নারদ মামলায় এবার জেলে যেতে চলেছেন ৩ সাংসদ ও ১ মন্ত্রী? সিবিআইয়ের পদক্ষেপে বাড়ছে জল্পনা কলকাতা রাজ্য August 29, 2019 ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে রাজ্য-রাজনীতিতে শোরগোল পরে গিয়েছিল নারদ স্টিং অপারেশন নিয়ে। বিজেপির রাজ্য সদর দপ্তর থেকে একাধিক ভিডিও প্রকাশ করে দেখানো হয়, রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের একাধিক হেভিওয়েট নেতা-নেত্রী গোছা গোছা টাকা নিচ্ছেন। ওই ভিডিও প্রকাশ করে বিজেপির তরফে দাবি করা হয়, এই টাকা তৃণমূলের ওই নেতা-নেত্রীরা ছদ্মবেশী সাংবাদিক ম্যাথু স্যামুয়েলের কাছ থেকে নিয়েছেন। প্রিয় বন্ধু মিডিয়া এই ভিডিওর সত্যতা যাচাই করে দেখে নি। স্বাভাবিকভাবেই, নির্বাচনের ঠিক আগেই এই ভিডিও প্রকাশ্যে আসতেই রাজ্য জুড়ে হইচই পরে যায়। যদিও তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে প্রাথমিক ভাবে দাবি করা হয়েছিল ওই ভিডিওগুলি ‘মর্ফড’ বা ‘ডক্টরড’ অর্থাৎ বানানো। কিন্তু, এরপরেই দলীয় প্রচারে গিয়ে খোদ তৃণমূল নেত্রী জানান, এই ভিডিওর কথা আগে জানলে তিনি নাকি সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের টিকিটই দিতেন না। আর তাই, আপাতত সেইসব ভুলে মানুষ যেন তাঁকে দেখেই ভোট দেন। মানুষের সমর্থনে বিপুল জয় পেয়ে দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় এসে অবশ্য ওই ভিডিওতে দেখতে পাওয়া সংশ্লিষ্ট সকল জয়ী প্রার্থীকেই তিনি মন্ত্রীত্ব দেন। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - এর পাশাপাশি, ওই ভিডিওতে দেখতে পাওয়া সাংসদ সদস্যদেরও তিনি লোকসভা নির্বাচনের টিকিট দেন। তাঁদের মধ্যে অনেকে জয়ীও হন। কিন্তু, এবার সেই ঘটনায় সামনে নাম আসা ৪ জনের বিরুদ্ধে বড়সড় পদক্ষেপ নিতে চলেছে সিবিআই বলে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবর থেকে জানা গেছে। ওই সব খবরের নির্যাস থেকে জানা যাচ্ছে, কলকাতার সংলগ্ন আসন থেকে জয়ী ৩ সাংসদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিতে চেয়ে ইতিমধ্যেই নাকি সিবিআইয়ের তরফে লোকসভার স্পীকার ওম বিড়লার কাছে নুমতি চাওয়া হয়েছে। ওই সব খবর থেকে জানা যাচ্ছে এই ৩ সাংসদের মধ্যে একজন বর্ষীয়ান ও একজন মহিলা সাংসদের নাম আছে। এর পাশাপাশি রাজ্যের এক গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রীর বিরুদ্ধেও নাকি ব্যবস্থা নিতে চলেছে সিবিআই। বর্তমানে এই মন্ত্রী রাজ্যের শাসকদলের সংগঠনের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পদে আছেন ও লোকসভা নির্বাচনের পরে তাঁর প্রভূত ক্ষমতা বাড়ানো হয়েছে শাসকদলের তরফে। ওই সব খবরে আরও দাবি করা হয়েছে, লোকসভার স্পীকার অনুমতি দিলেই সংশ্লিষ্ট ৩ সাংসদের বিরুদ্ধে চার্জশীট আনা হবে। আর চার্জশীট দেওয়ার পরেই নাকি প্রয়োজনে গ্রেপ্তার করা হতে পারে এই সব হেভিওয়েট নেতা-নেত্রীদের। এর পাশাপাশি আরও জানা যাচ্ছে, ওই ভিডিওতে দেখতে পাওয়া তৎকালীন তৃণমূল নেতা, অধুনা বিজেপি নেতার নাম আপাতত থাকছে না চার্জশিটে। কিন্তু, তাঁর বিরুদ্ধে তদন্ত চালিয়ে যাবে সিবিআই। যদিও এই খবরের সত্যতা বা সূত্র সম্পর্কে ওই সব সংবাদমাধ্যমে কিছু লেখা নেই, প্রিয়বন্ধু বাংলার তরফেও এই খবরের সত্যতা যাচাই করে দেখা সম্ভব হয় নি। এই প্রবন্ধ সম্পূর্ণরূপে ওই সমস্ত সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবরের পরিপ্রেক্ষিতে করা, কোনোভাবেই রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত নয় বা কোনো ব্যক্তি বা দলের সম্মানহানির উদ্দেশ্যে রচিত নয়। আপনার মতামত জানান -