এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > এনআরসি গুলিয়ে দিয়েছে সব অঙ্ক! উপনির্বাচনে ভরাডুবির বিজেপির প্রচারের স্ট্র্যাটেজিতে বড়সড় বদল

এনআরসি গুলিয়ে দিয়েছে সব অঙ্ক! উপনির্বাচনে ভরাডুবির বিজেপির প্রচারের স্ট্র্যাটেজিতে বড়সড় বদল

লোকসভায় উত্তর থেকে দক্ষিণ সর্বত্র বিজেপি এরাজ্য থেকে ব্যাপক সাফল্য পেয়েছিল। কিন্তু কিছুদিন পেরোতে না পেরোতেই রাজ্যের তিন বিধানসভা উপনির্বাচনে বিজেপির ভরাডুবি প্রবল অস্বস্তিতে ফেলে দিয়েছে মূরলীধর লেনের কর্তাদের। বিজেপির অন্দরে যে ফলাফল পর্যালোচনা করতে গিয়ে উঠে এসেছে, এনআরসি ফ্যাক্টরের কথা। করিমপুর বাদে খড়গপুর এবং কালিয়াগঞ্জে লোকসভায় যে বিজেপি ব্যাপক সাফল্য পেয়েছিল, বিধানসভা উপনির্বাচনে সেখানে তাদের প্রার্থীরা পরাজিত হওয়ায় প্রশ্ন উঠতে শুরু করে।

একাংশ বলেন, অসমে এনআরসি লাগুর পর সেখানে অনেক হিন্দুর নাম বাদ গিয়েছে। যার পরে বাংলায় এই ব্যাপারে বিজেপির বিরুদ্ধে সরব হতে শুরু করে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস‌। তবে বিজেপির পক্ষ থেকে এই ঘটনাটিকে মোকাবিলা করা সম্ভব হয়নি। বরঞ্চ বারেবারেই রাজ্য বিজেপি নেতারা বাংলাতেও এনআরসি করা হবে বলে দাবি করেছেন। যা তৃণমূলের বিজেপির বিরোধী প্রচারকে বাড়িয়ে দেয়।

আর সাধারন মানুষ এই এনআরসি ইস্যুতে বিজেপির প্রতি ক্ষুব্ধ হয়ে উপনির্বাচনে বিজেপি প্রার্থীদের বিরুদ্ধে তৃণমূল প্রার্থীদের সমর্থন করেছেন বলে দাবি রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের। কিন্তু উপনির্বাচনের এনআরসি ইস্যুকে তৃণমূল যেভাবে প্রচার করেছে, তার বিরুদ্ধে বিজেপির প্রচার করতে না পারার জন্যই যে এই ফল হয়েছে, তা বুঝতে বাকি ছিল না বিজেপির অনেক নেতৃত্বের। আর তাই তো এবার নিজেদের শুধরে নিয়ে তৃণমূলের প্রচারকে দমিয়ে দিতে অভিনব কৌশল নিয়ে আসছে ভারতীয় জনতা পার্টি।

এনআরসি লাগু হওয়ার আগে লোকসভায় সিটিজেনশিপ আমেন্ডমেন্ট বিল পাস করা হবে বলে এবার সাধারণ মানুষের কাছে প্রচার করার উদ্যোগ নিল মালদহ জেলা বিজেপি নেতারা। যার ফলে সাধারণ মানুষের এই এনআরসি নিয়ে ভীতি যেমন দূর করতে উদ্যোগী হবেন তারা, ঠিক তেমনই তৃণমূল যে মানুষকে ভুল বোঝাচ্ছে, তাও বোঝাতে উদ্যোগ নেবেন বিজেপি নেতৃত্বরা। জানা গেছে, ইতিমধ্যেই মালদহে এই ব্যাপারে প্রচার পর্ব শুরু করে দিতে চাইছে গেরুয়া শিবির।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

কেননা কালিয়াগঞ্জের বিধানসভা উপনির্বাচনের মতো সীমান্তবর্তী জেলা মালদহতেও যদি তৃণমূল এনআরসির বিরুদ্ধে প্রচার করে বিজেপি হাওয়াকে কেড়ে নেয়, তাহলে উত্তরবঙ্গে যে বিজেপি অনেকটাই কোণঠাসা হয়ে যাবে, সেই ব্যাপারে নিশ্চিত গেরুয়া শিবিরের একাংশ। আর তাইতো রিস্ক না নিয়ে এখন থেকেই এনআরসি আগে হবে না, তার আগে লোকসভায় সিটিজেনশিপ আমেন্ডমেন্ট বিল পাস হবে বলে মানুষের কাছে যেতে শুরু করছে ভারতীয় জনতা পার্টি।

কিন্তু এতে কি আদৌ কাজের কাজ কিছু হবে! বিজেপির একাংশ বলছেন, বেশ কয়েক মাস ধরে তৃণমূল বিজেপির বিরুদ্ধে বাঙালি বিরোধী দল বলে প্রচার চালিয়ে আসছে। কিন্তু বিজেপির পক্ষ থেকে সেইভাবে এই প্রচারেরকে মাত করার কোনো চেষ্টা করা হয়নি। কিন্তু এবার তা মাত করতে এবং সাধারণ মানুষের কাছে যেতে এই উদ্যোগ নিলে তা অনেকটাই কার্যকরী হবে।

এদিন এই প্রসঙ্গে মালদহ জেলা বিজেপির সভাপতি গোবিন্দ চন্দ্র মন্ডল বলেন, “বাংলাদেশি শরণার্থীদের এদেশে থাকার ক্ষেত্রে কোনো অসুবিধা হবে না। তাদের সুবিধার্থে আমরা সিটিজেনশিপ আমেন্ডমেন্ট বিল সংসদে পাস করতে চাইছি। ওই বিল পাসের আগে যাতে মালদহ তথা এই রাজ্যে এনআরসি না হয়, সেই দাবি আমরা দলের নেতৃত্বের কাছে জানাব। সংসদে সংশ্লিষ্ট বিল পাসের দাবিতে আমরা রাস্তায় নামব। এই ব্যাপারে জনমত গড়ে তোলার চেষ্টা চলছে।”

তবে বিজেপি নেতৃত্ব তৃণমূলকে টক্কর দিতে এনআরসি ইস্যুতে নয়া প্রচার চালানোর উদ্যোগ নিলেও, তা কতটা জনমানসে প্রভাব ফেলবে, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের। বিশেষ করে ৩ উপনির্বাচনে জেতার পরে, হারানো আত্মবিশ্বাস ফিরে পেয়ে ইতিমধ্যেই যেখানে ময়দানে নেমে পড়েছেন তৃণমূলের দাপুটে নেতারা। তবে, এনআরসি নিয়ে যে আর ঝুঁকি নেওয়া হবে না গেরুয়া শিবিরের তরফে – তা একপ্রকার প্রায় নিশ্চিত।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!