এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > ১৯ তারিখ তো পেরিয়ে গেল! আদৌ কি পড়বে তৃণমূলের উইকেট? কি বলছে গেরুয়া শিবির?

১৯ তারিখ তো পেরিয়ে গেল! আদৌ কি পড়বে তৃণমূলের উইকেট? কি বলছে গেরুয়া শিবির?


রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস আগেই ঘোষণা করেছিল যে ২০১৯ সালের জানুয়ারী মাস পড়লেই কলকাতার ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ডে এক বিশাল জনসমাবেশ করবে। যেখানে, সারা ভারতের সমস্ত বিজেপি বিরোধী শক্তি এক জায়গায় হয়ে আওয়াজ তুলবে – দুহাজার উনিশ, বিজেপি ফিনিশ! আর এরই পরিপ্রেক্ষিতে কিছুদিন আগে জল্পনা রটে, একদিকে যখন ১৯ শে জানুয়ারী কলকাতায় সমাবেশ করে তৃণমূল কংগ্রেস সহ অন্যান্য বিরোধীরা বিজেপির বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলবে – ঠিক তখনই দিল্লিতে নয়-নয় করে অন্তত ১০ জন তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ, বিধায়ক ও নেতা বিজেপিতে যোগদান করবেন।

তাঁদের নাম প্রকাশ্যে না এলেও – যেভাবে সেইসব নাম নিয়ে গেরুয়া শিবিরের তরফে ইঙ্গিত দেওয়া হতে থাকে – তাতে সহজেই অনুমেয় হয়ে ওঠে কাদের সম্পর্কে এইসব আলোচনা চলছে। কিন্তু, গতকাল ১৯ শে জানুয়ারী তৃণমূল কংগ্রেস নিজেদের দাবি মত – ব্রিগেডে মহা সমাবেশ করে দেখিয়ে দিলেও – দিল্লিতে গেরুয়া শিবিরে যোগদানের কোনো খবর নেই। তাহলে কি তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগদানের যে খবর – সেটা পুরোটাই রটনা ছিল? বাস্তবে এরকম কোনও যোগদান হবে না?

এই প্রসঙ্গে রাজ্য বিজেপির এক অন্যতম হেভিওয়েট নেতার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে – কিছুতেই নাম প্রকাশ করা যাবে না, এই শর্তে খোলাখুলি অনেক কথায় জানালেন। ওই নেতার কথায়, ১৯ তারিখ তৃণমূল থেকে কোনো যোগদান যে হবে না, একথা কয়েকদিন আগেই আপনাদের জানিয়েছিলাম। মূলত তিনটি কারণে এই যোগদান করানো গেল না। প্রথমত, অমিত শাহ এই সময়েই গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লেন। দ্বিতীয়ত, বিষ্ণুপুরের সাংসদ সৌমিত্র খাঁ বিজেপিতে যোগদানের পর – তাঁর বিরুদ্ধে একের পর এক মিথ্যা মামলা করা হচ্ছে – তাই নতুন যাঁরা আসতে চান তাঁরা যতক্ষন না রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা রাজ্যের হাত থেকে যাচ্ছে, এটা নিয়ে চিন্তিত। আর তৃতীয়ত, এই পরিকল্পনার কথা আগেই সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয়ে যাওয়ায় – গতকাল এঁদের সকলকেই কিছু না কিছু দায়িত্ব দিয়ে আটকে রাখা হয়েছিল।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

ওই নেতার কথায়, কিন্তু কালকের পর যাঁরা বিজেপিতে আসতে চেয়ে যোগাযোগ করছিলেন, তাঁদের কাছে সিদ্ধান্ত গ্রহণটা আরও সহজ হয়ে গেল। তৃণমূল ৫০ লক্ষ লোক আনবে বলে সর্বশক্তি প্রয়োগ করেছিল, এমনকি রাজ্য পুলিশ-প্রশাসন-পরিবহন সব কিছু কাজে লাগিয়েছিল। তা সত্বেও মেরেকেটে লাখ তিনেকের বেশি লোক হয় নি ব্রিগেডে। এমনকি সেই লোককে আটকে রাখতেও তৃণমূলকে প্রচার করতে হয়েছে – চিড়িয়াখানা যাবেন না, আজ বন্ধ। এমনকি খোদ তৃণমূল নেত্রী মঞ্চ থেকে বলেছেন ৪ টের আগে বাস দেবেন না – তাই কেউ যেন যাওয়ার চেষ্টা না করেন! অর্থাৎ সবমিলিয়ে দেওয়াল লিখনটা স্পষ্ট।

ওই নেতার আরও দাবি, এই সবের পরিপ্রেক্ষিতে মানুষ যে আর শাসকদলের সঙ্গে নেই একথা প্রমাণিত। জোর করেও আর মানুষকে নিজেদের দিকে আটকে রাখতে পারছে না। আর এটাই স্বাভাবিক – কেননা যুবকদের চাকরি নেই, চাকুরিরতদের ডিএ বা পে কমিশনের দেখা নেই, রাজ্যে কোনো শিল্প নেই – কোনো কর্মসংস্থান নেই! আছে শুধু শাসকদলের নেতাদের তোলাবাজি আর সিন্ডিকেটরাজ! ফলে, মানুষ সিদ্ধান্ত নিয়েই নিয়েছেন – আর যাই হয়ে যাক তৃণমূলকে ভোট নয়। আর বিরোধী হিসাবে কংগ্রেস বা বামফ্রন্টকে দিলে কি হয় – তাদের জনপ্রতিনিধিরা কিভাবে বিকিয়ে যায় সেটাও মানুষ দেখে নিয়েছে। আর তাই, মানুষের ভরসার জায়গা বলতে বিজেপি।

তিনি আরও দাবি করেন, সুতরাং সবমিলিয়ে যদি কেউ আনন্দ করে যে গতকাল তো তৃণমূলে কোনো ভাঙন হল না! তিনি আরও কয়েকদিনের এই কাল্পনিক আনন্দ করে নিন। সামনেই অমিত শাহ ও নরেন্দ্র মোদির জনসভা আছে – সেই সভাকে ব্যর্থ দেখাতে শাসকদলের তরফে যত রকম অসুবিধা করা সম্ভব করবে। ইতিমধ্যেই, সভার জন্য জমি দিচ্ছে না, হেলিকপ্টার নামার অনুমতি দিচ্ছে না। তা সত্বেও ওই সভাগুলি হবে এবং সাধারণ মানুষ সেখানে স্বতঃস্ফূর্তভাবে যোগদান করবেন। আর যখন রাজ্য সরকার আর নিজের পুলিশি রাজ দিয়ে কিছু আটকাতে পারবে না – সবটাই নির্বাচন কমিশনের আয়ত্বে এসে যাবে – তখন হিসেবটা করবেন – কতগুলো উইকেট পড়ল বা না পড়ল!

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!