কিছু ক্ষেত্রে এখনও দলবদল চললেও, বড় কোন তৃণমূল বিধায়ক বা নেতাকে আর দেখা যাচ্ছে না দলবদলের মঞ্চে। তাহলে কি দলবদলের প্রক্রিয়া পুরোপুরি স্তব্ধ? গেরুয়া শিবির সূত্রের খবর একদমই নয়! যাঁরা যাঁরা দলবদলে ইচ্ছুক বলে ইতিমধ্যেই যোগাযোগ করেছিলেন, তলায় তলায় প্রত্যেকের সঙ্গেই যোগাযোগ আছে এই ব্যাপারটা নিপুন হাতে পরিচালনা করা বেশ কিছু বিজেপি নেতার সঙ্গে। তাঁরা আপাতত ব্যস্ত সঙ্ঘের শীর্ষনেতৃত্বের সঙ্গে সরাসরি বৈঠকে – যাতে, এই ব্যাপারে দিকনির্দেশ স্পষ্ট হয়ে যায় এবং ভবিষ্যতে এই নিয়ে কোনো ভুল বোঝাবুঝির অবকাশ না থাকে। তবে, কৈলাশ বিজয়বর্গীয় (যিনি অমিত শাহের কোর টিমের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সদস্য এবং বাংলার ব্যাপারে কার্যত শেষ কথা) এই দলবদলের ব্যাপারে, পুরোপুরিই মুকুল রায়ের পাশে আছেন বলে সূত্রের খবর। এমনকি এক দলীয় বৈঠকে রাজ্য নেতাদের তিনি স্পষ্ট বার্তা দিয়েছেন, দলবদল নিয়ে কারোর কোনো আপত্তি থাকলে তা যেন সরাসরি কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সঙ্গে আলোচনা করেন। এই নিয়ে প্রকাশ্যে মন্তব্য পেশ করে দলের ভাবমূর্তি খারাপ না করেন বা দলের বিভেদ প্রকাশ্যে আনেন। গেরুয়া শিবিরের অপর এক অংশের বক্তব্য, যা যোগদান হয়েছে সবই দিল্লিতে, সুতরাং কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের অনুমতি ছাড়া তা সম্ভব নয়। তাই, এখানে যাঁরা অযথা জলঘোলা করতে চাইছেন তাঁদের কাছে এই নিয়ে ইতিমধ্যেই স্পষ্ট বার্তা গেছে। আগামী কিছুদিনের মধ্যেই তাই পুনরায় শুরু হয়ে যাবে দলবদলের প্রক্রিয়া। আপনার মতামত জানান -