এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > মুখ্যমন্ত্রী পদ কি ‘বলিদান’ দেবে বিজেপি? অমিত শাহের কথায় বাড়ল জল্পনা!

মুখ্যমন্ত্রী পদ কি ‘বলিদান’ দেবে বিজেপি? অমিত শাহের কথায় বাড়ল জল্পনা!


দীপাবলীর আগেই প্রায় গোটা দেশ নির্বাচনের আবহে। কোন রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন তো কোথাও উপনির্বাচন। লোকসভা নির্বাচন শেষ হওয়ার পরেই সমস্ত বিধানসভায় সাধারণ নির্বাচন হতে চলেছে। পাশাপাশি 51 টি আসনে হবে বিধানসভা উপনির্বাচন। বিধানসভা নির্বাচনের কথা মাথায় রেখে লোকসভা নির্বাচনের পরেই বিজেপি তাঁদের নির্বাচনী প্রচার শুরু করে দিয়েছে।

লোকসভা ভোটে দেশের সর্বোচ্চ আসনে বসার পর বিজেপির পরবর্তী লক্ষ্য, দেশের প্রত্যেকটি বিধানসভা দখল করার। আর সেই লক্ষ্যে তাঁরা পৌঁছতে নানান রকম পরিকল্পনা গ্রহণ করছে। সম্প্রতি বিহার নিয়েও এরকমই কথা শোনা গেল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী তথা বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহের গলায়। আগামী বিধানসভা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে অমিত শাহ ঘোষণা করলেন, বিহারে নিতিশ কুমারের নেতৃত্বে বিজেপি জেডিইউ জোট লড়বে।

সম্প্রতি এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে একান্ত সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এই বক্তব্য জানান। ইতিমধ্যেই দেশের রাজনৈতিক মহলে, বিহারের বিজেপি ও জেডিইউ জোট নিয়ে নানান বিতর্ক শুরু হয়েছে। শুরু হয়েছে রাজনৈতিক গুঞ্জন। কিন্তু সমস্ত বিতর্ক, আলোচনা, গুঞ্জনকে উড়িয়ে দিয়ে এদিন অমিত শাহ স্পষ্ট করে দিলেন বিহারের বিজেপি এবং জেডিইউ জোট সম্পর্কে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিন অমিত শাহ জানান, ‘ভোটে একসঙ্গেই লড়বে বিজেপি ও জেডিইউ জোট। নীতিশজির নেতৃত্বে ভোটে লড়বে, এটা একেবারে পরিষ্কার। জাতীয় স্তরে দুটি দল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে কাজ করছে। রাজ্যস্তরে বর্তমান মুখ্যমন্ত্রীর (নীতিশ কুমার) নেতৃত্বে কাজ করবে।’ প্রসঙ্গত, বিজেপি ও জেডিইউ-এর মধ্যে সম্প্রতি নানান মতভেদ দেখা গেছে। এ প্রসঙ্গে বিজেপি সভাপতি জানান, ‘যেকোনো জোটেই, অল্পবিস্তর মতের অমিল হয়ে থাকে, এটাই একটি সুস্থ জোটের পক্ষে শুভ ও কাম্য। মতভেদ শুধু মনভেদে না বদলালেই হলো।’

মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের কয়েকটি পদক্ষেপের মধ্যে দিয়ে সম্প্রতি বিহারে বিজেপি-জেডিইউ জোটের মতভেদ প্রকাশ্যে আসে। নীতিশ কুমারকে মোদির মন্ত্রিসভায় জেডিইউ-এর একজন মন্ত্রী হিসেবে থাকার অফার দেওয়া হয়। কিন্তু জেডিইউ সুপ্রিমো এই অফার খারিজ করে দেন। এরপরেই নীতিশ কুমার তাঁর মন্ত্রিসভা বাড়াতে শুরু করেন। সূত্রের খবর, ঈদের ইফতার পার্টিতেও দুটি দল একসাথে যোগ দেয়নি। ফলে দু’দলের সংঘাতের সম্ভাবনা আরো তীব্র হয়। রাজনৈতিক মহলে গুঞ্জন শুরু হয়।

২০১৪ সালের পর থেকেই বিহারে বিজেপি যেভাবে নিজের সংগঠন বাড়াতে শুরু করেছিল, তাতে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের ধারণা হয়েছিল – প্রয়োজনে বিহারে বিজেপি একই বিধানসভায় লড়বে। এমনকি, সেক্ষত্রে বিহারে বিজেপির মুখ্যমন্ত্রীর মুখ কে হবেন সেই নিয়েও চর্চা শুরু হয়ে যায়। তবে অমিত শাহের কথাটা স্পষ্ট হয়ে গেল, জোটের স্বার্থে বিহারে বিজেপি মুখ্যমন্ত্রী পদ ‘বলিদান’ দিতে প্রস্তুত। আর এই সমস্ত ঘটনা পর্যবেক্ষণ করে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের দাবি, দুটি দল যখন বড় কোন লক্ষ্যে নামে, তখন তাঁদের মধ্যে কোন সময় মতের মিল নাই হতে পারে।

কিন্তু বড় স্বার্থের লক্ষ্যে তাঁরা নিজেদের মধ্যে কখনই বিভেদ আনে না। এক্ষেত্রেও বিজেপি ও জেডিইউ-এর জোট অক্ষুন্ন থাকবে বলেই মনে করছেন তাঁরা। অন্যদিকে, বিহারে বিজেপি ও জেডিইউ জোটের মতভেদ এর খবরে বিরোধী দলের অন্দরে খুশির মেজাজ। আপাতত বিরোধীদলের খুশির মেজাজ বহাল থাকে নাকি আবার বিজেপি ও জেডিইউ জোট তাঁদের ম্যাজিক দেখায় বিহারে, সে দিকেই লক্ষ্য রাখবে দেশের রাজনৈতিক মহল।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!