এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > করোনা আবহেই কি বঙ্গ অর্থনীতির জন্য ‘আচ্ছে দিন’ শুরু হতে চলেছে? ক্রমশ বাড়ছে জল্পনা

করোনা আবহেই কি বঙ্গ অর্থনীতির জন্য ‘আচ্ছে দিন’ শুরু হতে চলেছে? ক্রমশ বাড়ছে জল্পনা


দেশজুড়ে করোনার ভয়াবহতা মারাত্মক আকার ধারণ করার সাথে সাথে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যেও করোনার ভয়াবহতা অস্বাভাবিক রূপে ধরা পড়ে। পরিস্থিতি তড়িঘড়ি আয়ত্তে আনতে কাজে নেমে পড়েন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী সহ অন্যান্য পারিষদরা। এক্ষেত্রে প্রশাসনও যথাযথ ভূমিকা গ্রহণ করে বলে জানা গেছে। অন্যদিকে কেন্দ্রসহ বিরোধীদের প্রথম থেকেই রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি নিয়ে ক্ষোভ চরম আকার ধারণ করে। বিরোধীদের পক্ষ থেকে বলা হয়, এরাজ্যে প্রয়োজন অনুযায়ী করোনা পরীক্ষার কীট ব্যবহার করা হচ্ছে না।

এই নিয়ে শুরু হয় তীব্র জল্পনা রাজনৈতিক মহলে। কিন্তু তারপরেই জানা যায়, আমদানিকৃত কীটগুলির মধ্যে যথেষ্ট ত্রুটি রয়েছে, তাই সেগুলিকে বাতিল ঘোষণা করা হয়। অন্যদিকে, রাজ্যজুড়ে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তেই থাকে। এই পরিস্থিতিতে তড়িঘড়ি রাজ্যে করোনা পরীক্ষার কিট বানানো শুরু হয় বলে জানা গেছে। এবং সেক্ষেত্রে সাফল্যও এসেছে বলে সম্প্রতি জানা গিয়েছে। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োটেকনোলজির বিভাগীয় প্রধান কৌস্তুভ পণ্ডা এবং সি এস আই আর এর প্রাক্তন বিজ্ঞানী সমীর আঢ্যর সহায়তায় বাংলায় তৈরি এই করোনা কীটকে সম্পূর্ণ স্বীকৃতি দিয়েছে আই সি এম আর।

অন্যদিকে, সারা বিশ্বের মধ্যে সবথেকে সস্তার কীট বলে পরিচিতি লাভ করেছে এটি। ইতিমধ্যেই অন্যান্য রাজ্য থেকে এই করোনা কীট আমদানি করার জন্য ব্যাপক আগ্রহ দেখানো শুরু হয়েছে বলে জানা গেছে। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, দক্ষিণ 24 পরগনার একটি বায়োটেক সংস্থার গবেষণাগারে এই করোনা কীটটি তৈরি হয়েছে। জানা গেছে, এই কীট এর দাম ধার্য হয়েছে 500 টাকা। সূত্রের খবর, এই করোনা কীটটি দুইপ্রকারের তৈরি হয়েছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

একটি কীট দিয়ে 200 জনের করোনা পরীক্ষা করা যাবে এবং আরেকটি দিয়ে 500 জনের করোনা পরীক্ষা করা যাবে। উক্ত বায়োটেকনোলজি কোম্পানির অধিকর্তা রাজা মজুমদারের কাছ থেকে জানা গিয়েছে আসাম, মেঘালয়, ত্রিপুরা, দিল্লি, অন্ধ্রপ্রদেশ, ওড়িশা থেকে ব্যাপক মাত্রায় চাহিদা প্রকাশ করা হয়েছে এই কীটের জন্য। প্রশ্ন উঠছে, এত সস্তার কীট ব্যবহার করে হীতে বীপরীত হবে না তো? দাবি করা হচ্ছে, এই কীটটি তৈরি করতে যাবতীয় কাঁচামাল এই রাজ্যেই তৈরি হয়েছে তাই এত কম দাম। আরও জানা গেছে দক্ষিণ 24 পরগনার ওই বায়োটেক সংস্থার গবেষণাগারে লকডাউন এরপর থেকেই কাজ শুরু হয়ে গিয়েছিল করোনার কীট তৈরীর কাজ।

অন্যদিকে জানা গিয়েছে, লকডাউন এর জন্য কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস বন্ধ ছিল তাই সম্পূর্ণ কাজটি উক্ত বায়োটেক সংস্থার গবেষণাগারেি সম্পূর্ণ হয়েছে। এদিকে রাজ্যের করোনা সংকটকালে এই কীট এসে যাওয়ায় রাজ্যের স্বাস্থ্য মহল উপকৃত হবেন বলে দাবি করছেন একদল বিশেষজ্ঞ। অন্যদিকে আইসিএমআর এর পক্ষ থেকে  যেহেতু এই কীটোকে সম্মতি দেওয়া হয়েছে, তাই এবার দেখার এই কীট ব্যবহার করে রাজ্যজুড়ে ধারাবাহিকভাবে করোনা পরীক্ষার মধ্য দিয়ে করোনাকে আয়ত্তে আনা যায় কিনা আপাতত সেদিকেই নজর রয়েছে সবার।

অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বারেবারেই জানিয়েছেন রাজ্যের কোষাগারের অবস্থা ভালো নয়। বর্তমানে করোনা পরিস্থিতিতে তা স্বাভাবিকভাবেই আরও খারাপ হয়েছে। এখন, সত্যিই যদি বাংলা থেকে এই কিট দেশের বিভিন্ন রাজ্য আমদানি করে, তাহলে সেখান থেকে বড়সড় অর্থের সংস্থান আসতে পারে। অন্যদিকে, এই কিটকে স্বীকৃতি দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও। ফলে, আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রেও তা রপ্তানি করার যথেষ্ট সুযোগ থাকছে। আর তা যদি সত্যি হয়, তাহলে বলতেই হবে – করোনা আবহেই কি বঙ্গ অর্থনীতির জন্য ‘আচ্ছে দিন’ শুরু হতে চলেছে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!