এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > বিজেপিতে যোগ দিতে চলেছেন অধীর চৌধুরী ঘনিষ্ঠ আরো দুই নেতা? জল্পনা তুঙ্গে

বিজেপিতে যোগ দিতে চলেছেন অধীর চৌধুরী ঘনিষ্ঠ আরো দুই নেতা? জল্পনা তুঙ্গে


দিন কয়েক আগের কথা – প্রদেশ কংগ্রেসের চারজন বিধায়ক তৃণমূল কংগ্রেসের ২১ শে জুলাই এর মঞ্চ থেকে জোড়াফুলের পতাকা তুলে নিয়েছিলেন। সে ঘা শুকাতে না শুকাতেই জল্পনা বাড়িয়ে ফের দল ভাঙনের খবর পাওয়া গেল। মাথায় হাত আপাতত প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্বের। ১১ আগষ্ট মেয়ো রোডে রাজ্য বিজেপির আয়োজিত অমিত শাহের জনসভার মঞ্চ থেকেই গেরুয়া ঝান্ডা তুলে নেবেন অধীর চৌধুরীর ঘনিষ্ট দুজন সহযোদ্ধা। এমনটাই দাবী করছে কলকাতার এক জনপ্রিয় সংবাদ মাধ্যমের খবর।

এমনিতেই লোকসভা ভোটের আগেই প্রদেশ কংগ্রেসের সাংগঠিক দূর্বলতা সামনে আসায় বেশ উদ্বেগে রয়েছেন হেভিওয়েট নেতারা, এমনটাই আন্দাজ রাজনৈতিক মহলের। প্রসঙ্গত, ২১ এর মঞ্চ থেকে যেসব কংগ্রেস বিধায়করা তৃণমূল কংগ্রেসে পাকাপাকিভাবে যুক্ত হয়েছে তাঁরা অধীর চৌধুরীর দীর্ঘদিনের সহযোদ্ধা – এঁরা হলেন,আখরুজ্জামান, সাবিনা ইয়াসমিন, আবু তাহের এবং সমর মুখোপাধ্যায়। এঁদের মধ্যে আখরুজ্জামানও অধীর চৌধুরীর অত্যন্ত কাছের মানুষ ছিলেন।

তার দিন কয়েক আগে অধীর-ঘনিষ্ট আরো দুজন বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন। একজন হলন মুর্শিদাবাদের রেজিনগরের প্রাক্তন কংগ্রেস বিধায়ক হুমায়ুন কবীর এবং অন্যজন বালুরঘাটের কংগ্রেসের জেলা সভাপতি নীলাঞ্জন রায়। আর এবার এই নীলাঞ্জনবাবুকে অনুসরণ করেই নদিয়া জেলা সভাপতি অসীম সাহা এবং প্রদেশ যুব কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক মৌমিতা মিশ্র বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন বলেই তীব্র জল্পনা।

আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে

এদিকে নীলাঞ্জনবাবুর সঙ্গে বিশেষ সখ্যতা রয়েছে বিজেপি নেতা মুকুল রায়ের, তাই ওই দুইজন মুকুলবাবুর লবিতেই থাকবেন বলে একটা ইঙ্গিত পাওয়া গিয়েছে। নদীয়ার আরো এক কংগ্রেস নেতা কাবিল শেখেরও বিজেপিতে যোগ দেওয়ার ইচ্ছের কথা জানা গিয়েছে। তবে তিনি এই মুহূর্তেই দল ছাড়ছেন না বলে সূত্রের খবর। মাসখানেক পরই বিজেপিতে যোগদান করতে পারেন তিনি বলে জল্পনা।

এখন প্রশ্ন হচ্ছে প্রদেশ কংগ্রেস নেতারা কেন দলে দলে বিজেপি নয়তো তৃণমূলে যোগ দিচ্ছেন? তাহলে কি দলের প্রতি তাঁদের আস্থা শেষ হয়ে গেল? এই নিয়ে দলের অন্দরেই ঝড় উঠে যাচ্ছে প্রশ্নের। উত্তেজনার পারদ ক্রমশ চড়া হচ্ছে। আর কংগ্রেসের এই সাংগঠনিক ক্ষয়ের সমস্ত দায় গিয়ে পড়েছে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীর ঘাড়ে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক প্রদেশ কংগ্রেস নেতা তো সাফ কথায় জানিয়েই দিলেন অধীরবাবু দল ধরে রাখতে পারছেন না এবং অভিযোগে এটাও জানালেন দল থেকে নেতারা চলে যাওয়ার কারণ হিসাবে অধীরবাবু সবসময়ই তৃণমূল কংগ্রেসের ভয় দেখিয়ে দল ভাঙানোকে দায়ী করেছেন আর রাজ্য বিজেপিকে তো শক্তিহীন বলেই হেয় করে এসেছেন।

তবে এতো কংগ্রেস সমর্থকরা কেন বিজেপিতে যাচ্ছেন? এই বলেই প্রশ্নও ছুঁড়ে দিলেন তিনি দলীয় নেতৃত্বের দিকে। তবে এই দলবদল নিয়ে কংগ্রেসের তরফে কোনো সরকারি প্রতিক্রিয়া মেলেনি এখনো। এর পাশাপাশি তিনি এটাও জানান যে, গত পাঁচ বছরেই প্রদেশ কংগ্রেসের অবস্থা সবথেকে খারাপ হয়েছে। দলীয় মতানৈক্য এভাবে সামনে আসার জেরে প্রচন্ড চাপে রয়েছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি বলেই রাজনৈতিক গুঞ্জন। তবে এ ব্যাপারে এখনো কোনো প্রকাশ্য প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি তাঁর।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!