এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > উপনির্বাচনে ধাক্কা খেতেই ৩ বিজেপি বিধায়ক তৃণমূলমূখী? তালিকায় খোদ মুকুল পুত্র? জল্পনা চরমে

উপনির্বাচনে ধাক্কা খেতেই ৩ বিজেপি বিধায়ক তৃণমূলমূখী? তালিকায় খোদ মুকুল পুত্র? জল্পনা চরমে

উপনির্বাচনে ভালো ফলাফল করতে পারেনি ভারতীয় জনতা পার্টি। রাজ্যের তিনটি বিধানসভা কেন্দ্রে বৃহস্পতিবার উপনির্বাচনের ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে। তাতে তিনটিতেই জয়যুক্ত হয়ে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। একদিকে যেমন হ্যাটট্রিক করেছে, অন্যদিকে তেমনই ক্লিন বোল্ড হয়ে গেছে বিরোধী দল ভারতীয় জনতা পার্টি। কালিয়াগঞ্জ এবং খড়গপুর বিধানসভা কেন্দ্রে লোকসভা ভোটে ব্যাপক পরিমাণে এগিয়ে থাকা সত্ত্বেও বিজয় জোটেনি পদ্মফুল শিবিরের কপালে।

যার কারণে ইতিমধ্যেই হতাশা সৃষ্টি হয়েছে বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের অন্তরে। এর মধ্যেই ভারতীয় জনতা পার্টির অস্বস্তি আরও বাড়িয়ে বিজেপি ছেড়ে তৃণমূল কংগ্রেসে পুনরায় ফিরে যেতে চলেছে 3 জন বিধায়ক বলে তীব্র হয়েছে জল্পনা। তৃণমূল সূত্রের খবর, বীজপুরের বিধায়ক ও মুকুল রায়ের পুত্র শুভ্রাংশু রায়, নোয়াপাড়ার বিধায়ক সুনীল সিং এবং আরেকজন প্রাক্তন বিধায়ক দুলাল বর ইতিমধ্যেই ভারতীয় জনতা পার্টি থেকে বেরিয়ে পুনরায় তৃণমূল কংগ্রেসের যাওয়ার জন্য উত্তর 24 পরগনা জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের কাছে আবেদন করেছেন।

তবে উত্তর 24 পরগনা জেলা বিজেপির সভাপতি জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের তরফ থেকে তাদেরকে জানানো হয়েছে, পুনরায় তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেওয়ার বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবেন তৃণমূল নেত্রী মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। তবে শুভ্রাংশু রায়ের তরফ থেকে অবশ্য এই বিষয়ে কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। ভারতীয় জনতা পার্টিতে যোগদান করার পরে দীর্ঘদিন পর্যন্ত পার্টির তেমন কোনো কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করতে দেখা যায়নি শুভ্রাংশুবাবু সহ ওই দুইজন বিধায়ককে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তবে বিশেষ সূত্র মারফত জানা গেছে, এখনই তৃণমূল কংগ্রেসে ফেরত না গেলেও আসছে মাসের মাঝামাঝি দিকে দলবদল পর্ব সারতে পারেন ওই বিজেপি নেতারা। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, লোকসভা নির্বাচনের পরে তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে একরাশ অভিযোগ করে তৃণমূল ছেড়েছিলেন বিধায়ক শুভ্রাংশু রায়। প্রথমদিকে নৈহাটি থেকে শুরু করে ভাটপাড়া, হালিশহর ইত্যাদি জায়গায় নিজের প্রতিপত্তির জোরে অনেককেই ভারতীয় জনতা পার্টিতে যোগদান করিয়েছিলেন মুকুল পুত্র।

পৌরসভা থেকে শুরু করে গ্রাম পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতিগুলোর রং পাল্টে গেরুয়া শিবিরে নাম লেখাতে শুরু করেছিল। পরবর্তীতে অবশ্য এলাকায় স্বমহিমায় ফিরে আসতে শুরু করে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস এবং বিজেপিতে চলে যাওয়া পৌরসভা, গ্রাম পঞ্চায়েত পুনরায় দখলে আসে তৃণমূলের। তাই ক্ষমতার দিক থেকেও প্রতিপত্তি হারিয়েছে মুকুল পুত্র বলে মনে করছে বিশেষজ্ঞদের একাংশ। সেই কারণেই একমাত্র বাধ্য হয়েই তৃণমূলের প্রত্যাবর্তন করতে চাইছে শুভ্রাংশু রায় বলে মত একাংশের।

তবে যে যাই বলুন না কেন, যতক্ষণ না পর্যন্ত আনুষ্ঠানিকভাবে দলবদল কর্মসূচি হচ্ছে, ততক্ষণ অব্দি নিশ্চিত করে কিছুই বলা সম্ভব নয় বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। কেননা এই নিয়ে বিজেপির এক দাপুটে নেতার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে – তিনি এই খবর সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দেন! অথচ ঘাসফুল শিবিরের অন্দরে কান পাতলে শোনা যাচ্ছে, বিধানসভা নির্বাচনের আগে, ‘ঘর ওয়াপসিতে’ জোর দেওয়া হবে। তাই কে যে কখন কোন দলে আছেন – যতক্ষন না সরকারি ঘোষণা হচ্ছে, কিছুতেই যেন স্পষ্ট হচ্ছে না!

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!