এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > মালদা-মুর্শিদাবাদ-বীরভূম > শুভেন্দু অধিকারীর বিরোধী-মুক্ত জেলার ‘অঙ্গীকারে’ সাড়া দিয়ে বিজেপি জেলা সভাপতিও কি ঘাসফুল শিবিরে? বাড়ছে জল্পনা

শুভেন্দু অধিকারীর বিরোধী-মুক্ত জেলার ‘অঙ্গীকারে’ সাড়া দিয়ে বিজেপি জেলা সভাপতিও কি ঘাসফুল শিবিরে? বাড়ছে জল্পনা

দিন কয়েক আগেই নবগ্রামের রসুলপুরে বিগ্রেডের প্রস্তুতি সভামঞ্চ থেকেই বিরোধীশূন্য রাজ্য গড়ার ডাক দিয়েছিলেন পরিবহন মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী। ওই সংশ্লিষ্ট সভা থেকেই দু’বারের সিপিএম বিধায়ক কানাই মন্ডল তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন। তবে শুধু সিপিএমই নয়, সেদিন বিজেপি কংগ্রেসের সংগঠনেও ফাটল ধরানোর কড়া বার্তা দিয়েছিলেন তৃণমূলের এই হেভিওয়েট নেতা।

শুভেন্দুবাবুর এই হুঁশিয়ারির পর থেকেই চিন্তায় রাতের ঘুম উড়েছে বিরোধীদের বলে দাবি তৃণমূল শিবিরের। জোর চর্চা শুরু হয়েছে জেলা রাজনৈতিক মহলে। আগামী ১৬ ডিসেম্বর রানিনগর ২ নম্বর ব্লকের গোধনপাড়া ফুটবল ময়দানে আরো একটি সভা করার কথা রয়েছে শুভেন্দু অধিকারীর। এই সভায় বিরোধীমহল থেকে বহু নেতা-কর্মীরা তৃণমূলে যোগ দেবেন বলেই জানিয়ে দিয়েছেন তিনি।

কয়েকজন নাকি তাঁর সঙ্গে এ ব্যাপারে ব্যক্তিগতভাবেও যোগাযোগ করেছেন বলে দাবী তাঁর। ফলত আগামী ১৬ ডিসেম্বর রানিনগরের সভায় বিরোধী শিবিরে বড়সড় ধ্বস নামতে চলেছে বলেই আশঙ্কা প্রতিপক্ষ মহলের। রানিনগরের সভায় তৃণমূলে যোগ দেওয়া নিয়ে বিজেপির জেলা সভাপতি গৌরীশঙ্কর ঘোষ, প্রাক্তন মন্ত্রী হুমায়ুন কবীর, জলঙ্গির সিপিএম বিধায়ক আব্দুর রাজ্জাকের নাম নিয়ে জোর জল্পনা শুরু হয়েছে।

এঁদের মধ্যে এ ব্যাপারে বিজেপির জেলা সভাপতির প্রতিক্রিয়া পাওয়া গেলেও হুমায়ুন ও রজ্জাক সাহেব, এই সব জল্পনা ভিত্তিহীন বলেই স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন। হুমায়ুন কবীর বক্তব্যে জানালেন, ‘কয়েকদিন ধরে এলাকায় শুনছি, আমিও নাকি তৃণমূলে যোগ দিচ্ছি। কিন্তু, এ ব্যাপারে আমার সঙ্গে তৃণমূলের কোনও নেতার কথা হয়নি। এই মুহূর্তে আমি বিজেপি ছাড়ছি না’।

ফেসবুকের কিছু টেকনিকাল প্রবলেমের জন্য সব খবর আপনাদের কাছে পৌঁছেছে না – তাই আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে

অন্যদিকে, রেজিনগরের কংগ্রেস বিধায়ক তথা তৃণমূল কংগ্রেস নেতা রবিউল আলম চৌধুরী জানিয়েছেন, দিন কয়েক ধরে তিনি লোকের মুখে শুনেছেন হুমায়ুন সাহেব তৃণমূলে যোগ দেবেন। কিন্তু এ ব্যাপারে এর থেকে বেশিকিছু তাঁর কিছু জানা নেই। রজ্জাক সাহেবও তাঁর তৃণমূলে যোগদানে খবর ‘ভুয়ো’ বলেই বক্তব্যে জানালেন। তবে, গ্যাস কেলোঙ্কারিতে নাম জড়ানোয় গৌরীশঙ্কর ঘোষ বহুদিন ধরেই এলাকা ছাড়া।

গৌরীশঙ্করবাবুও তৃণমূলে যোগ দেবেন বলে জল্পনা রয়েছে। তবে যেহেতু তিনি বেপাত্তা তাই এই জল্পনার সত্যতা সম্পর্কে কিছু জানা সম্ভব হয়নি। এঁদের বাইরে কংগ্রেসের কয়েকজন নেতা কর্মী তৃণমূলের সভায় যোগ দেবেন বলেও গুঞ্জন রয়েছে। উল্লেখ্য, এদিন কলকাতার ময়দান এলাকায় জরুরি বৈঠক করলেন তৃণমূল জেলা পর্যবেক্ষক তথা পরিবহণমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ১১ জন বিধায়ক, পুরসভার চেয়ারম্যান সহ মোট ৩৫ জন।

বৈঠকে অশোক দাস ও নওদায় পঞ্চায়েত সদস্যের উপর হামলার ঘটনা, ব্রিগেড চলো কর্মসূচির প্রস্তুতি, রানিনগরের সভা প্রভৃতি বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলেই খবর রয়েছে। বৈঠকে যোগ দেওয়া দলের জেলা সভাপতি অশোক দাস এবং প্রাক্তন সংসদ সদস্য মইনুল হাসান মুর্শিদাবাদের রাজনৈতিক অস্থির পরিস্থিতির কথা শুভেন্দুবাবুকে জানিয়েছেন এদিন বলে জানা গেছে।

সব শুনে এব্যাপারে দলের শীর্ষ কর্তাদের সর্তকও করেছেন এদিন পরিবহন মন্ত্রী। তবে ১৬ ডিসেম্বর রানিনগরের সভায় বিরোধী শিবিরের ঘর ভাঙতে প্রথম সারির এই তৃণমূল নেতা সফল হন কিনা সেটা নিয়েই রাজ্য রাজনীতিতে চাপান উতোর তুঙ্গে রয়েছে। ওদিকে আশঙ্কায় প্রহর গুনছেন কংগ্রেস-বিজেপি-সিপিএম এর নীচুতলার কর্মী সমর্থকরা। সব মিলিয়ে মুর্শিদাবাদের জেলা-রাজনীতিতে এখন শুধুই শুভেন্দু অধিকারীর হাত ধরে দলবদলের আলোচনা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!