এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > বিধানসভায় বিজেপি না জিতলে জঙ্গিদের স্বর্গরাজ্য হবে? হেভিওয়েট বিজেপি নেতার বক্তব্যে শোরগোল

বিধানসভায় বিজেপি না জিতলে জঙ্গিদের স্বর্গরাজ্য হবে? হেভিওয়েট বিজেপি নেতার বক্তব্যে শোরগোল


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট হাতে মাত্র আর কয়েকটা দিন ইতিমধ্যেই বিহার বিধানসভা নির্বাচনের প্রস্তুতি শেষ পর্যায়ে এসে গেছে। বিহারের প্রতিটি রাজনৈতিক দল জোরদার প্রচারে নেমে পড়েছে। অন্যদিকে গেরুয়া শিবিরের শরিকি দ্বন্দ্ব কিছুদিন ধরে বিহার বিধানসভা নির্বাচনের আগে মাথাচাড়া দিলেও এনডিএ জোট কিন্তু সেই সমস্যার সমাধান করে ফেলেছে। আপাতত করোনা পরিস্থিতিকে সাথে নিয়ে এই প্রচারে নেমে পড়েছে সবাই। গেরুয়া শিবিরের প্রচারে ইতিমধ্যে বিহারে পা পড়েছে হেভীওয়েট বিজেপি নেতাদের। আর তাঁদের গলায় শোনা যাচ্ছে কাশ্মীর, জঙ্গীসহ বিভিন্ন শব্দ।

ইতিমধ্যেই বিজেপির হয়ে বিহারে প্রচার করতে গিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিত্যানন্দ রাই। কিন্তু প্রচারে গিয়ে তিনি এমন মন্তব্য রেখেছেন, যাতে শুরু হয়েছে নতুন বিতর্ক। বুধবার বিহারে প্রচারকার্যে সামিল হন দেশের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিত্যানন্দ রাই। সেই পরিপ্রেক্ষিতে একটি সভায় তিনি মন্তব্য করেন, ‘‌বিহারে যদি বিরোধীরা জেতে তাহলে এই রাজ্য হয়ে উঠবে জঙ্গিদের স্বর্গরাজ্য।’‌ এখানেই তিনি থামেননি। একই সাথে তিনি বিহার বাসীদের উদ্দেশ্যে প্রশ্ন ছুঁড়ে দেন এই বলে, ‘‌আপনারা কি চান, জঙ্গিরা কাশ্মীর থেকে বিহারে এসে ডেরা বাঁধুক?’‌

কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রীর এই মন্তব্য ঘিরেই শুরু হয়েছে তীব্র সমালোচনা রাজনৈতিক মহলে। বিরোধীরা একের পর এক কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রীর জঙ্গী মন্তব্য ঘিরে শুরু করেছে তীব্র কটাক্ষ। ইতিমধ্যেই বিহারের বিরোধী দল আরজেডির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, বিজেপির হাতে যখন কোন অস্ত্র থাকেনা, কোন কথা তাঁরা বলতে পারেনা, তখনই তাঁরা পাকিস্তান, জঙ্গী এসব শব্দ প্রয়োগ করতে থাকে জনগণের উদ্দেশ্যে। উপরন্তু আরজেডি এদিন দাবি করে, এনডিএ জোটের আসলে উন্নয়ন, কর্মসংস্থান, শিল্প, অর্থনীতি, নতুন প্রকল্প নিয়ে আদতে কিছু বলার নেই।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অন্যদিকে কংগ্রেসের পক্ষ থেকে এক নেতা বলেন, এর আগে 2015 সালে অমিত শাহও বিহারে এসে বিজেপির প্রচারে মন্তব্য করেছিলেন, পাকিস্তানে পটকা ফাটার কথা। অন্যদিকে বিহার বিধানসভা নির্বাচনের দিকে নজর রেখে আরজেডি, কংগ্রেস নেতারা জানিয়েছেন- গতবারে নীতিশ কুমার জিতলেও সাধারণ মানুষ বিজেপির বিরুদ্ধেই রায় দিয়েছিল। কিন্তু নীতিশ কুমার জনগণের রায়কে অগ্রাহ্য করে গেরুয়া শিবিরের সঙ্গে যোগ দিয়েছিলেন। তাই মানুষ এবার বিশ্বাসঘাতকতার বিরুদ্ধেই জবাব দেবে বলে আশা করা যায়।

অন্যদিকে বিহার বিধানসভা নির্বাচন ঘিরে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মত, লোকসভা নির্বাচনের পর বিহারের বিধানসভা নির্বাচন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ গেরুয়া শিবিরের কাছে। আর সেকারণেই প্রচারপর্বে বিজেপি লোসভা নির্বাচনের মত জাতীয়তাবাদকেই কাজে লাগাতে চাইছে। আর তাই হয়ত জঙ্গী মন্তব্যের অবতারণা। অন্যদিকে কেন্দ্রীয় সরকারের হাত ধরে সম্প্রতি বেসরকারিকরণ থেকেই কৃষি বিল সবকিছুরই বিরুদ্ধে বিরোধী শিবির নেমেছে আন্দোলনে। তাই এবার দেখার বিহার বিধানসভা নির্বাচনে বিরোধীরা তাঁদের আন্দোলনের প্রভাব ফেলতে পারে কিনা!

আপনার মতামত জানান -

ট্যাগড
Top
error: Content is protected !!